London ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫, ২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
ছোট বোনের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শেষে বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ভাইয়ের মৃত্যু আলফাডাঙ্গায় যুবদল নেতার চাদার দাবিতে প্রকাশ্যে পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি, দোকানে হামলা ও টাকা লুটের অভিযোগ ঈদ শুভেচ্ছা ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান ২০২৫ লেশিয়ারা দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসায় প্রাক্তনদের মিলনমেলা এতিম, প্রতিব‌ন্ধিদের মা‌ঝে সি‌লেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ড‌শিপ ফাউ‌ন্ডেশন‌ের গোশত বিতরণ নির্বাচন অনতিবিলম্বে অনুষ্ঠিত হতে আমাদের কার্যক্রম প্রসারিত করতে হবে : দিবালোক সিংহ কালকিনিতে নেতাকর্মী ও জনগনের সঙ্গে বিএনপি নেতার ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় বৃদ্ধাশ্রমে রান্না করা খাবার বিতরণ ক‌রে‌ছে সিলেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশিপ ফাউন্ডেশন রাজশাহীতে পশুর চামড়া পাচার রোধে সতর্ক বিজিবি তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল কসবা পৌর জামায়াতের আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট অভিশংসিত

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব আনা হয়েছেন। স্বল্প সময়ের জন্য দেশটিতে সামরিক আইন জারির পর দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টি হয়। এর জেরে তার বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব আনা হয়েছে।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আটদিনের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো পার্লামেন্টে অভিশংসন প্রস্তাব আনা হয়েছে। এতে বেশিরভাগ সদস্য তার অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। পার্লামেন্টে অভিশংসনের জন্য দুই তৃতীয়াংশ ভোটের প্রয়োজন হয়। গোপন ব্যালটের এ ভোটে ৩০০ সদস্যই অংশ নিয়েছেন। এ সময় পার্লামেন্টের বাইরে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী বিক্ষোভ করেন।

বিবিসি জানিয়েছে, ইউনের দল পিপলস পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) কয়েকজন সদস্যসহ মোট ২০৪ জন সদস্য অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার সংবিধান অনুসারে প্রধানমন্ত্রী হ্যান ডাক-সু এখন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রেসিডেন্ট অভিশংসনের মুখোমুখি হলেও আইনি জটিলতার কারণে তিনি পদে বহাল থাকবেন। তবে কোনো নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী হবেন না তিনি।

প্রধানমন্ত্রী হ্যান ডাক-সু বলেন, তিনি প্রেসিডেন্টের অভিশংসনের পর দেশে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবেন। তার ভাষায়, আমি সরকারকে স্থিতিশীল করতে আমার সমস্ত শক্তি ও প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।

ভোটের পর এক বিবৃতিতে শেষ পর্যন্ত দেশের জন্য সর্বোচ্চটা দিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইউন। তিনি বলেন, যদিও আমি আপাতত বিরতি দিচ্ছি, তবে গত আড়াই বছরে জনগণের সাথে আমার ভবিষ্যতের জন্য যাত্রা থামানো উচিত নয়। আমি যে উত্সাহ এবং সমর্থন পেয়েছি তা আমি আমার সাথে বহন করব এবং আমি শেষ অবধি জাতির জন্য আমার যথাসাধ্য চেষ্টা করব।

এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করেন প্রেসিডেন্ট ইউন। পরে অবশ্য বিরোধীদের আপত্তি ও সংসদ সদস্যদের ভোটাভুটির মাধ্যম আইন প্রত্যাহারে বাধ্য হন তিনি। এরপর দক্ষিণ কোরিয়ার একটি আদালত তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৬:১০:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
৪৭
Translate »

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট অভিশংসিত

আপডেট : ০৬:১০:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব আনা হয়েছেন। স্বল্প সময়ের জন্য দেশটিতে সামরিক আইন জারির পর দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টি হয়। এর জেরে তার বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব আনা হয়েছে।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আটদিনের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো পার্লামেন্টে অভিশংসন প্রস্তাব আনা হয়েছে। এতে বেশিরভাগ সদস্য তার অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। পার্লামেন্টে অভিশংসনের জন্য দুই তৃতীয়াংশ ভোটের প্রয়োজন হয়। গোপন ব্যালটের এ ভোটে ৩০০ সদস্যই অংশ নিয়েছেন। এ সময় পার্লামেন্টের বাইরে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী বিক্ষোভ করেন।

বিবিসি জানিয়েছে, ইউনের দল পিপলস পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) কয়েকজন সদস্যসহ মোট ২০৪ জন সদস্য অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার সংবিধান অনুসারে প্রধানমন্ত্রী হ্যান ডাক-সু এখন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রেসিডেন্ট অভিশংসনের মুখোমুখি হলেও আইনি জটিলতার কারণে তিনি পদে বহাল থাকবেন। তবে কোনো নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী হবেন না তিনি।

প্রধানমন্ত্রী হ্যান ডাক-সু বলেন, তিনি প্রেসিডেন্টের অভিশংসনের পর দেশে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবেন। তার ভাষায়, আমি সরকারকে স্থিতিশীল করতে আমার সমস্ত শক্তি ও প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।

ভোটের পর এক বিবৃতিতে শেষ পর্যন্ত দেশের জন্য সর্বোচ্চটা দিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইউন। তিনি বলেন, যদিও আমি আপাতত বিরতি দিচ্ছি, তবে গত আড়াই বছরে জনগণের সাথে আমার ভবিষ্যতের জন্য যাত্রা থামানো উচিত নয়। আমি যে উত্সাহ এবং সমর্থন পেয়েছি তা আমি আমার সাথে বহন করব এবং আমি শেষ অবধি জাতির জন্য আমার যথাসাধ্য চেষ্টা করব।

এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করেন প্রেসিডেন্ট ইউন। পরে অবশ্য বিরোধীদের আপত্তি ও সংসদ সদস্যদের ভোটাভুটির মাধ্যম আইন প্রত্যাহারে বাধ্য হন তিনি। এরপর দক্ষিণ কোরিয়ার একটি আদালত তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।