পটুয়াখালীতে মেডিকেলে না পড়ে ও ১০ বছর যাবত এমবিবিএস ডাক্তার তারা এদের খুঁটির জোর কোথায় ?

পটুয়াখালী শহরের বড় চৌরাস্তা এলাকা সংলগ্ন মির্জাগঞ্জ সড়কে দাড়িয়াল ইউনিয়ন জনকল্যাণ সংস্থার জোনাল অফিসে এমবিবিএস ডাক্তার সেজে পটুয়াখালী জেলা শহর, বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ডে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এই প্রতারক চক্র।
অনুসন্ধানে দুজনের তথ্য পেয়েছি এদের একজন ডা: কাজী হাসান ইমাম ( এমবিবিএস ) (এ এমডি) যিনি তার একাধিক সহকারী সহ ইন্ডিয়া থেকে পাশ করে এসেছেন বর্তমানে আল নুর ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এর উপ-পরিচালক (স্বাস্থ্য) পদে কর্মরত আছেন। বাস্তবিক অর্থে পটুয়াখালীতে আল নুর ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এর অস্তিত্ব খুজে পাওয়া যায়নি । যারা মেডিকেল কলেজে লেখাপড়া না করলেও এমবিবিএস ডাক্তার বনে গেছেন।
নিয়মিত দেখছেন রোগী দিচ্ছেন পেসক্রিপশন করছেন মেডিকেল টেষ্ট সহ বিভিন্ন কার্যক্রম। অপরজন ডাঃ মোঃ নাসির মাহমুদ (এমবিবিএস, এ এম, মেডিসিন ) মেডিকেল অফিসার, দাড়িয়াল ইউনিয়ন জনকল্যাণ সংস্থা। এ দু’জনের ডিগ্রির ব্যাপারে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ দিলরুবা ইয়াসমিন লিজা জানান, এরকম কোনো ডিগ্রি মেডিকেলে নেই।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ভুয়া ডিগ্রি ব্যবহারকারী ডাক্তার কাজী হাসান ইমাম মুঠোফোনে বলেন , আমাদের প্রতিষ্ঠানে মোট ছয়জন ডাক্তার দুইজন মহিলা এমবিবিএস ডাক্তার, আর বাকি আমরা চারজন ভারত থেকে এমবিবিএস পাশ করে এসে দীর্ঘ ১০ বছর যাবত পটুয়াখালীতে রোগী দেখে আসছি বর্তমানে আল নুর ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এ উপ-পরিচালক (স্বাস্থ্য) পদে কর্মরত আছি।
আল নুর ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এর ঠিকানা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি পটুয়াখালীতেই অবস্থিত তবে এর কোন আলাদা অফিস নেয়া হয়নি এর পরিচালক রফিক সাহেব । ভারত থেকে পাশের সার্টিফিকেট এর ব্যাপারে জানতে চাইলে ডাঃ কাজী হাসান ইমাম বলেন, আমাদের কাগজপত্র দাঁড়িয়াল ইউনিয়ন জনকল্যাণ সংস্থায় দেয়া আছে। আমাদের কাগজপত্র ডিসিকে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে সে বলেছে আমি তো এ বিষয়ে ক্ষমতা রাখি না এটা উপর মহলে পাঠাইতে হবে। পরে আমরা এপ্লিকেশন করে উপর মহলে পাঠিয়ে দিয়েছি। এ বিষয়ে সিভিল সার্জন অফিস, জেলা প্রশাসন সবাই জানে তাদের কাছে আমাদের কাগজপত্র দেয়া আছে।