অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর বলেছেন, দ্রুত নির্বাচন দিন। কারণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভোটে নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশের কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব নয়।
নেত্রকোণায় এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রবিবার পৌর শহরের মোক্তারপাড়া মাঠে জেলা বিএনপি এই সংবর্ধনার আয়োজন করে। এতে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর সমাগম ঘটে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাবর বলেন,‘দেশে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্রের ফাঁদে দলীয় নেতা-কর্মী, ভাই-বোনদের বলছি, আপনারা কোনো ফাঁদে পা দেবেন না। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে আমি বর্তমান সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছি। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত সরকার যাতে আসতে পারে, সে জন্য সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই। গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আপনারা প্রস্তুত থাকুন। তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা নতুন দেশ গড়ে তুলব। নির্বাচনে যদি আমরা জয়ী হই, আমার নিজ জেলা নেত্রকোণায় বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন,'আমি আজ আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে আবেগ আপ্লুত। দীর্ঘ ১৭ বছর কারাগারে কাটিয়ে আমি আবার আপনাদের মাঝে ফিরে এসেছি। আপনাদের ভালোবাসা, দোয়া এবং সমর্থন আমাকে এই দীর্ঘ পথ চলতে শক্তি যুগিয়েছে। আমি আপনাদের প্রতি চির কৃতজ্ঞ। জালিম খুনি হাসিনা সরকার আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে, ফাঁসির দণ্ড দিয়েছে, অকথ্য অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে আমাকে দমিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি আপোষ করিনি। জালিম সরকারের কাছে মাথা নত করিনি।'
এই বিএনপি নেতা বলেন,আমি সর্বদা সত্যের পথে ছিলাম, আছি, থাকবো, ইনশাল্লাহ্। বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা স্বাক্ষী দিতে রাজী না হওয়ায় বিচার ব্যবস্থাকে ব্যবহার করে অন্যায় ভাবে আমাকে মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল। নেত্রকোণা সহ দেশবাসীর দোয়া ও সমর্থন পাওয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি সবকটি মামলা থেকে খালাস পেয়েছি। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আমি আমার জীবন বাজি রাখতে রাজি আছি। যে কোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত আছি।'
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নেত্রকোণা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আনোয়ারুল হক। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. রফিকুল ইসলাম হিলালী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। এতে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য আরিফা জেসমিন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন খান, জেলা কমিটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুল হক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের তালুকদার, যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম মনিরুজ্জামান এবং সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম বজলুল কাদের সুজা