ফরিদপুরের গেরদা ইউনিয়নের কাফুরা নামকস্থানে রেল ক্রসিংয়ে ঢাকাগামী ট্রেনের ধাক্কায় হতাহতরা ছিলেন একই পরিবারের স্বজন। এদের মধ্যে ৫ জন নিহত হয়েছেন। যাদের দুজন ছিলেন স্বামী-স্ত্রী। দুর্ঘটনায় তাদের সাথে এক মেয়ে নিহত হয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জের ভূঁইয়া বাড়ি এলাকায় তাদের বাড়ি বলে আহত একজনের সূত্রে জানা গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ৪ জন। তাদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে তিনজন নিহত হন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত তাসরি নামে আনুমানিক ২২ বছরের এক তরুণী জানান, নারায়ণগঞ্জের ভূঁইয়া বাড়ি থেকে সদরপুরের চন্দ্রপাড়ায় যাচ্ছিলেন বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে। তবে কার বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে যাচ্ছিলেন তারা জানায়নি। এর মধ্যে তার বাবা লিটন চৌধুরী, মা ফাহমিদা শারমিন মনু, তাদের মেয়ে সাজু, শ্যালকের স্ত্রী আতিফা, রিন্টু, শালিকা অরিন ও ড্রাইভার নাজমুল হাসান নামে ৮ জনের মতো ছিলেন মাইক্রোবাসটিতে। এর মধ্যে লিটন চৌধুরী, মা ফাহমিদা শারমিন মনু, সাজু, আতিফা ও রিন্টু মারা যান বলে জানা গেছে।
এছাড়া তাসরি, অরিন ও ড্রাইভার নাজমুল হাসান ছাড়াও একজন জিন্না (৫২) নামে স্থানীয় একজন দোকানদার আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর পরে তাদের মধ্যে মারা যান আরও দুইজন।
জানা গেছে, একটি মাইক্রোবাসে করে ১০ থেকে ১১ জন যাত্রী রেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় ফরিদপুর থেকে ঢাকামুখী মধুমতি এক্সপ্রেস নামক একটি ট্রেনের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর মাইক্রোবাসটি পাশের খাদে পড়ে যায়। এ সময় মাইক্রোবাসটির সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। দুর্ঘটনাস্থলের ওই রেল ক্রসিংয়ে কোনো গেটম্যান ছিল না।
ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থল থেকে তিনজনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান। অন্য দুজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাকি বিল্লাহ বলেন, এ ঘটনায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। তবে এটা কোতয়ালী থানার আওতায় থাকায় এটা কোতয়ালী থানা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক(ডিসি) কামরুল হাসান মোল্যা বলেন, ঘটনাস্থলে ৪ জন এবং হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আমরা রেল মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলবো যাতে তারা পরবর্তীতে সতর্ক হয়। আহতদের খোঁজ খবর নেওয়া হবে।