London ১১:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
নেত্রকোণায় দুদকের ১৮৩তম গণশুনানি, স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা বৃদ্ধির আহ্বান জালালাবাদ প্রবাসী কল্যাণ পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির বৃক্ষরোপন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীতে হাত-পা ও মা’থাবিহীন অ’জ্ঞাতনামা একটি লা’শ উদ্ধার রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ জন তানোরে দুই বাড়িতে দূর্ধষ ডাকাতি কালিয়াকৈর সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ চাঁদা না পেয়ে মহিলাকে কুপিয়ে জখম করলো ইউএনও অফিসের অফিস সুপার বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি শুরু সহায়-সম্বলহীন শুক্কুরী বেগমকে ঘর উপহার দিলেন তারেক রহমান পটুয়াখালীতে মার্কিন নাগরিককে গণধর্ষণ মামলার ০৩ আসামি গ্রেফতার

পলাশবাড়ির সাঁকোয়া ব্রিজ এলাকায় ইপিজেডের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কের সাঁকোয়া ব্রিজ এলাকায় ইপিজেড (ঊচত) স্থাপনের দাবিতে শুক্রবার গাইবান্ধা সাকোয়া ব্রিজ ইপিজেড বাস্তবায়ন মঞ্চের উদ্যোগে গানাসাস মার্কেটের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের সভাপতি অ্যাড. কুশলাশীষ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ফারুক কবীরের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, জাহাঙ্গীর কবির, অ্যাড. মোহাম্মদ আলী প্রামানিক, রবিদাশ ফোরামের সভাপতি সুনীল রবিদাস, রবিদাস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক খিলন রবিদাস, আইনজীবী সহকারী আব্দুল হাই, সমাজকর্মী মনির হোসেন সুইট, সাদেকুল ইসলাম, জিহাদ প্রধান, মানবাধিকার কর্মী কাজী আব্দুল খালেক, সোমা ইসলাম, কাজী আব্দুল ওয়াদুদ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, গাইবান্ধা আজ উন্নয়ন থেকে ছিটকে পড়া এক ‘পকেট শহর’, যেখানে নেই শিল্প-কারখানা, নেই কর্মসংস্থান, নেই সম্ভাবনার সদ্ব্যবহার। অথচ এই জনপদের পাশে, সাঁকোয়া ব্রিজ এলাকায় যদি ইপিজেড গড়ে ওঠে, তাহলে গোটা উত্তরাঞ্চলের চিত্রই বদলে যাবে।
তারা বলেন, গাইবান্ধার সাবেক জেলা প্রশাসক ড. কাজী আনোয়ারুল হক এই এলাকাকে কেন্দ্র করে ইপিজেড গঠনের সুপারিশ পাঠিয়েছিলেন, যেটি গাইবান্ধাবাসী আন্তরিকভাবে সমর্থন করেছিল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল ষড়যন্ত্র করে এই প্রস্তাব বাতিল করে আদিবাসী সাঁওতাল পল্লীর মত একটি বিরোধপূর্ণ এলাকায় ইপিজেড স্থাপনের চেষ্টা করছে, যা মানবিক ও সুশিল মানুষের আপত্তির মুখে ইতিমধ্যেই প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।

বক্তারা আরও বলেন, সাঁকোয়া এলাকায় ইপিজেড হলে রয়েছে সহজ যোগাযোগ রেলপথ, রাজপথ, নৌপথ, এমনকি হেলিপ্যাডও নিকটেই। এতে বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ বাড়বে, কর্মসংস্থান হবে হাজারো মানুষের। সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি, পলাশবাড়ী, গোবিন্দগঞ্জসহ আশপাশের উপজেলার মানুষ সহজেই যাতায়াত করতে পারবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০২:৫৮:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
৪১
Translate »

পলাশবাড়ির সাঁকোয়া ব্রিজ এলাকায় ইপিজেডের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

আপডেট : ০২:৫৮:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কের সাঁকোয়া ব্রিজ এলাকায় ইপিজেড (ঊচত) স্থাপনের দাবিতে শুক্রবার গাইবান্ধা সাকোয়া ব্রিজ ইপিজেড বাস্তবায়ন মঞ্চের উদ্যোগে গানাসাস মার্কেটের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের সভাপতি অ্যাড. কুশলাশীষ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ফারুক কবীরের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, জাহাঙ্গীর কবির, অ্যাড. মোহাম্মদ আলী প্রামানিক, রবিদাশ ফোরামের সভাপতি সুনীল রবিদাস, রবিদাস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক খিলন রবিদাস, আইনজীবী সহকারী আব্দুল হাই, সমাজকর্মী মনির হোসেন সুইট, সাদেকুল ইসলাম, জিহাদ প্রধান, মানবাধিকার কর্মী কাজী আব্দুল খালেক, সোমা ইসলাম, কাজী আব্দুল ওয়াদুদ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, গাইবান্ধা আজ উন্নয়ন থেকে ছিটকে পড়া এক ‘পকেট শহর’, যেখানে নেই শিল্প-কারখানা, নেই কর্মসংস্থান, নেই সম্ভাবনার সদ্ব্যবহার। অথচ এই জনপদের পাশে, সাঁকোয়া ব্রিজ এলাকায় যদি ইপিজেড গড়ে ওঠে, তাহলে গোটা উত্তরাঞ্চলের চিত্রই বদলে যাবে।
তারা বলেন, গাইবান্ধার সাবেক জেলা প্রশাসক ড. কাজী আনোয়ারুল হক এই এলাকাকে কেন্দ্র করে ইপিজেড গঠনের সুপারিশ পাঠিয়েছিলেন, যেটি গাইবান্ধাবাসী আন্তরিকভাবে সমর্থন করেছিল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল ষড়যন্ত্র করে এই প্রস্তাব বাতিল করে আদিবাসী সাঁওতাল পল্লীর মত একটি বিরোধপূর্ণ এলাকায় ইপিজেড স্থাপনের চেষ্টা করছে, যা মানবিক ও সুশিল মানুষের আপত্তির মুখে ইতিমধ্যেই প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।

বক্তারা আরও বলেন, সাঁকোয়া এলাকায় ইপিজেড হলে রয়েছে সহজ যোগাযোগ রেলপথ, রাজপথ, নৌপথ, এমনকি হেলিপ্যাডও নিকটেই। এতে বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ বাড়বে, কর্মসংস্থান হবে হাজারো মানুষের। সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি, পলাশবাড়ী, গোবিন্দগঞ্জসহ আশপাশের উপজেলার মানুষ সহজেই যাতায়াত করতে পারবে।