London ০৭:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নড়াইলে বিএনপি নেতাসহ তিনজনকে কুপিয়ে জখম, কবজি বিচ্ছিন্ন

অনলাইন ডেস্ক:

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় পূর্বশত্রুতার জেরে ফকির মিরাজুল ইসলাম (৫৫) নামের এক বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। হামলায় তার ডান হাতের কবজি পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের শারুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ইমরান হোসেন ও বাবলু শরীফ নামের আরও দুইজন আহত হয়েছেন।

আহত বিএনপি নেতা ফকির মিরাজুল ইসলাম শারুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফকির মিরাজুল ইসলাম ও স্থানীয় ইউপি সদস্য কাজী রওশান কাজীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বিরোধের জেরে আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রওশান কাজী তার লোকজন নিয়ে এসে মিরাজুল ইসলামের বাড়িতে হামলা করেন। এ সময় মিরাজুল ইসলামকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তার ডান হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করেন। সেখানে উপস্থিত থাকা বাবলু শরীফ ও ইমরান হোসেন বাধা দিতে গেলে তাদেরকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করা হয়।

আহত ফকির মিরাজুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি, আমার ছোট ভাই ইমরান হোসেন ও চাচাতো ভাই বাবলু শরীফ বসে কথা বলছিলাম। এ সময় রওশান কাজী, বাদশা গাজী, নারান গাজী, কচি, মারুফ, বণিক কাজীসহ ২০ জন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আমার হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। আমার ভাইদেরও কুপিয়েছে।

নড়াইল সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহেলী জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, মিরাজুল ইসলামের পা আগে থেকেই কাটা ছিল। সেই কাটা জায়গায় পুনরায় আঘাত করা হয়েছে। এ ছাড়া তার ডান হাতের কবজি পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আমরা এখানে যতটুকু চিকিৎসা দেওয়ার দিয়েছি। অপরজনের (বাবলু শরীফ) অবস্থাও আশঙ্কাজনক। দুইজনকেই প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

ইমরান ফকিরকে লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় অভিযুক্তরা আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান মুঠোফোনে ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। বর্তমানে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১১:২৭:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
Translate »

নড়াইলে বিএনপি নেতাসহ তিনজনকে কুপিয়ে জখম, কবজি বিচ্ছিন্ন

আপডেট : ১১:২৭:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় পূর্বশত্রুতার জেরে ফকির মিরাজুল ইসলাম (৫৫) নামের এক বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। হামলায় তার ডান হাতের কবজি পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের শারুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ইমরান হোসেন ও বাবলু শরীফ নামের আরও দুইজন আহত হয়েছেন।

আহত বিএনপি নেতা ফকির মিরাজুল ইসলাম শারুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফকির মিরাজুল ইসলাম ও স্থানীয় ইউপি সদস্য কাজী রওশান কাজীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বিরোধের জেরে আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রওশান কাজী তার লোকজন নিয়ে এসে মিরাজুল ইসলামের বাড়িতে হামলা করেন। এ সময় মিরাজুল ইসলামকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তার ডান হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করেন। সেখানে উপস্থিত থাকা বাবলু শরীফ ও ইমরান হোসেন বাধা দিতে গেলে তাদেরকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করা হয়।

আহত ফকির মিরাজুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি, আমার ছোট ভাই ইমরান হোসেন ও চাচাতো ভাই বাবলু শরীফ বসে কথা বলছিলাম। এ সময় রওশান কাজী, বাদশা গাজী, নারান গাজী, কচি, মারুফ, বণিক কাজীসহ ২০ জন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আমার হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। আমার ভাইদেরও কুপিয়েছে।

নড়াইল সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহেলী জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, মিরাজুল ইসলামের পা আগে থেকেই কাটা ছিল। সেই কাটা জায়গায় পুনরায় আঘাত করা হয়েছে। এ ছাড়া তার ডান হাতের কবজি পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আমরা এখানে যতটুকু চিকিৎসা দেওয়ার দিয়েছি। অপরজনের (বাবলু শরীফ) অবস্থাও আশঙ্কাজনক। দুইজনকেই প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

ইমরান ফকিরকে লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় অভিযুক্তরা আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান মুঠোফোনে ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। বর্তমানে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।