London ০৭:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
রাণীনগরে মৌসুমী সমৃদ্ধির দিনভর নানা উন্নয়নমূলক কর্মসূচি কসবায় হেফাজতের নেতৃবৃন্দের সাথে কসবা-আখাউড়া এমপি পদপ্রার্থী প্রভাষক কাজী মঈনুদ্দিনের সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মত বিনিময় সিরাজগঞ্জে পলিথিনে মোড়ানো বস্তুয় অর্ধগলিত নবজাতক শিশুর মরা দেহ উদ্ধার কালিয়াকৈরে দোকানে মালামাল ও নগদ টাকা চুরি কসবায় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এমপি প্রার্থী প্রভাষক কাজী মোঃ মাঈনুদ্দিনের সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে স্কুল শিক্ষিকা ও চাঁদাবাজদের মাধ্যমে পরিকল্পিত অপপ্রচার রাজশাহীতে হিমাগারের ভাড়া কমালো কালিয়াকৈরে উপজেলা ও পৌর বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত সেই কথিত যুবদল নেতা আবার চাঁদাবাজি করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক। নীরব পুলিশ! রাজশাহীতে করোনা সনাক্ত

ধর্ষণের অভিযোগে গাজীপুরে ছাত্রদল নেতাকে অব্যাহতি, পরে নারী জানালেন প্রতিপক্ষের চাপে অভিযোগ

ছাত্রদলের লোগোছবি: সংগৃহীত

ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইমরান হোসেনকে সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। তবে যে নারী ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন, পরে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে তা প্রত্যাহার করেছেন। ওই নারী জানিয়েছেন, ইমরান হোসেনের প্রতিপক্ষ ভয় দেখিয়ে ও জিম্মি করে তাঁকে দিয়ে ওই মিথ্যা অভিযোগ করিয়েছে।

ইমরান হোসেন কাপাসিয়া উপজেলার তরগাঁও ইউনিয়নের সাফাইশ্রী গ্রামের বাসিন্দা ও কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক। পরে তিনি গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব পান।

গতকাল রোববার রাতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে ইমরান হোসেনকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতির তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ইমরান হোসেনকে ছাত্রদলের সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন।

সম্প্রতি ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন এক নারী। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ছয় বছর আগে একই কলেজে পড়ার সময় ইমরান হোসেনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাঁর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাঁকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন ইমরান। কয়েকবার অন্তঃসত্ত্বাও হয়েছিলেন তিনি। তখন বিয়ের কথা বললে দলীয় পদে থেকে বিয়ে করা যাবে না বলে জানাতেন ইমরান। ছাত্ররাজনীতির পর্ব শেষ হওয়ার পর তাঁকে বিয়ে করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি।

ওই নারী আরও বলেন, তিনি তাঁর পরিবারের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় প্রায় ১২ লাখ টাকা এনে ইমরানকে ব্যবসার জন্য দিয়েছিলেন। এর মধ্যে তিনি জানতে পারেন, ইমরান অন্য মেয়েকে বিয়ে করেছেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ইমরান আর তাঁর ফোন ধরছেন না।

অন্যদিকে গতকাল দুপুরে গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন অভিযোগকারী ওই নারী। এ সময় তিনি দাবি করেন, ইমরান হোসেনের প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁকে জোর করে ভয় দেখিয়ে জবানবন্দি নিয়ে তা ভিডিও ও ব্ল্যাকমেল করেছেন। আগের আনা সব অভিযোগকে মিথ্যা বলে দাবি করেছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে ইমরান হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাড়া দেননি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৪:৩৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪
৫৯
Translate »

ধর্ষণের অভিযোগে গাজীপুরে ছাত্রদল নেতাকে অব্যাহতি, পরে নারী জানালেন প্রতিপক্ষের চাপে অভিযোগ

আপডেট : ০৪:৩৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

ছাত্রদলের লোগোছবি: সংগৃহীত

ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইমরান হোসেনকে সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। তবে যে নারী ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন, পরে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে তা প্রত্যাহার করেছেন। ওই নারী জানিয়েছেন, ইমরান হোসেনের প্রতিপক্ষ ভয় দেখিয়ে ও জিম্মি করে তাঁকে দিয়ে ওই মিথ্যা অভিযোগ করিয়েছে।

ইমরান হোসেন কাপাসিয়া উপজেলার তরগাঁও ইউনিয়নের সাফাইশ্রী গ্রামের বাসিন্দা ও কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক। পরে তিনি গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব পান।

গতকাল রোববার রাতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে ইমরান হোসেনকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতির তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ইমরান হোসেনকে ছাত্রদলের সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন।

সম্প্রতি ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন এক নারী। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ছয় বছর আগে একই কলেজে পড়ার সময় ইমরান হোসেনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাঁর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাঁকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন ইমরান। কয়েকবার অন্তঃসত্ত্বাও হয়েছিলেন তিনি। তখন বিয়ের কথা বললে দলীয় পদে থেকে বিয়ে করা যাবে না বলে জানাতেন ইমরান। ছাত্ররাজনীতির পর্ব শেষ হওয়ার পর তাঁকে বিয়ে করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি।

ওই নারী আরও বলেন, তিনি তাঁর পরিবারের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় প্রায় ১২ লাখ টাকা এনে ইমরানকে ব্যবসার জন্য দিয়েছিলেন। এর মধ্যে তিনি জানতে পারেন, ইমরান অন্য মেয়েকে বিয়ে করেছেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ইমরান আর তাঁর ফোন ধরছেন না।

অন্যদিকে গতকাল দুপুরে গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন অভিযোগকারী ওই নারী। এ সময় তিনি দাবি করেন, ইমরান হোসেনের প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁকে জোর করে ভয় দেখিয়ে জবানবন্দি নিয়ে তা ভিডিও ও ব্ল্যাকমেল করেছেন। আগের আনা সব অভিযোগকে মিথ্যা বলে দাবি করেছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে ইমরান হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাড়া দেননি।