ভারত ফাইনালে উঠেছে গতকালই। টুর্নামেন্টের অপরাজিত দলটির মুখোমুখি কারা হচ্ছে? সেই উত্তর জানতে অপেক্ষায় ছিলেন ক্রিকেট ভক্তরা।
কেউ কেউ দক্ষিণ আফ্রিকার কথা বললেও অধিকাংশ আবার চেয়েছেন নিউজিল্যান্ডই উঠুক ফাইনালে।
কারণ এই টুর্নামেন্টে ভারতকে টক্কর দেওয়ার মতো দল তারাই। যদিও গ্রুপ পর্বের লড়াইয়ে হার মেনেছে কিউইরা। তারপরও তাদের বোলাররা যেভাবে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের ভুগিয়েছে। যেটা অন্য কোনো দলের বোলাররা পারেনি।
লাহোরে দ্বিতীয় সেমিতে নিউজিল্যান্ডের দেয়া রানের পাহাড় টপকাতে একাই লড়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার ডেভিড মিলার। কিন্তু ৬৭ বলে বাঁহাতি ব্যাটারের বীরোচিত সেঞ্চুরি (১০০) কোনো কাজে আসেনি প্রোটিয়াদের।
দ্বিতীয় সেমিফাইনালে টুর্নামেন্টটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান ৩৬২ রান তুলেছিল নিউজিল্যান্ড। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা নির্ধারিত ৫০ ওভারে তুলতে পেরেছে ৯ উইকেটে ৩১২ রান। এতে ৫০ রানের জয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
নিউজিল্যান্ড ও ভারতের মধ্যকার ফাইনাল আগামী ৯ মার্চ দুবাইয়ে। আজ লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৪৮ রানের জুটি করেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার উইল ইয়াং ও রাবিন্দ্রা। ২১ রানে ইয়াং আউট হলে দ্বিতীয় উইকেটে ১৬৪ রানের জুটি করেন রাবিন্দ্রা ও উইলিয়ামসন। শেষ পর্যন্ত দুজনই হাঁকান সেঞ্চুরি।
১০১ বলে ১০৮ রান (১৩ চার ও ১ ছক্কায়) করেন রাবিন্দ্রা। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি তার পঞ্চম সেঞ্চুরি। উইলিয়ামসন খেলেন ৯ বলে ১০২ রানের (১০ চার ও ২ছক্কা) ইনিংস। ডানহাতি অভিজ্ঞ ব্যাটারের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১৫তম সেঞ্চুরি এটি।
এর বাইরে ৪৯ রান করে নেন ড্যারিল মিচেল (৩৭ বলে) ও গ্লেন ফিলিপস (২৭ বলে)। ১৬ রানের সংযুক্তি ছিল মাইকেল ব্রাসওয়েলের ব্যাট থেকে। এতেই ৩৬২ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড়ায় নিউজিল্যান্ডের।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৭২ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন লুঙ্গি এনগিদি। ২ উইকেট নেন কাগিসো রাবাদা।
৩৬৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় মারকুটে শুরু করলেও ১৭ রানের (১২ বলে) বেশি করতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার রায়ান রিকেল্টন। দ্বিতীয় উইকেটে রসি ফন ডার ডুসেনকে নিয়ে ১০৫ রানের জুটি করেন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। ৭১ বলে ৫৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন বাভুমা। এখান থেকেই প্রোটিয়াদের সমর্থকদের মুখ থেকে আনন্দের রেখা মিলিয়ে যেতে শুরু করে।
৬৬ বলে ৬৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান ফন ডার ডুসেন। এরপর আর বড় কোনো জুটিই করতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। এইডেন মার্করাম করেন ৩১ রান।
সতীর্থদের সঙ্গে ছোট ছোট জুটি করে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন মিলার। ততক্ষণে জয়ের সব সম্ভাবনা শেষ। একাই লড়াই কর দলকে তিনশোর ঘরে পৌঁছে দেন তিনি। ইনিংসের শেষ ৩ বলে ১২ রানে নিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মিলার। ৬৭ বলে ১০০ রানের ইনিংস খেলার পথে ১০টি চার ও ৪টি ছক্কা হাঁকান তিনি। মিলারের সঙ্গে অপরাজিত ছিলেন লুঙ্গি এনগিদি।
এআর