পটুয়াখালীতে চাল আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত বিএনপি নেতাদের বিরোধ

পটুয়াখালীর বাউফলে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে ১১ সেপ্টেম্বর এক ডিলার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বগা বাজারে সুলতান সিকদার নামে এক কর্মীর নামে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলারশিপ ছিল। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সুলতান সিকদার এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান।
এ সুযোগে বগা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রুবেল মৃধা ও কৃষকদলের সভাপতি মাসুদ সিকদার সুলতানের নামে বরাদ্দকৃত চাল তোলেন। কিন্তু তারা নিয়মমতো বিতরণ না করে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে স্থানীয় ভুক্তভোগীরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করলে ইউএনও নতুন করে ডিলারশিপের দায়িত্ব দেন জাহিদুল হাসান সাবুকে।
এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে বগা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক বাবুল মৃধা চাঁদপাল ডিলার জাহিদুল হাসান সাবুকে ফোনে গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় জাহিদুল থানায় জিডি করেন।
জাহিদুল বলেন, “ইউএনও স্যার আমাকে ডিও দিয়েছেন, আমি নিয়মমতো গরিব মানুষের মাঝে চাল বিতরণ করছি। এতে আমার কি দোষ করলাম? সেখানে বাবুল মৃধা আমাকে বলেন,”আমার ছেলেরা এটা দিয়ে দুই পয়সা রোজগার করে তুই কেন,ডিও ছাড়াইলি। তুই আওয়ামী লীগের সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেবের দোসর। তুই এলাকায় আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছো। তোকে দেখিয়ে দেবো। পরে আমি বিষয়টি ইউ,এন,ও কে জানাই এবং বাউফল থানায় জিডি করি।”
অন্যদিকে বিএনপি নেতা রুবেল ও মাসুদ সিকদার দাবি করেছেন, “আমরা সুলতানের নামে বরাদ্দকৃত চাল সঠিকভাবে জনগণের মধ্যে বিতরণ করেছি। জাহিদুল প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে ডিও নিয়ে ব্যবসা করছে।”
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বাবুল মৃধা বলেন, “আমি তাকে হুমকি দিইনি। শুধু বিষয়টি জানতে চেয়েছি।”
বাউফল উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ ফিরোজ জানান, “কোনো অনিয়মে জড়িত ব্যক্তির দায় উপজেলা বিএনপি নেবে না।”
বাউফল থানার ওসি আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, “ডিলার জাহিদুল একটি জিডি করেছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, “সুলতানের নামে কোনো ডিলার নেই। তাই জনস্বার্থে নতুন ডিলারের মাধ্যমে চাল বিতরণ হচ্ছে। হুমকির বিষয়টিও আমরা জানি।”