ব্রিটেনের বাংলাদেশী কমিউনিটির সফল পেশাজীবী হিসেবে কমিউনিটিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও প্রবাসীদের দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার জন্য বিৃটেন তথা ইউরোপের সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব, প্রতিথযশা আইনজীবী, সংবিধান বিশেষজ্ঞ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী ও বৃটিশ সুপ্রিম কোর্টের প্র্যাকটিসিং ব্যারিস্টার নাজির আহমদকে “প্রবাসী সম্মাননা- ২০২৫” প্রদান করা হচ্ছে।
আগামী ২৭ ডিসেম্বর শনিবার সিলেটের কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে সিলেট জেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রথমবারের মতো আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাকে এ সম্মাননা প্রদান করা হবে । এ সময় বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য আরো কয়েকজন প্রবাসীকেও সম্মাননা প্রদান করা হবে। জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আইন ও প্রবাসী কল্যাণ এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আসিফ নজরুল। সম্প্রতি সিলেট জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) মাসুদ রানা ব্যারিস্টার নাজির আহমদকে এ সম্মাননার বিষয়টি অবহিত করেন।
বাংলাদেশে এসএসসি ও এইচএসসি’তে মানবিক বিভাগে শিক্ষাবোর্ডের মেধাবৃত্তি লাভকারী বিৃটেনের সফল পেশাজীবী ব্যারিস্টার নাজির আহমদ লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের কুইন মেরি থেকে কৃতিত্বের সাথে এলএলবি (অনার্স) ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। পরে তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে এলএলএম সম্পন্ন করেন। ব্যারিস্টার নাজির আহমদ সর্বোচ্চ গ্রেড অর্জন করে দ্য সুপ্রিম কোর্ট অব ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস এর একজন সলিসিটার হিসেবে যোগ দেন এবং পরে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের (যথাক্রমে হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের) একজন এডভোকেট হিসেবে তালিকাভূক্ত হন। বর্তমানে তিনি ঢাকা বার ও বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সদস্য।
১৯৯৯ সালে অনারেবল সোসাইটি অব লিংকন্স ইন্ থেকে কৃতিত্বের সাথে তিনি বার-এট-ল ডিগ্রী লাভ করে ব্যারিস্টার হন। এখানে উল্লেখ্য যে, ব্যারিস্টার নাজির আহমদ বৃটিশ বার কাউন্সিলের চূড়ান্ত পরীক্ষায় চারটি ইন্ এর সম্মিলিত ফলাফল সূচির শীর্ষে অবস্থান করেন। আন্তর্জাতিক আরবিট্রেশনে ব্যারিস্টার নাজির আহমদের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি যুক্তরাজ্যের বিশ্বখ্যাত চ্যার্টার্ড ইনস্টিটিউট অব আর্বিট্রেটরস এর একজন ফেলো (FClArb - সর্বোচ্চ গ্রেড)। এ পর্যন্ত খুবই অল্প সংখ্যক বাংলাদেশি এটি অর্জন করতে পেরেছেন। ব্যারিস্টার নাজির আহমদ এডভান্স ম্যানেজমেন্টে দক্ষতা, যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা রয়েছে। চ্যার্টার্ড ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট তাঁকে ফেলোশীপ (FCMI - সর্বোচ্চ গ্রেড) প্রদান করেছে। ব্যারিস্টার নাজির আহমদ এনভায়রনমেন্টাল হেলথ ল’ বিষয়ে একজন দক্ষ পেশাজীবী। তিনি দ্য রয়্যাল সোসাইটি অব পাবলিক হেলথের এর সর্বোচ্চ গ্রেড (FRSPH) অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি ইনস্টিটিউট অব সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং ম্যানেজমেন্ট এর একজন ফেলো (FInsSMM) এবং চ্যার্টার্ড ইনস্টিটিউট অব লিংগুয়িস্টস এর একজন পূর্ণ মেম্বার (MCIL)।
ব্যারিস্টার নাজির আহমদ বৃটিশ হাইকোর্টের জাস্টিস বিচারপতি নিকোলের সাথে শ্যাডো করেছেন এবং কলকাতা হাইকোর্টে এক সপ্তাহ শ্যাডো করেছেন। ব্যারিস্টার নাজির আহমদ বর্তমানে বৃটিশ সুপ্রিম কোর্টের স্বনামধন্য প্র্যাকটিসিং ব্যারিস্টার ও Pupil Supervisor (অতীতে Pupil Master হিসেবে পরিচিত ছিলো)। গত ২৬ বছর অত্যন্ত সুনামের সাথে ব্রিটেনের উচ্চ আদালতে প্র্যাকটিস করছেন এবং জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তিনি ব্রিটেনে এক স্বনামধন্য ল’ চেম্বারস এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান। তার ল ফার্ম পূর্ব লন্ডনের মধ্যে "Prestigious Best Law Firm" এওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছে। এছাড়া ব্যারিস্টার নাজির আহমদ BNA Properties Investment Limited এর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর।
ব্যারিস্টার নাজির আহমদ একজন সফল জনপ্রতিনিধি ছিলেন। তিনি ২০১৮ সালে রেকর্ড পরিমাণ ভোট পেয়ে লন্ডন বারা অব নিউহ্যামের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। উল্লেখ্য, ঐ বছর গোটা যুক্তরাজ্য থেকে মোট ১১১ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কাউন্সিলর নির্বাচিত হন এবং ব্যারিস্টার নাজির আহমদ তাদের সবার চেয়ে বেশি ভোট পেয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এরপর টানা তিনবার নিউহ্যাম কাউন্সিলের ডেপুটি স্পিকার ও ডেপুটি সিভিক এ্যাম্বেসেডর নির্বাচিত হন এবং তাঁর তিন টার্মে প্রায় দুই শতাধিক সিভিক ইভেন্টে কাউন্সিলকে প্রতিনিধিত্ব করেন। ব্যারিস্টার নাজির আহমদ নিউহ্যাম কাউন্সিলের যথাক্রমে স্ট্যাটিজিক ডিভেলাপমেন্ট কমিটি, লোকাল প্লানিং এন্ড ডিভেলাপমেন্ট কমিটি, চীফ অফিসার এপোয়েন্টমেন্ট কমিটি, নির্বাচনী এলাকা সীমা নির্ধারণী কমিশন সাব-কমিটি এবং ১.৫ বিলিয়ন পাউন্ড বাজেটসম্পন্ন পেনশন কমিটির মেম্বার ছিলেন।
ব্যারিস্টার নাজির আহমদ বিগত তিন দশক ধরে প্রবাসীদের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি প্রবাসীদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর পতিত সরকারের প্রস্তাবিত দ্বৈত নাগরিকত্ব আইন বাতিল করণে, আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করণে এবং প্রবাসীদের পাসপোর্ট বানাতে পুলিশ ভেরিফিকেশন নামক অযথা হয়রানিমূলক পদ্ধতি বাতিল করণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। দ্বৈত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে অনুষ্টিত এক অনুষ্টানে তৎকালীন আইনমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেন। প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনারের সাথে দীর্ঘ বৈঠক করেন এবং জাতীয় প্রেসক্লাবে এই ইস্যুটিকে জাতীয়ভাবে তুলে ধরার জন্য প্রেস কনফারেন্স করেন যা গণমাধ্যম ব্যাপকভাবে কাভার করে। ফলে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিয়ে জাতীয়ভাবে ব্যাপাক সাড়া পড়ে। ব্যারিস্টার নাজির আহমদের প্রচেষ্টায় প্রবাসীদের পাওয়া অব এটর্নি সংক্রান্ত জটিলতার (তিনি আইন উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করে তাঁকে কনভিন্স করেন এবং পরে আইন মন্ত্রনালয়ের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি গেজেট প্রকাশের জন্য ড্রাফট সরবরাহ করেন যা সরকার প্রকাশ করেন) অবসান হয়।
বাংলাদেশের আর্তসামাজিক উন্নয়নে ব্যারিস্টার নাজির আহমদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে চলছেন। তিনি আন্তর্জাতিক চ্যারিটি সংস্থা ইকরা ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান। ব্যারিস্টার নাজির আহমদের তত্ত্বাবধানে ইক্বরা ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের অসহায় মানুষদের সহায়তা করছে ও প্রতিবন্ধীদের জন্য সিলেটে প্রতিবন্ধী শিশু হাসপাতাল পরিচালনা করছে। এ ছাড়া ব্যারিস্টার নাজির আহমদ বাংলাদেশের দরিদ্র ও অসহায় মানুষের সাহায্যার্থে এবং শিক্ষার্থীদের পড়াশুনায় উৎসাহিত করতে ও স্বপ্ন দেখাতে তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে ও অর্থায়নে “ব্যারিস্টার নাজির আহমদ ফাউন্ডেশন” এবং “Inspire a Million” প্রতিষ্ঠা করেন।
ব্যারিস্টার নাজির আহমদ পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি বহু স্থানীয়, জাতীয় ওআন্তর্জাতিক মানের সংগঠনের সাথে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে কাজ করেছেন। তিনি লন্ডন মেয়র অফিসের ইন্ডিপেনডেন্ট কাস্টডি ভিজিটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি লন্ডন ইউনিভার্সিটির কুইন মেরীর এ্যালুমনাই এম্বেসেডর ছিলেন পাঁচ বছর। বর্তমানে তিনি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন এর এ্যালুমনাই এম্বেসেডর।
কমিউনিটিতে বিশিষ্টজন হিসেবে ব্যারিস্টার নাজির আহমদ বিভিন্ন সামাজিক, আইনগত, পারিবারিক ও বিবদমান সম্প্রদায়ের দুই পক্ষের মধ্যে সৃষ্ট সমস্যা ও জটিলতা নিরসনে প্রায়ই মধ্যস্থতাকারী ও শালিসের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। তিনি উভয় পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে বহু সামাজিক ও পারিবারিক সমস্যার সমাধান করে দিয়ে অপ্রয়োজনীয় মামলা থেকে রেহাই দিয়েছেন। এছাড়া তিনি বৃটিশ বাংলাদেশ চ্যাম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি, বৃটিশ বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশন, কালেকটিভ অব বাংলাদেশি স্কুল গভর্নরস এবং দ্য সোসাইটি অব বৃটিশ বাংলাদেশি সলিসিটরসসহ তিনি বিভিন্ন কমিউনিটি, স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক প্রায় ৬০টি সংগঠনের নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনার বা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেছেন।
বৃটেন ও ইউরোপে একজন সুপরিচিত মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে ব্যারিস্টার নাজির আহমদের খ্যাতি রয়েছে। তিনি প্রায়ই রেডিও ও টিভিতে আইনী পরামর্শ বিষয়ক অনুষ্ঠানে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। আইন, সংবিধান, সামাজিক ও সমসাময়িক বিষয়ে টিভি টকশোতে তিনি প্রায়ই অংশগ্রহণ করেন। তিনি বিগত দুই দশক ধরে ব্রিটেন ও বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশ গ্রহণ করেন। বিভিন্ন সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেল সমসাময়িক ও আইনী বিষয়ে তাঁর অনেকগুলো সাক্ষাৎকার গুরুত্ব সহকারে সংবাদ ও লিড নিউজ হিসেবে প্রকাশ ও সম্প্রচার করেছে।
ব্যারিস্টার নাজির আহমদ প্রায়ই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনার ও সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণ করেন। এ পর্যন্ত তিনি প্রায় দু’ডজন সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন। ব্যারিস্টার নাজির আহমদ ২০০২ সালে যুক্তরাজ্যের Huddersfield University তে"English and French Judges: a comparative analysis of their constitutional positions, independence and impartiality" শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। ২০২৪ সালের ১৪ মে সিলেটে Metropolitan University’তে “Navigating the Global Legal Arena: Challenges and Opportunities in International Law Practice” শীর্ষক সেমিনারে Keynote Speaker হিসেবে বক্তব্য রাখেন তিনি। প্রায় ঘন্টাব্যাপী ইংরেজীতে বক্তৃতার পর শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। ২০২৫ সালের ২৯ জুন সিলেটে Leading University’তে “The Implications of British Law and British Legal System in Bangladesh” শীর্ষক বিশেষ সেমিনারে Keynote Speaker and Guest of Honour হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার নাজির আহমদ। এতে কয়েক শত ছাত্র/ছাত্রী যোগদান করেন। প্রায় ঘন্টাব্যাপী ইংরেজীতে বক্তৃতার পর ছাত্র/ছাত্রীদের আরো এক ঘন্টা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
একজন আইনবিদ ছাড়াও ব্যারিস্টার নাজির আহমদ ইতিমধ্যে নিজেকে একজন সুপরিচিত লেখক, চিন্তাবিদ, বিশ্লেষক, গবেষক ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। পেশাগত ও সামাজিক কর্মকান্ডে ব্যস্ততা থাকা সত্ত্বেও তিনি প্রায়ই বাংলাদেশের বিভিন্ন ইংরেজি দৈনিক পত্রিকায় বর্তমান, জাতীয়, সামাজিক, আইন ও সংবিধান সম্পর্কিত বিষয়ে গবেষনা ভিত্তিক বিশ্লেষনমূলক নিবন্ধ লিখেছেন। এসব লেখার অনেকগুলোই আবার যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া তাঁর লেখা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও অনলাইন সংবাদপত্র, জার্নাল ও ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়। গত প্রায় তিন বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের প্রথম সারির দৈনিক পত্রিকা দৈনিক মানবজমিনে বাংলাদেশের সংবিধান ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে লিখে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে ব্যারিস্টার নাজির আহমদ এর লেখা বাংলায় ও ইংরেজিতে ১০টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে । সৃজনশীল কর্মকাণ্ড ও অবদানের জন্য Royal Society of Arts (RSA) তাঁকে ফেলোশীপ (FRSA) প্রদান করেছে।
ব্যারিস্টার নাজির আহমদ বিভিন্ন উপলক্ষ ও প্রয়োজনে ইতিমধ্যে বিশ্বের ৭২টি দেশ সফর করেছেন। তাঁর সংক্ষিপ্ত জীবনী Who's Who in British Muslims, Asians in the Millennium এবং Asian Who's Who International সহ অনেকগুলো ডাইরেক্টরীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তিনি ২০১৯ সালে Who’s Who British Bangladeshi Award লাভ করেন। ২০২০ সালে ব্যারিস্টার নাজির আহমদকে “Freedom of the City of London” খেতাবে ভূষিত করা হয়। এ ছাড়া বৃটিশ সোসাইটিতে অসামান্য অবদানের জন্য তাঁকে Canary Wharf PLC এবং টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের স্পীকারের পক্ষ থেকে সম্মাননা দেয়া হয়। ২০২০ সালে ব্রিটেনের মূলধারার প্রতিষ্টান The British Citizen Award (BCA) “সমাজে ব্যতিক্রমী অবদান এবং অন্যান্য ব্রিটিশ নাগরিকদের জন্য অনুপ্রেরণা”র জন্য ব্যারিস্টার নাজির আহমদকে Certificate of Recognition দেয়া হয়। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ন অবদানের জন্য মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি, লিডিং ইউনিভার্সিটি এবং ফ্রান্স দর্পনের পক্ষ থেকে তাকে সম্মাননা দেয়া হয়। ব্যারিস্টার নাজির আহমদের একান্ত ইচ্ছা দেশের সেবা করা, দেশের মানুষের জন্য কাজ করা।