পটুয়াখালীতে আপন ভাইদের দাপটে ১০ বছর বাড়িছাড়া, আদালত প্রাঙ্গন থেকে গুম ও হত্যাচেষ্টা

পটুয়াখালী সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের নন্দীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা পটুয়াখালী সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভুক্তভোগী আবদুল হক জানান, বিগত ১০ বছর আগে আমি আর্থিক সমস্যার কারণে আমার মোট ১৪ কাঠা সম্পত্তির ৬.৫ কাঠা আমার আপন ভাই মালেক মুসল্লী, ফরিদ মুসল্লী, সিদ্দিক মুসল্লী এবং ভাতিজা আউয়াল মুসল্লীর কাছে সর্বমোট ৬.৫০ কাঠা জমি বিক্রি করি। বিক্রি করার পর তারা আমাকে মারধর করে , ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরে তারা আমার ঘর বাড়িসহ বাকি ৭.৫০ কাঠা জমি দখল করে। পরে আমি আদালতের দ্বারস্থ হলে তাদের অত্যাচারে বিগত ১০ বছরে ঠিকমতো আদালতে যেতে পারি নাই। উল্টো আমার নামে চাঁদাবাজি, নারী নির্যাতন, গাছকাটা সহ পাঁচটা মামলা করেন তারা।
সর্বশেষ আমি গত ২৯ জুলাই (মঙ্গলবার) ১:২০ মিনিটের সময় মামলা সংক্রান্ত কাজে পটুয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কাজ শেষে বের হবার পর আইনজীবী সমিতির সামনে আসলে আউয়াল, জুয়েল, সিদ্দিক মুসল্লী, কিবরিয়া, দেলোয়ার সহ ৮-১০ জন লোক আমার মুখ চেপে ধরে অটোরিকশায় তুলে নিয়ে তিতাস মোড়ে পৌছালে আমার চেপে ধরা মুখ থেকে তাদের হাত ফসকে গেলে আমি চিৎকার দেই সেখানে উপস্থিত লোকজন ছুটে প্রতিবাদ করলে আমাকে থানার পুলিশের কথা বলে থানায় নিয়ে যায়। পরে থানায় গেলে অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা তাদের রাগারাগি করলে তারা হাবিব দারোগার কথা বলে। হাবিব দারোগা এসে আমাকে ডেকে রুমে নিয়ে যায় পরে আমাকে গুম ও হত্যাচেষ্টা কারীদের কাছে দিয়ে হাসপাতালে দিয়ে আসতে বলে। পরে তারা আমাকে হাসপাতালের বেডে ফেলে রেখে যায়।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীর স্ত্রী হনুফা বেগম জানান, আমার অসুীস্থ নাতনীকে নিয়ে আমি হাসপাতালে আসছিলাম পরে দেলোয়ার মুসল্লী আমাকে ডেকে বলে তোর স্বামীকে হাসপাতালের ৪ তলায় রেখে আসছি। আমার তিন মেয়ে সহ বর্তমানে আমরা হেতালিয়া বাধঘাট এর রাস্তার পাশে দিনযাপন করি। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ তারা যেন আমাদের বাড়িঘর ফিরিয়ে দেয়।