নেত্রকোণায় স্ত্রীকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার
নেত্রকোণায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় স্বামী রমজান মিয়াকে (৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নেত্রকোণা মডেল থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ।
তিনি বলেন, দুপুরের দিকে রমজান মিয়াকে আদালতে গ্রেরণ করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে সালমা বেগম হত্যার ঘটনায় নিহতের ভাই মো. সবুজ মিয়া বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
নিহত সালমা বেগম (২৪) নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলার রানাহিজল গ্রামের মো. আলতু মিয়ার মেয়ে। গ্রেফতারকৃত রমজান মিয়া নেত্রকোণা সদর উপজেলার আমতলা ইউনিয়নের আমতলা (পূর্বপাড়া) গ্রামের মো. হাসেম মিয়ার ছেলে।
এই হত্যা মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- গ্রেফতারকৃত রমজানের বড় দুই ভাই মো. জুয়েল মিয়া ও মো. জামাল মিয়া এবং তাদের বাবা মো. হাসেম মিয়া।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ছয় বছর আগে সালমা বেগমের সাথে রমজান আলীর বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে চার বছর বয়সের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে তারা বেশিরভাগ সময় তারা ঢাকার মিরপুর এলাকায় বসবাস করতেন। রমজান মিয়া জুয়া খেলার জন্য প্রায় সময় স্ত্রীর কাছে টাকা পয়সা চাইতেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায় সময়েই ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। বেশ কিছুদিন আগে রমজান মিয়া ঢাকা থেকে নেত্রকোণার বাড়িতে চলে আসেন।
সম্প্রতি রমজান মিয়া ঢাকায় গিয়ে স্ত্রীকে বলে সে ভাল হয়ে গেছে। এই বলে নেত্রকোণায় ভাড়া বাসার কথা বলে এবং তারা দুজনে মিলে সুখে-শান্তিতে থাকার প্রলোভন দেখিয়ে গত মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে সালমা বেগমকে গ্রামের বাড়ি আমতলায় (পূর্বপাড়া) নিয়ে আসেন। রাতের খাবার খেয়ে ছেলে ও স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়লে রমজান মিয়া তার দুই ভাই ও তাদের বাবার সহায়তায় গলায় জুতার ফিতা প্যাঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে সালমা বেগমকে হত্যা করে। পরে অপরাধ ধামাচাপা দিতে রমজান মিয়া চিৎকার চেচামেচি শুরু করেন। তার চিৎকার চেচামেচি শোনে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি বুঝতে পেরে থানা পুলিশকে অবগত করেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের স্বামী রমজান মিয়াকে আটক এবং মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ