প্রশাসনের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আনন্দমেলায় চলছে অবৈধ লটারি ও প্রবেশ টিকিট বিক্রি। এতে প্রতিদিন হাজারো দর্শনার্থীর কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আয়োজকদের বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মেলায় প্রবেশের জন্য প্রতিজনকে ২০ টাকা মূল্যের টিকিট কেটে প্রবেশ করতে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, শিশু-কিশোরসহ বিভিন্ন শ্রেণির দর্শনার্থীদের কাছ থেকে লটারির নামে টাকা সংগ্রহ করা হচ্ছে। আকর্ষণ হিসেবে বিভিন্ন পুরস্কারের প্রচারণা চালানো হলেও এর বৈধ কোনো অনুমোদন নেই।
স্থানীয় সচেতন মহল অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এই অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে আয়োজকরা। এতে একদিকে সাধারণ মানুষ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, অন্যদিকে সমাজে জুয়ার প্রবণতা বাড়ছে। অভিভাবকেরা বলেন, “মেলার নামে শিশু-কিশোরদের প্রলুব্ধ করা হচ্ছে, অথচ প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।
মেলা পরিচালনা কমিটির দায়িত্বে থাকা আবু হানিফ বলেন, মেলাটি মূলত বেলকুচি প্রেসক্লাব পেয়েছে। আমরা সেটি নিয়ে পরিচালনা করছি।
এ বিষয়ে বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরিন জাহান বলেন, বেলকুচি মেলার অনুমোদন রয়েছে। তবে টিকিটের অনুমতি আছে কিনা সেটা আমার জানা নেই। অনুমতি না থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গণপতি রায় বলেন, বেলকুচি মেলার প্রবেশ টিকেট ও লটারীর কোনো অনুমোদন নেই। এরকম কোনো কার্যক্রম করা হলে প্রবেশ টিকিট অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ। গরিব ও সাধারণ মানুষ লোভে পড়ে এই লটারিতে অংশ নিচ্ছে এবং অনেকেই নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন। এতে পারিবারিক কলহও বেড়ে যাচ্ছে।
প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে অবৈধ লটারি ও টিকিট বাণিজ্যের এই অভিযোগকে ঘিরে বেলকুচি জুড়ে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।