London ১১:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
মেডিকেল ক্যাম্প–রক্তদানে ব্যতিক্রমী আয়োজন, পালিত হলো প্রেসক্লাব আলফাডাঙ্গার ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী দিনব্যাপী সেবামূলক কার্যক্রমে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ পটুয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন ভাই আজাদসহ দুই স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা কালিয়াকৈরে সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকচালক নিহত রাজশাহীতে চলছে ট্রাফিক সপ্তাহ ২০২৫ কালিয়াকৈর ৫ নং ওয়ার্ড পৌর বি এন পির নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা ও মতবিনিময় বিক্ষোভ সমাবেশে ক্ষোভের বিস্ফোরণ: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রহসনমূলক রায়ের প্রতিবাদে লন্ডনে প্রবাসীদের গণজমায়েত রাজশাহীতে চলছে উদ্যোক্তা মেলা গাজীপুর-১ আসন কালিয়াকৈরে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর শীতার্ত মানুষের কষ্ট লাঘবে নানিয়ারচর জোন (১৭ই বেংগল) এর উদ্যোগে বিনামূল্যে শীতবস্ত্র বিতরণ সিরাজগঞ্জ সততা ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে নবনির্বাচিত পরিচালক হাজী মোঃ আব্দুস সাত্তারকে সংবর্ধনা

পটুয়াখালীতে বাড়ছে ডাকাতি, আতঙ্কে গ্রামাঞ্চলের মানুষ

মুহাম্মাদ রাকিব, পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

পটুয়াখালীতে একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন জেলার গ্রামীণ জনগণ। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুটের পাশাপাশি ঘটছে নারী নির্যাতনের মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনাও।

গত ১৩ জুলাই কলাপাড়ার টিয়াখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ বাদুরতলীতে সংঘটিত হয় ভয়াবহ এক ডাকাতি। ওই রাতে বাড়ির সবাইকে হাত-পা বেঁধে রেখে নববধুকে পাশের কক্ষে নিয়ে গণধর্ষণ করে ডাকাতদল। তারা লুটে নেয় প্রায় ১৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ।

এরপর ২১ আগস্ট রাতে কলাপাড়ার নীলগঞ্জে স্বর্ণ ব্যবসায়ী নিখিল কর্মকারের বাড়িতে আরেকটি দুঃসাহসিক ডাকাতি ঘটে। জানালার গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে ডাকাতরা পরিবারের সদস্যদের মারধর ও বেঁধে ফেলে। রিভলবার ঠেকিয়ে লুটে নেয় ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ।

এর মাত্র দুদিন পর ২৩ আগস্ট রাতে পাশের লতাচাপলী ইউনিয়নের আলিপুর গ্রামে এক রাতে তিনটি বাড়িতে ডাকাতি হয়। একই রাতে গলাচিপা পৌর শহরের এক সংখ্যালঘু ব্যবসায়ীর বাড়িতেও স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা লুট হয়।
অন্যদিকে, বাউফলের কাশিপুরে ডাকাতির পর পালাতে গিয়ে গণপিটুনিতে নিহত হন একজন, গুরুতর আহত হন আরেকজন। আর চলতি বছরের জানুয়ারিতে কলাপাড়ার নীলগঞ্জে ডাকাতির সময় অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আবুল কালামের স্ত্রী শাহনাজ বেগমকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, প্রায়ই ডাকাতি হচ্ছে। রাতে ঘুমাতে ভয় লাগে। পুলিশের টহল থাকলেও ডাকাতি থামছে না।

পুলিশ জানায়, নববধু ধর্ষণসহ একাধিক ডাকাতির ঘটনায় জড়িত কয়েকটি চক্রের সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে জোরদার করা হয়েছে টহল।

পটুয়াখালী জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সমীর সরকার বলেন, ‘ডাকাতির ঘটনায় আমাদের একাধিক অভিযান চলছে। বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে মাঠে কাজ করছে পুলিশ।’

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে জেলায় ডাকাতির ঘটনায় মামলা হয়েছে ২০টি। এর মধ্যে শুধু জুলাই-আগস্ট মাসেই মামলা হয়েছে ৮টি। এ সময় গ্রেফতার হয়েছে ৪২ জন। তবে পুলিশের পরিসংখ্যানের বাইরে আরও অনেক ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগীরা ভয়ে কিংবা বিচারহীনতার আশঙ্কায় মামলা করতে সাহস পাচ্ছেন না।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০১:৪০:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৭০
Translate »

পটুয়াখালীতে বাড়ছে ডাকাতি, আতঙ্কে গ্রামাঞ্চলের মানুষ

আপডেট : ০১:৪০:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পটুয়াখালীতে একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন জেলার গ্রামীণ জনগণ। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুটের পাশাপাশি ঘটছে নারী নির্যাতনের মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনাও।

গত ১৩ জুলাই কলাপাড়ার টিয়াখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ বাদুরতলীতে সংঘটিত হয় ভয়াবহ এক ডাকাতি। ওই রাতে বাড়ির সবাইকে হাত-পা বেঁধে রেখে নববধুকে পাশের কক্ষে নিয়ে গণধর্ষণ করে ডাকাতদল। তারা লুটে নেয় প্রায় ১৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ।

এরপর ২১ আগস্ট রাতে কলাপাড়ার নীলগঞ্জে স্বর্ণ ব্যবসায়ী নিখিল কর্মকারের বাড়িতে আরেকটি দুঃসাহসিক ডাকাতি ঘটে। জানালার গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে ডাকাতরা পরিবারের সদস্যদের মারধর ও বেঁধে ফেলে। রিভলবার ঠেকিয়ে লুটে নেয় ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ।

এর মাত্র দুদিন পর ২৩ আগস্ট রাতে পাশের লতাচাপলী ইউনিয়নের আলিপুর গ্রামে এক রাতে তিনটি বাড়িতে ডাকাতি হয়। একই রাতে গলাচিপা পৌর শহরের এক সংখ্যালঘু ব্যবসায়ীর বাড়িতেও স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা লুট হয়।
অন্যদিকে, বাউফলের কাশিপুরে ডাকাতির পর পালাতে গিয়ে গণপিটুনিতে নিহত হন একজন, গুরুতর আহত হন আরেকজন। আর চলতি বছরের জানুয়ারিতে কলাপাড়ার নীলগঞ্জে ডাকাতির সময় অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আবুল কালামের স্ত্রী শাহনাজ বেগমকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, প্রায়ই ডাকাতি হচ্ছে। রাতে ঘুমাতে ভয় লাগে। পুলিশের টহল থাকলেও ডাকাতি থামছে না।

পুলিশ জানায়, নববধু ধর্ষণসহ একাধিক ডাকাতির ঘটনায় জড়িত কয়েকটি চক্রের সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে জোরদার করা হয়েছে টহল।

পটুয়াখালী জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সমীর সরকার বলেন, ‘ডাকাতির ঘটনায় আমাদের একাধিক অভিযান চলছে। বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে মাঠে কাজ করছে পুলিশ।’

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে জেলায় ডাকাতির ঘটনায় মামলা হয়েছে ২০টি। এর মধ্যে শুধু জুলাই-আগস্ট মাসেই মামলা হয়েছে ৮টি। এ সময় গ্রেফতার হয়েছে ৪২ জন। তবে পুলিশের পরিসংখ্যানের বাইরে আরও অনেক ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগীরা ভয়ে কিংবা বিচারহীনতার আশঙ্কায় মামলা করতে সাহস পাচ্ছেন না।