একযোগে সারা দেশের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘সম্মিলিত নন-এমপিও ঐক্য পরিষদ’ ব্যানারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে এসে এই একাত্মতা ঘোষণা করেন তিনি। নন-এমপিও শিক্ষকরা ১৪ দিন যাবত প্রেস ক্লাবের ফুটপাতে অবস্থান করছেন।
একাত্মতা ঘোষণা করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মু. তাহের বলেন, নন-এমপিও শিক্ষকরা যে দাবি করছেন সেটা ন্যায্য দাবি। শিক্ষকরা তাদের ন্যায্য দাবি আদায় করার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে এসে রাজপথে আন্দোলন করছেন। দিনের পর দিন আন্দোলন করলেও সরকারের কানে পানি ঢুকছে না এখন পর্যন্ত। এটা উচিত ছিল শিক্ষকরা দাবি করার আগেই সব প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা। বাইরের দেশে শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হওয়ার জন্য কোনো দাবির প্রয়োজন হয় না। এটা সরকারের নিজস্ব দায়িত্ব শিক্ষা ব্যবস্থায় তাদের গ্রহণ করা।
তিনি বলেন, আমি আপনাদের এই দাবির সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে একাত্মতা ঘোষণা করছি। আমি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টাকে অনুরোধ করবো, আপনি তাদের কথা শুনেন এবং ন্যায্য দাবি মেনে নেন। আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা সুন্দর কথায় ভালো কথায় ন্যায্য দাবির কথা বললে তা পূরণ হয় না এই দেশে। আমরা আশা করছি আপনাদের সেই পর্যায়ে যাওয়ার লাগবে না।
তিনি আরও বলেন, আমি অনুরোধ করে বলবো আপনারা আসেন অথবা তাদের প্রতিনিধিদের নিয়ে কথা বলেন। তাদের সঙ্গে বসে তাদের দাবি গুলো পূরণ করেন। যদি না করেন তাহলে এই আন্দোলন শুধুমাত্র শিক্ষকদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। এটাতে সব শ্রেণীর মানুষ একসঙ্গে হবে।
এর আগে অবস্থান কর্মসূচিতে সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মো. দবিরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রতিবছর এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন নেওয়া হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় গত চার বছর কোনো আবেদন নেওয়া হয়নি। ২০২৫ সালে যদি আবেদন না নেওয়া হয় তাহলে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ দীর্ঘ ২০-২৫ বছর ধরে বিনা বেতনে কেউ চাকরি করতে পারে না।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের সামাজিক মর্যাদা ও সীমাহীন কষ্টের কথা চিন্তা করা দরকার। সেজন্য, এমপিও নীতিমালা ২০২১ এর সব শর্ত বাতিল করে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্ত করে শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দুঃখ দুর্দশার অবসান করতে হবে।