হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা এবং উত্তরার স্কলাস্টিকা ক্যাম্পাস থেকে লা মেরিডিয়েন হোটেল পর্যন্ত প্রধান সড়ক নীরব এলাকা ঘোষণার প্রথম দিন ছিল গতকাল বুধবার।
এদিন কোনো চালককে হর্ন বাজানোর জন্য জরিমানা করা না হলেও সতর্ক করা হয়। এ ছাড়া সকালে সচিবালয় এলাকায় সচেতনতা কার্যক্রম চালান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন কর্মকর্তারা। দিনভর ওই এলাকায় স্টিকার ও লিফলেট বিতরণ, মৌখিক অনুরোধসহ বিভিন্নভাবে চালকদের সচেতনতার কার্যক্রম চলে। কয়েক দিন এমন প্রচারণার পর হর্ন বাজালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে।
সরেজমিন দেখা গেছে, অন্যান্য দিনের চেয়ে অহেতুক হর্ন বাজানো কিছুটা বন্ধ হয়েছে। মোটরসাইকেলের চালক, ব্যক্তিগত গাড়ি ও বাসগুলো হর্ন বাজালেই থামিয়ে সচেতন করা হচ্ছে। গতকাল ঘোষিত নীরব এলাকায় শব্দের তীব্রতা নির্ণয়ে কাজ করে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (কেপস) একটি দল। কেন্দ্রটির পরিচালক অধ্যাপক আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার জানান, দলটি নীরব এলাকা ঘোষণার আগে শব্দের মানমাত্রা এবং ঘোষণার পরের মানমাত্রার তথ্য রেকর্ড করছে।
এর আগে মঙ্গলবার নীরব এলাকা বাস্তবায়ন কর্মসূচি উদ্বোধন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। রাস্তাকে হর্নমুক্ত রাখতে সবার সহযোগিতা চেয়ে উপদেষ্টা বলেন, প্রথমে গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে, পরে পুরো ঢাকা শহর এবং ধীরে ধীরে বিভাগীয় শহরগুলোতেও শব্দদূষণ বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ঢাকায় যানবাহনের হর্নের কারণে মানুষের শ্রবণশক্তি কমছে।