London ০২:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ১০ গুণীজন মেডিকেলে ভর্তির টাকা এখনো জোগাড় হয়নি ইমার যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেশার কুকারে রান্না করলেন সাবেক সৈনিক খোলাবাজার থেকে ১০ হাজার বিনামূল্যের পাঠ্যবই জব্দ, গ্রেপ্তার ২ শেরপুরে মাধ্যমিকের ৯ হাজার সরকারি বই জব্দ! আটক ১ মেডিকেলে চান্স পেয়েও অর্থের অভাবে ডাক্তারী লেখা পড়া নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রান্তি ও পরিবার খাগড়াছড়িতে একক আধিপত্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার, গড়েছেন হাজার কোটি টাকার সম্পদ নোয়াখালীতে শর্টসার্কিটের আগুনে পুড়ে ছাই ১১ দোকান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিন দিন উন্নত হচ্ছে : ইসি মাছউদ

প্রেমিকের বিয়ে খবর জেনে ছুটে এলেন প্রেমিকা, পালালেন প্রেমিক

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পটুয়াখালীর দুমকিতে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকা অনশনে বসেছেন। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের লেবুখালী গ্রামে হারুন শিকদার ছেলে প্রেমিক হাসান মাহমুদ সাজনের বাড়িতে এই অনশন শুরু করেন।

চাঁদনী জানান, গত চার বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছে। সম্পর্কের কারণে তাদের মধ্যে নিয়মিত দেখা-সাক্ষাৎ হতো। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ান প্রেমিক সাজিন। কয়েক বছর পর্যন্ত বিয়ের আশ্বাস দিয়ে আসলেও গত পাঁচ মাস যাবৎ সাজিন সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। সাম্প্রতিক সময়ে সাজিনের সঙ্গে অন্য মেয়ের বিবাহের কথা চলছে জানতে পারলে প্রেমিকা চাঁদনী সাজিনের বাড়িতে আসেন।

 

চাঁদনী বলেন, আমি এই বাড়িতে আসার পর সাজিন আমাকে দেখেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। আমি সাজিনের ঘরের সামনে গেলে সাজিনের মা, ফুফু ও বোন মিলে আমাকে মারধর করেন এবং আমার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন। গণমাধ্যম কর্মীরা এসে উপস্থিত হলে তাদের দেখে আমার মোবাইল ফোন ফিরিয়ে দেয়। আমার মা থানায় অভিযোগ করেছেন। ভুক্তভোগী এই তরুণী আরও বলেন, এলাকার প্রভাবশালীরা আমাকে বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন। এমন অবস্থায় আমি নিজেকে নিরাপত্তাহীন মনে করছি।

অভিযুক্ত প্রেমিক হাসান মাহমুদ সাজিন বলেন, চাঁদনীর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নাই। তিনি আমার ছোট বোনের বান্ধবী, সেই সুবাদে আমার বোনের সঙ্গে মাঝে মধ্যেই আমাদের বাড়িতে আসতেন। এর বেশি কিছুই না।

দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন বলেন, উক্ত ঘটনায় চাঁদনী আক্তারের মা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ গিয়ে প্রাথমিক তদন্তে তাদের মধ্যে একটি সম্পর্কের সত্যতা পেয়েছে। ছেলে বর্তমানে পলাতক অবস্থায় আছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০২:৫৩:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
১৬
Translate »

প্রেমিকের বিয়ে খবর জেনে ছুটে এলেন প্রেমিকা, পালালেন প্রেমিক

আপডেট : ০২:৫৩:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

পটুয়াখালীর দুমকিতে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকা অনশনে বসেছেন। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের লেবুখালী গ্রামে হারুন শিকদার ছেলে প্রেমিক হাসান মাহমুদ সাজনের বাড়িতে এই অনশন শুরু করেন।

চাঁদনী জানান, গত চার বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছে। সম্পর্কের কারণে তাদের মধ্যে নিয়মিত দেখা-সাক্ষাৎ হতো। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ান প্রেমিক সাজিন। কয়েক বছর পর্যন্ত বিয়ের আশ্বাস দিয়ে আসলেও গত পাঁচ মাস যাবৎ সাজিন সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। সাম্প্রতিক সময়ে সাজিনের সঙ্গে অন্য মেয়ের বিবাহের কথা চলছে জানতে পারলে প্রেমিকা চাঁদনী সাজিনের বাড়িতে আসেন।

 

চাঁদনী বলেন, আমি এই বাড়িতে আসার পর সাজিন আমাকে দেখেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। আমি সাজিনের ঘরের সামনে গেলে সাজিনের মা, ফুফু ও বোন মিলে আমাকে মারধর করেন এবং আমার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন। গণমাধ্যম কর্মীরা এসে উপস্থিত হলে তাদের দেখে আমার মোবাইল ফোন ফিরিয়ে দেয়। আমার মা থানায় অভিযোগ করেছেন। ভুক্তভোগী এই তরুণী আরও বলেন, এলাকার প্রভাবশালীরা আমাকে বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন। এমন অবস্থায় আমি নিজেকে নিরাপত্তাহীন মনে করছি।

অভিযুক্ত প্রেমিক হাসান মাহমুদ সাজিন বলেন, চাঁদনীর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নাই। তিনি আমার ছোট বোনের বান্ধবী, সেই সুবাদে আমার বোনের সঙ্গে মাঝে মধ্যেই আমাদের বাড়িতে আসতেন। এর বেশি কিছুই না।

দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন বলেন, উক্ত ঘটনায় চাঁদনী আক্তারের মা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ গিয়ে প্রাথমিক তদন্তে তাদের মধ্যে একটি সম্পর্কের সত্যতা পেয়েছে। ছেলে বর্তমানে পলাতক অবস্থায় আছে।