পটুয়াখালীর গলাচিপায় গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরকে বিএনপি-সমর্থিত একটি অংশের নেতাকর্মীরা অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনায় দেশব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গণ অধিকার পরিষদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল।
শুক্রবার, ১৩ জুন, বিকেল ৪:৩০ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এই প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেন জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও গণমানুষের প্রতিনিধিরা।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন—
আশরাফুল হাসান তপু – সভাপতি, গণ অধিকার পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা
কাজী রাজিউর রহমান তানভীর – সাধারণ সম্পাদক
ইঞ্জিনিয়ার ফখরুদ্দিন – যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
শিব্বির আহমেদ – সভাপতি, জেলা শ্রমিক অধিকার পরিষদ
সোহেল রানা রাফি – সভাপতি, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদ
এবং আরও অনেক প্রগতিশীল কর্মী ও ছাত্রনেতৃবৃন্দ।
এর আগে শহরের পৌর মুক্তমঞ্চ থেকে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে টিএ রোড প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলের প্রতিটি মুহূর্তে “গণতন্ত্রের নামে দমন নিন্দনীয়”, “ভিপি নুরের অবরোধ, জনগণের কণ্ঠ রুদ্ধ করার চেষ্টা”—এইসব স্লোগানে প্রকম্পিত হয় শহরের বাতাস।
সমাবেশে বক্তারা বলেন,
"সাহসী কণ্ঠকে স্তব্ধ করতে যারা মাঠে নেমেছে, তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রতিটি প্রান্তে গণজাগরণ হবে। গলাচিপার ঘটনা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে হস্তক্ষেপ, যা রাজনৈতিক নৈতিকতার চরম অবক্ষয়ের দৃষ্টান্ত।"
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ১৩ জুন রাতে পটুয়াখালী-৩ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপি নেতা হাসান মামুনের অনুসারীরা নুরুল হক নুরকে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং তার যাত্রাসঙ্গী মোটরসাইকেল দুটি ভাঙচুর করে। ঘটনার পরপরই নুর জেলা পুলিশ সুপার ও গলাচিপা থানার ওসিকে অবহিত করেন। তিন ঘণ্টা পর সেনাবাহিনীর দুটি গাড়ি গিয়ে তাকে নিরাপদে উদ্ধার করে।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নেতাকর্মীরা জানান, "যারা গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে মাঠে থাকে, তাদের ওপর হামলা গোটা জাতির জন্য অশনিঝ সংকেত।"
সমাবেশ শেষে জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে গণসংযোগ ও প্রচার কাজ চালিয়ে যান নেতৃবৃন্দ, যেখানে সাধারণ জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যায়।