পবিত্র ঈদুল আজহা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন পশুর হাট জমে উঠতে শুরু করেছে। এসব হাটে এখন প্রাধান্য পাচ্ছে দেশীয় খামার ও গৃহস্থবাড়িতে পালিত গরু। এ বছর ভারতীয় গরুর আমদানি তুলনামূলক কম। তবে গরু-ছাগলের সরবরাহ বাড়লেও ক্রেতা উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে কম থাকায় ন্যায্য দাম না পাওয়ার অভিযোগ করছেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা।
পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের ব্যবসায়ী হারুন মিয়া। তিনি বলেন, ‘এক মাস আগে পাঁচটি গরু ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকায় কিনেছিলাম। এখন বাজারের যে অবস্থা, তাতে ওই গরু বিক্রি করলেও মূলধন উঠবে না। লাভ তো দূরের কথা, খাবারের খরচও উঠছে না। আজ (বুধবার) একটি গরুও বিক্রি হয়নি।’
তবে পাইকারদের ধারণা, কোরবানি ঈদের এখনো তিন দিন বাকি। শহরের ক্রেতারা আগেভাগে কোরবানির গরু কিনে লালন-পালনের ঝামেলার কারণে শেষ সময়ে হাটে এসে গরু কেনেন। তাই বৃহস্পতি ও শুক্রবার বেচাবিক্রি অনেকটা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ বিক্রেতারা কোরবানির আর ও কয়েকদিন বাকি বিধায় দাম কমাচ্ছেন না। ফলে তাদের আবারও গরু কিনতে বাজারে আসতে হবে।
নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতেকটি বাজারের নিরাপত্তা মনিটরিং এর জন্য পুলিশ কন্ট্রোল রুম বসানো হয়েছে।