পাইকেরছড়া মডেল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সচেতনতামূলক আলোচনা সভা ইজি ডেলিভারি সেবা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ

পাইকেরছড়া মডেল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো এক সচেতনতামূলক আলোচনা সভা, যার মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘ইজি ডেলিভারি সেবা’ সম্পর্কিত সচেতনতা বৃদ্ধি ও সেবার প্রসার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিবার পরিকল্পনা ফেসিলিটেটর মোঃ আসাদুজ্জামান সরকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী (ইউএনএফপিএ–ল্যাম্ব), আরো উপস্থিত ছিলেন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোঃ তৌহিদুর রহমান, এবং ফার্মাসিস্ট আব্দুল্লাহ আল বাকী,পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা লায়লা ইয়াসমিন, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক আব্দুল হক মন্ডল।
এছাড়াও উক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন উপজেলার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকবৃন্দ, বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, ধর্মীয় নেতা, নারী প্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তি সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিগণ।
বক্তাগণ তাঁদের বক্তব্যে বলেন, ইজি ডেলিভারি বর্তমান সময়ে একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও সময়োপযোগী স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা। এটি প্রসূতি মায়েদের জন্য নিরাপদ, সহজলভ্য ও ঝুঁকিমুক্ত প্রসব সেবা প্রদান করে থাকে। মাতৃ ও নবজাতকের জীবন রক্ষায় এই সেবার গুরুত্ব অপরিসীম।
সভায় জানানো হয়, পাইকেরছড়া মডেল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে এখন নিয়মিতভাবে দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে নিরাপদ প্রসব সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এতে করে বাড়ি থেকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রসবের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং গর্ভকালীন জটিলতা কমে আসছে।
আলোচনা সভায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষক ও সমাজকর্মীরা বলেন, এ ধরনের স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে জনগণের মধ্যে এখনো পুরোপুরি সচেতনতা গড়ে ওঠেনি। তাই এর ব্যাপক প্রচার প্রয়োজন। তাঁরা বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে পরিবার ও সমাজে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
জেলা পরিবার পরিকল্পনা ফেসিলিটেটর আসাদুজ্জামান সরকার বলেন, “সকল স্তরের মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা গড়ে তুলতে এ ধরনের সভা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইজি ডেলিভারি সেবা সম্পর্কে সবাইকে জানতে হবে, বুঝতে হবে এবং অন্যদের জানাতে হবে।”
এই উদ্যোগের মাধ্যমে পাইকেরছড়া ইউনিয়নে স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নিরাপদ মাতৃত্ব ও নবজাতকের সুস্বাস্থ্যের নিশ্চয়তা আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।