London ১১:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নওগাঁর মহাদেবপুরে হত্যাকারীরাই হাতেই লাশ উদ্ধার

নওগাঁ জেলা থেকে মোঃ আবু সাইদ:

 

নওগাঁর মহাদেবপুরে গলা কেটে হত্যার রহস্য উদঘাটন ও হত্যার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত তিনজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ সালে রাত্রে ভিকটিম জাহিদুল ইসলাম (৪১)
পিতা মৃত অছিমুদ্দিন
গ্রামঃকোতালী, থানাঃ পত্নীতলা, জেলাঃ নওগাঁকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।
হত্যার পরে মহাদেবপুর থানার রাইগা ইউনিয়নের অন্তর্গত কালনা মৌজার আরমান সরদারের জমির পাশে কালভার্টের নিচে লাশটি হত্যাকারিরা ফেলে রেখে যায়।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মোছাঃ নাসিমা খাতুন (৩৭) বাদী হয়ে ১৬ ডিসেম্বর মহাদেবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলা হওয়ার পর থেকেই মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন।
শত চেষ্টার পরেও এই হত্যাকাণ্ডের কোনো প্রমাণ না থাকার কারণে তদন্ত কর্মকর্তা কোনো আসামীকে গ্রেফতার করতে পারছিলেন না।
যার কারণে তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করে নওগাঁ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে মহাদেবপুর সার্কেল অ্যাডিশনাল এসপি জয়ব্রত পালের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম গঠন করে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৭ তারিখ রাতভর অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত তিনজন আসামিকে গ্রেফতার সক্ষম হয় পুলিশের এই বিশেষ টিম।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন, মামুনুর রশিদ(৩৬)
মোঃ রুবেল হোসেন (২৫)
মোঃ রাজু হাসান (৩২)।
আসামিরা সকলেই পত্নীতলা থানার কোতালী গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে আসামীরা।
পূর্ব শত্রুতার জের ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানিয়েছে।
এসময় আরো জানা যায়,
এই হত্যাকাণ্ডের সাথে মোট ৫জন জড়িত ছিল।
হত্যাকাণ্ডটি ধামা চাপা ও ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে হত্যাকারীরা একটি চার্জার ভ্যান করে মহাদেবপুর গুম করার চেষ্টা করেছিল।
এছাড়া হত্যাকারীরা ভিকটিমের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে ফেলে।
ঘটনার পর হত্যাকারীরা ভিকটিমের লাশ উদ্ধার করে ও দাফন কাফনকাজে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে সহযোগিতা করে যাতে তাদের কেউ সন্দেহ না করে।
হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চার্জার ভ্যানটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এই ঘটনায় আরো যারা সম্পৃক্ত আছে তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৩:০৬:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
Translate »

নওগাঁর মহাদেবপুরে হত্যাকারীরাই হাতেই লাশ উদ্ধার

আপডেট : ০৩:০৬:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

 

নওগাঁর মহাদেবপুরে গলা কেটে হত্যার রহস্য উদঘাটন ও হত্যার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত তিনজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ সালে রাত্রে ভিকটিম জাহিদুল ইসলাম (৪১)
পিতা মৃত অছিমুদ্দিন
গ্রামঃকোতালী, থানাঃ পত্নীতলা, জেলাঃ নওগাঁকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।
হত্যার পরে মহাদেবপুর থানার রাইগা ইউনিয়নের অন্তর্গত কালনা মৌজার আরমান সরদারের জমির পাশে কালভার্টের নিচে লাশটি হত্যাকারিরা ফেলে রেখে যায়।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মোছাঃ নাসিমা খাতুন (৩৭) বাদী হয়ে ১৬ ডিসেম্বর মহাদেবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলা হওয়ার পর থেকেই মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন।
শত চেষ্টার পরেও এই হত্যাকাণ্ডের কোনো প্রমাণ না থাকার কারণে তদন্ত কর্মকর্তা কোনো আসামীকে গ্রেফতার করতে পারছিলেন না।
যার কারণে তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করে নওগাঁ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে মহাদেবপুর সার্কেল অ্যাডিশনাল এসপি জয়ব্রত পালের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম গঠন করে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৭ তারিখ রাতভর অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত তিনজন আসামিকে গ্রেফতার সক্ষম হয় পুলিশের এই বিশেষ টিম।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন, মামুনুর রশিদ(৩৬)
মোঃ রুবেল হোসেন (২৫)
মোঃ রাজু হাসান (৩২)।
আসামিরা সকলেই পত্নীতলা থানার কোতালী গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে আসামীরা।
পূর্ব শত্রুতার জের ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানিয়েছে।
এসময় আরো জানা যায়,
এই হত্যাকাণ্ডের সাথে মোট ৫জন জড়িত ছিল।
হত্যাকাণ্ডটি ধামা চাপা ও ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে হত্যাকারীরা একটি চার্জার ভ্যান করে মহাদেবপুর গুম করার চেষ্টা করেছিল।
এছাড়া হত্যাকারীরা ভিকটিমের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে ফেলে।
ঘটনার পর হত্যাকারীরা ভিকটিমের লাশ উদ্ধার করে ও দাফন কাফনকাজে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে সহযোগিতা করে যাতে তাদের কেউ সন্দেহ না করে।
হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চার্জার ভ্যানটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এই ঘটনায় আরো যারা সম্পৃক্ত আছে তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ