পটুয়াকালী সদর উপজেলায় সিঁধ কেটে বসতঘরে প্রবেশের পর দেখে ফেলায় গৃহকর্তাকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে গেছে একদল দল।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে উপজেলার জৈনকাঠি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সেহাকাঠী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান পটুয়াখালী সদর থানার ওসি ইমতিয়াজ আহমেদ।
নিহত মোশারফ খান (৪২) ওই গ্রামের হানিফ খানের ছেলে। তিনি পেশায় অটোচালক ছিলেন।
ওসি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ঘটনাস্থলের পাশ থেকে তিন জোড়া স্যান্ডেল ও রক্তমাখা জামা জব্দ করা হয়েছে। মোশারফের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। প্রাথমিকভাবে এটি পরিকল্পিত হত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনা তদন্তে মাঠে নেমেছে পুলিশ। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সকাল থেকেই নিহতের বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও স্বজনরা।
মোশারফের বাবা হানিফ খান বলেন, দেড় বছর আগে মোশারফ নির্জন এলাকায় নতুন বাড়ি নির্মাণ করেন। মোশারফ সেখানে স্ত্রী ও নবম শ্রেণি পড়ুয়া এক মেয়েকে নিয়ে বসবাস করে আসছেন।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে সিঁধ কেটে কয়েকজন মোশারফের ঘরে প্রবেশ করে। ঘরের বারান্দায় মোশারফ এবং ভিতরে তার স্ত্রী ও মেয়ে ঘুমিয়ে ছিল। হঠাৎ ঘরে মানুষের উপস্থিতি টের পেয়ে স্ত্রী ও মেয়ে ডাক চিৎকার শুরু করেন।
এ সময় ঘরে প্রবেশ করা লোকজন দরজা দিয়ে পালাতে চেষ্টা করলে মোশারফ একজনকে জাপটে ধরেন। তাকে ছাড়াতে মোশারফকে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করা হয়। এ সময় মা ও মেয়ের ডাক চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
পরে মোশারফকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান হানিফ খান।
মোশারফের স্ত্রী শাহনাজ বেগম বলেন, পরিবারের প্রধান সহায় ছিলেন আমার স্বামী। তার না থাকার শূন্যতা আমাদের ভেঙে দিয়েছে। ছেলে ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে। এখন সব দায়িত্ব আমার কাঁধে। যারা এটা করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”