ভারতের উত্তরপ্রদেশের মহাকুম্ভ মেলায় নৃত্য পরিবেশন করেছে বাংলাদেশের একটি দল। ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআই রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের আংশিক পৃষ্ঠপোষকতায় ভারতে গেছে বাংলাদেশের ছয় সদস্যের এ দলটি।
তারা ১৩ হাজার আসনের গঙ্গা প্যান্ডেলে গতকাল শনিবার নিজের নৃত্য পরিবেশন করেন। এদিন ‘দশম ভারত আন্তর্জাতিক নৃত্য ও সংগীত উৎসব’ শুরু হয়। মহাকুম্ভে পারফরমেন্স করা বাংলাদেশি দলকে নেতৃত্ব দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক র্যাচেল প্রিয়াঙ্কা প্যারিস।
এই উৎসবটি যৌথভাবে আয়োজন করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেসন্স (আইসিসিআর)। যেটি দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিজেদের কাজকর্ম পরিচালনা করে।
পিটিআই জানিয়েছে, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর, এটিই ভারতে বাংলাদেশের কোনো সাংস্কৃতিক দলের অংশগ্রহণ।
হাসিনার প্রত্যার্পণ ও ভারতের প্রোপাগাণ্ডামূলক কর্মকাণ্ডের কারণে কলকাতা বইমেলা ২০২৫ ও কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিতে পারেনি বাংলাদেশ। যদিও এগুলোতে সবসময় অংশ নিত ঢাকা। তবে মহাকুম্ভে নত্যৃ পরিবেশনের মাধ্যমে এই বরফ গলেছে।
বাংলাদেশসহ মোট ১০টি দেশের শিল্পীরা ভারতের এই উৎসবে অংশ নিয়েছে। বাংলাদেশের দলটি গৌড়িয়া নাচ পরিবেশন করে। উত্তরপ্রদেশের মহাকুম্ভের পর যথাক্রমে গুজরাট, জম্মু কাশ্মির, ঝারখণ্ড, বিহার, আসাম, মেঘালয়া ও সর্বশেষ দিল্লিতে এ মাসের শেষ দিকে নিজেদের পারফরমেন্স পরিবেশন করবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা র্যাচেল প্রিয়াঙ্কা বলেন, “এই মানবসাগরে নৃত্য পরিবেশনা করতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। মহাকুম্ভের ১৪৪ বছরের আধ্যাতিক ইতিহাস রয়েছে। আমাদের আমন্ত্রণ জানানোয় ভারতীয় হাইকমিশনকে ধন্যবাদ জানাই। ভিসা পেতে আমাদের কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি।” তিনি জানিয়েছেন মৌসুমী, লাবনী, রিনি, রাইসা ও পিঙ্কি তার সঙ্গে এই দলে আছেন।
সূত্র: পিটিআই