London ১২:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
দেশে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ সোনারগাঁও টেক্সটাইলসের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ হবে সব ইবতেদায়ি মাদরাসা আশ্বাস যুগ্ম সচিবের অবশেষে ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত নানিয়ারচরে সিলেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশিপ ফাউন্ডেশনের শীতবস্ত্র বিতরণ শকুনদের টার্গেট শিক্ষার্থীদের ঐক্য নষ্ট করা: আজহারী শিক্ষার্থীর মুখ চেপে ধরা সেই পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে ১৭৯ জন নিহত, পাখায় মিলল পাখির পালক সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক ছেড়ে উঠে গেলেন নেতারা, বন্ধ থাকবে ট্রেন ভারতীয় নারীর হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশে ধর্ষণের ঘটনা বলে প্রচার রিউমার স্ক্যানার

নারায়ণগঞ্জে শেখ হাসিনা ও শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলা

শেখ হাসিনা ও শামীম ওসমানফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে মোনায়েল আহমেদ ইমরান (১৬) নিহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, নজরুল ইসলামসহ ১৭ জনের নামে মামলা করা হয়েছে।

গতকাল রোববার রাতে নিহত কিশোরের বাবা সোহাব উদ্দিন বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলাটি করেন। বাদীর বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার কামালপুর এলাকায়।

এ নিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে হতাহতের ঘটনায় জেলার বিভিন্ন থানায় ২১টি হত্যাসহ মোট ২৬টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ১৭টি হত্যাসহ ১৮ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান, তাঁর শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটু, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মিয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহ্বায়ক মতিউর রহমান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের এক নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলাম, ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা প্রমুখ। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ১০০ জনকে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২১ জুলাই বিকেলে প্রধান আসামি শেখ হাসিনার নির্দেশে নারায়ণগঞ্জে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে প্রতিহত করার জন্য আসামিরা বন্দুক, পিস্তল, তলোয়ার, রামদা, চাপাতি, ককটেলসহ অত্যাধুনিক দেশি–বিদেশি অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ছাত্র-জনতাকে প্রতিহত করেন। তাঁরা জালকুড়ি পাসপোর্ট অফিসের সামনে, সাইনবোর্ড ও সানারপাড়ে তাঁদের হাতে থাকা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সাইনবোর্ডের দিকে এগোতে থাকেন। এ সময় আসামিরা চারদিকে গুলি ছুড়তে থাকেন। বাদীর ছেলে মোনায়েল আহমেদ ইমরান জালকুড়ি পাসপোর্ট অফিসের সামনে এলে শামীম ওসমান আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে তাঁর ছেলেকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। তার বুকে গুলি লাগে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৫:১৬:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৪৯
Translate »

নারায়ণগঞ্জে শেখ হাসিনা ও শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলা

আপডেট : ০৫:১৬:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শেখ হাসিনা ও শামীম ওসমানফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে মোনায়েল আহমেদ ইমরান (১৬) নিহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, নজরুল ইসলামসহ ১৭ জনের নামে মামলা করা হয়েছে।

গতকাল রোববার রাতে নিহত কিশোরের বাবা সোহাব উদ্দিন বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলাটি করেন। বাদীর বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার কামালপুর এলাকায়।

এ নিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে হতাহতের ঘটনায় জেলার বিভিন্ন থানায় ২১টি হত্যাসহ মোট ২৬টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ১৭টি হত্যাসহ ১৮ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান, তাঁর শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটু, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মিয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহ্বায়ক মতিউর রহমান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের এক নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলাম, ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা প্রমুখ। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ১০০ জনকে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২১ জুলাই বিকেলে প্রধান আসামি শেখ হাসিনার নির্দেশে নারায়ণগঞ্জে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে প্রতিহত করার জন্য আসামিরা বন্দুক, পিস্তল, তলোয়ার, রামদা, চাপাতি, ককটেলসহ অত্যাধুনিক দেশি–বিদেশি অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ছাত্র-জনতাকে প্রতিহত করেন। তাঁরা জালকুড়ি পাসপোর্ট অফিসের সামনে, সাইনবোর্ড ও সানারপাড়ে তাঁদের হাতে থাকা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সাইনবোর্ডের দিকে এগোতে থাকেন। এ সময় আসামিরা চারদিকে গুলি ছুড়তে থাকেন। বাদীর ছেলে মোনায়েল আহমেদ ইমরান জালকুড়ি পাসপোর্ট অফিসের সামনে এলে শামীম ওসমান আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে তাঁর ছেলেকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। তার বুকে গুলি লাগে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।