London ১১:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
চারঘাটে ডোবা থেকে যুবকের লা’শ উদ্ধার কালিয়াকৈরে ভুল রক্ত পুশে সিজারের রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ কালিয়াকৈর উপজেলা সূত্রাপুর এলাকায় চলন্ত অ্যাম্বুলেন্সে আগুনে পুড়ে ছাই কালিয়াকৈর ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারনে চরম ভোগান্তিতে দৈনন্দিন জনজীবন কালিয়া হরিপুরে নারীদের ফ্যামিলি কার্ড কার্যক্রমে তৃণমূল নারীদের জাগরণে ইব্রাহিম মোল্লা রাণীনগরে মৌসুমীর উদ্যোগে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত বিএনপির নতুন সদস্য সংহের ফরম বিতরন ও নবায়ন কমসুচি ধানখেত থেকে নারীর লাশ উদ্ধার সিরাজগঞ্জে চুরির মহামারি: সাংবাদিকের মোটরসাইকেল চুরি, নাগরিকদের মধ্যে চরম উদ্বেগ কালিয়াকৈরে হাজী বাড়ী ফুটবল প্রিমিয়ার লীগের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

নওগাঁর রানীনগরে জেন্ডার সচেতনতা ও নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন

আবু সাইদ, নওগাঁ

নারী-পুরুষের সমান মর্যাদা ও সহাবস্থানের মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়ে তোলার প্রত্যয়ে নওগাঁর রানীনগরে সম্পন্ন হলো “জেন্ডার সচেতনতা ও নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ” বিষয়ক প্রশিক্ষণ। এফসিডিও’র অর্থায়নে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের মাল্টি-স্টেকহোল্ডার ইনিশিয়েটিভ ফর পিস অ্যান্ড স্ট্যাবিলিটি (এমআইপিএস) প্রকল্পের আওতায় বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫) রানীনগর প্রেসক্লাবের হলরুমে দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।

প্রশিক্ষণে রাজনৈতিক, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠনের প্রতিনিধি, উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর গ্রুপ (YPAG)-এর সদস্যসহ মোট ১৭ জন যুব প্রতিনিধি অংশ নেন। তাদের মধ্যে ৭ জন নারী ও ১০ জন পুরুষ ছিলেন। অংশগ্রহণকারীরা জানান, এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তারা নিজ নিজ পরিবার, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনে গিয়ে নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিতকরণ এবং নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবেন।

প্রশিক্ষণে নারী-পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে করণীয়, সমাজে নারী-পুরুষের দায়িত্ব ও অবদান, নারীর প্রতি বৈষম্য দূরীকরণ, কুপ্রথা প্রতিরোধ, নেতৃত্বে নারীর অংশগ্রহণ, পারিবারিক সহমর্মিতা এবং সামাজিক সম্প্রীতির গুরুত্বের ওপর বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। অংশগ্রহণকারীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দিতে প্রজেক্টরের মাধ্যমে চিত্র উপস্থাপন ও গ্রুপ ওয়ার্কের ব্যবস্থা করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পিএফজির কো-অর্ডিনেটর মোঃ পাভেল রহমান। প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের রাজশাহী অঞ্চলের এরিয়া কো-অর্ডিনেটর এস এম শফিকুর রহমান ও ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর মোঃ হেলাল উদ্দিন। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ওয়াইপিএজি সমন্বয়কারী মোঃ সারোয়ার জাহান তৌফিক এবং যুগ্ম সমন্বয়কারী মোছাঃ জুলেখা বানু ও শাকিব আহাম্মেদ রতন।

পিএফজির কো-অর্ডিনেটর মোঃ পাভেল রহমান বলেন, “যুব সমাজকে সচেতন করে তুললেই একটি সহিংসতামুক্ত সমাজ গড়া সম্ভব। আজকের এ প্রশিক্ষণ তরুণদের সেই পথে এগিয়ে নেবে।” দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের এরিয়া কো-অর্ডিনেটর এস এম শফিকুর রহমান বলেন, “নারীর প্রতি সহিংসতা শুধু নারী নয়, পুরো সমাজকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই এ বিষয়ে তরুণ প্রজন্মকে সচেতন করতে হবে।” ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর মোঃ হেলাল উদ্দিন বলেন, “যুবক-যুবতীরা যদি পরিবার থেকেই সমান মর্যাদার চর্চা শুরু করেন, তবে ধীরে ধীরে সমাজ থেকে বৈষম্য ও সহিংসতা দূর হয়ে যাবে।”

অনুষ্ঠানের সমাপনীতে অংশগ্রহণকারীদের দিয়ে “নারীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও সহিংসতাকে না বলি” শীর্ষক শপথবাক্য পাঠ করানো হয়। অংশগ্রহণকারীরা জানান, এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তারা নারী-পুরুষের সমতা ও পারস্পরিক সম্মান বজায় রাখার বিষয়ে নতুনভাবে ভাবতে শিখেছেন। তারা অঙ্গীকার করেন, নিজ নিজ সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন।

আয়োজকরা আশা করছেন, এ ধরনের কার্যক্রমের মাধ্যমে ভবিষ্যতে রানীনগরকে একটি সম্প্রীতিপূর্ণ ও বৈষম্যমুক্ত উপজেলায় পরিণত করা সম্ভব হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৩:৫২:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
২৫
Translate »

নওগাঁর রানীনগরে জেন্ডার সচেতনতা ও নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন

আপডেট : ০৩:৫২:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নারী-পুরুষের সমান মর্যাদা ও সহাবস্থানের মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়ে তোলার প্রত্যয়ে নওগাঁর রানীনগরে সম্পন্ন হলো “জেন্ডার সচেতনতা ও নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ” বিষয়ক প্রশিক্ষণ। এফসিডিও’র অর্থায়নে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের মাল্টি-স্টেকহোল্ডার ইনিশিয়েটিভ ফর পিস অ্যান্ড স্ট্যাবিলিটি (এমআইপিএস) প্রকল্পের আওতায় বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫) রানীনগর প্রেসক্লাবের হলরুমে দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।

প্রশিক্ষণে রাজনৈতিক, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠনের প্রতিনিধি, উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর গ্রুপ (YPAG)-এর সদস্যসহ মোট ১৭ জন যুব প্রতিনিধি অংশ নেন। তাদের মধ্যে ৭ জন নারী ও ১০ জন পুরুষ ছিলেন। অংশগ্রহণকারীরা জানান, এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তারা নিজ নিজ পরিবার, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনে গিয়ে নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিতকরণ এবং নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবেন।

প্রশিক্ষণে নারী-পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে করণীয়, সমাজে নারী-পুরুষের দায়িত্ব ও অবদান, নারীর প্রতি বৈষম্য দূরীকরণ, কুপ্রথা প্রতিরোধ, নেতৃত্বে নারীর অংশগ্রহণ, পারিবারিক সহমর্মিতা এবং সামাজিক সম্প্রীতির গুরুত্বের ওপর বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। অংশগ্রহণকারীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দিতে প্রজেক্টরের মাধ্যমে চিত্র উপস্থাপন ও গ্রুপ ওয়ার্কের ব্যবস্থা করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পিএফজির কো-অর্ডিনেটর মোঃ পাভেল রহমান। প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের রাজশাহী অঞ্চলের এরিয়া কো-অর্ডিনেটর এস এম শফিকুর রহমান ও ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর মোঃ হেলাল উদ্দিন। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ওয়াইপিএজি সমন্বয়কারী মোঃ সারোয়ার জাহান তৌফিক এবং যুগ্ম সমন্বয়কারী মোছাঃ জুলেখা বানু ও শাকিব আহাম্মেদ রতন।

পিএফজির কো-অর্ডিনেটর মোঃ পাভেল রহমান বলেন, “যুব সমাজকে সচেতন করে তুললেই একটি সহিংসতামুক্ত সমাজ গড়া সম্ভব। আজকের এ প্রশিক্ষণ তরুণদের সেই পথে এগিয়ে নেবে।” দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের এরিয়া কো-অর্ডিনেটর এস এম শফিকুর রহমান বলেন, “নারীর প্রতি সহিংসতা শুধু নারী নয়, পুরো সমাজকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই এ বিষয়ে তরুণ প্রজন্মকে সচেতন করতে হবে।” ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর মোঃ হেলাল উদ্দিন বলেন, “যুবক-যুবতীরা যদি পরিবার থেকেই সমান মর্যাদার চর্চা শুরু করেন, তবে ধীরে ধীরে সমাজ থেকে বৈষম্য ও সহিংসতা দূর হয়ে যাবে।”

অনুষ্ঠানের সমাপনীতে অংশগ্রহণকারীদের দিয়ে “নারীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও সহিংসতাকে না বলি” শীর্ষক শপথবাক্য পাঠ করানো হয়। অংশগ্রহণকারীরা জানান, এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তারা নারী-পুরুষের সমতা ও পারস্পরিক সম্মান বজায় রাখার বিষয়ে নতুনভাবে ভাবতে শিখেছেন। তারা অঙ্গীকার করেন, নিজ নিজ সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন।

আয়োজকরা আশা করছেন, এ ধরনের কার্যক্রমের মাধ্যমে ভবিষ্যতে রানীনগরকে একটি সম্প্রীতিপূর্ণ ও বৈষম্যমুক্ত উপজেলায় পরিণত করা সম্ভব হবে।