বরগুনার তালতলী উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের কচুপাত্রা ব্রীজের পশ্চিম পাশে সিগারেট খাওয়া নিয়ে কোন্দলে যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। এঘটনায় অপর একজন আহত হয়েছেন। তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। পুলিশ এঘটনায় একজনকে আটক করেছে।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত নয়টার সময় হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়। নিহত মোটরসাইকেল চালকের নাম আরাফাত (২২)। দক্ষিণ বাদুরগাছিয়া গ্রামের জলিল খানের ছেলে। তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন।আহত ব্যক্তির নাম হাবিবুল্লাহ।তিনি একই এলাকার ইলিয়াস হাওলাদারের ছেলে। হাবিবুল্লাহকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
তালতলী থানা পুলিশ আটক সাগরের তথ্য মতে জানান, কচুপাত্রা বাজারে একটি চায়ের দোকানে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সিগারেট খাওয়া কেন্দ্র করে পঁচাকোরালিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদল সদস্য সচিব আরাফাতের সঙ্গে নিহত চালক আরাফাতের এক অনুসারী হাবিবুল্লাহর সঙ্গে বাক বিতণ্ডা হয় এবং তাকে লাঞ্ছিত করা হয়। এই ঘটনার রেশ ধরে নিহত আরাফাত ও হাবিবুল্লাহ কচুপাত্রা বাজারে গিয়ে লাঞ্ছিতকারীদের মারধর করে। এতে ছাত্রদল নেতারা আরাফাতের ওপর চড়াও হয়। এসময় আরাফাতের বাবা শহিদ শিকদার বাধা প্রদান করলে তাকেও আঘাত করা হয়। বাবার আঘাতের পর ছাত্রদল নেতা আরাফাত তার ভাই সোহেল শিকদারকে খবর দিলে সে এসে রামদা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে মোটরসাইকেল চালক আরাফাত ও হাবিবুল্লাহকে। পরে তাদেরকে উদ্ধার পাশ্ববর্তী উপজেলা আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়। আহত হাবিবুল্লাহকে বরিশালে প্রেরণ করা হয়।
এঘটনায় নিহত আরাফাতের বাবা জলিল খানের অভিযোগ, মাদক কেনা বেচায় বাধা প্রদান করায় তার ছেলকে কুপিয়ে হত্যা করেছে শহীদ শিকদার ও তার ছেলেরা।
অপরদিকে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার পর থেকেই শহীদ শিকদার সহ অন্যরা পলাতক রয়েছে।
এবিষয়ে রাতে তালতলী থানার অফিসার মোঃ শাহজালাল বলেন, ঘটনার সংবাদ পেয়ে আমি সহ পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। লাশ সুরতহাল শেষে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশি অভিযান চালিয়ে সাগর নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।