London ০৯:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
ছুটি শেষে ঢাকা মুখিফিরছে নানা পেশাজীবি মানুষ সিরাজগঞ্জে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে নিখোঁজের দু’দিন পর লাশ উদ্ধার রাজশাহীতে ২ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার বাল্যবিয়ে ঠেকানোর নামে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ কথিত যুবদল নেতার চাঁদাবাজিতে বাধা ’ দেওয়ায় — সাত যুবক কারাগারে কসবাউপজেলার কুটি বাজারে ভয়াবহ আগুন: ক্ষতিগ্রস্ত দোকান পরিদর্শনে আতাউর রহমান সরকার কসবায় বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনীতে মানুষের ঢল — গ্যাস সংযোগ দেয়া ও শিল্পনগরী গড়ার ঘোষণা দিলেন সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী কবির আহম্মদ ভূঁইয়া সিরাজগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে গলাকাটা হত্যার অভিযোগ স্বামী উপর দুর্গাপুরে তিন ইউনিয়নে বিএনপির সম্মেলন,দলীয় রাজনীতি আরো গতিশীল করার আহ্বান ঈদের মিলনমেলা থেকে তুলে নিয়ে বিস্ফোরক মামলায় সাত দিনমজুরকে চালান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ঘৃণাস্তম্ভ সংরক্ষণ ফলক’ স্থাপন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাশে মেট্রোরেলের খুঁটিতে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঘৃণাস্তম্ভ সংরক্ষণ ফলক স্থাপন করা হয়েছেছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঘৃণাস্তম্ভ সংরক্ষণ কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়ে কমিটির পক্ষ থেকে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঘৃণাস্তম্ভ সংরক্ষণ ফলক স্থাপন করেছেন বামপন্থী ছাত্রসংগঠন ছাত্র ইউনিয়নের একদল নেতা-কর্মী।

শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যসংলগ্ন মেট্রোরেলের খুঁটিতে শেখ হাসিনার গ্রাফিতির ওপর এই ফলক স্থাপন করা হয়। ওই গ্রাফিতির ওপর ফ্যাসিবাদবিরোধী ঘৃণাস্তম্ভ সংরক্ষণ ফলক স্থাপনের সময় এটি সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন ছাত্র ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মাঈন আহমেদ।

ঘোষণাপত্রে বলা হয়, হাজারো শহীদের আত্মদান, লাখো ছাত্র-শ্রমিক ও জনতার দীর্ঘ সংগ্রামের ফল হিসেবে বাংলাদেশ গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে বিজয়ী হয়। হাজারো শহীদের রক্তে রঞ্জিত এই বিজয় খুনি হাসিনাকে ক্ষমতার মসনদ থেকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করে। মেট্রোরেলের এই বিশাল স্তম্ভে আঁকা শেখ হাসিনার বিশালকার চিত্র ফ্যাসিবাদের এক প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগেই ৩ আগস্ট জনগণ ফ্যাসিবাদের এই দম্ভচিত্রের ওপর নিজেদের ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে শুরু করে, যা পূর্ণতা পায় ৫ আগস্ট। বাংলাদেশের জনগণের ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের প্রতি ঘৃণার প্রতীক হয়ে যুগযুগান্তর দাঁড়িয়ে থাকবে এই স্তম্ভ। আগামী দিনের বাংলাদেশে যেকোনো শাসককে স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী হয়ে ওঠার পরিণতি স্মরণ করিয়ে দিতে এই স্তম্ভকে যুগযুগান্তর ধরে সংরক্ষণ করার গণঘোষণা দেওয়া হলো।

পরে মাঈন আহমেদ বলেন, ‘এই স্তম্ভ সংরক্ষণে আমরা ফ্যাসিবাদবিরোধী ঘৃণাস্তম্ভ সংরক্ষণ কমিটি সচেতন ভূমিকা পালন করব।’

সারা দেশের যেখানেই জনগণের ঘৃণার বহিঃপ্রকাশে এমন স্তম্ভ কিংবা চিত্রের সৃষ্টি হয়েছে, সেসব সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণ করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান মাঈন। পরে সমাপনী বক্তব্য দেন ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০২:০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৭৮
Translate »

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ঘৃণাস্তম্ভ সংরক্ষণ ফলক’ স্থাপন

আপডেট : ০২:০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাশে মেট্রোরেলের খুঁটিতে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঘৃণাস্তম্ভ সংরক্ষণ ফলক স্থাপন করা হয়েছেছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঘৃণাস্তম্ভ সংরক্ষণ কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়ে কমিটির পক্ষ থেকে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঘৃণাস্তম্ভ সংরক্ষণ ফলক স্থাপন করেছেন বামপন্থী ছাত্রসংগঠন ছাত্র ইউনিয়নের একদল নেতা-কর্মী।

শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যসংলগ্ন মেট্রোরেলের খুঁটিতে শেখ হাসিনার গ্রাফিতির ওপর এই ফলক স্থাপন করা হয়। ওই গ্রাফিতির ওপর ফ্যাসিবাদবিরোধী ঘৃণাস্তম্ভ সংরক্ষণ ফলক স্থাপনের সময় এটি সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন ছাত্র ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মাঈন আহমেদ।

ঘোষণাপত্রে বলা হয়, হাজারো শহীদের আত্মদান, লাখো ছাত্র-শ্রমিক ও জনতার দীর্ঘ সংগ্রামের ফল হিসেবে বাংলাদেশ গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে বিজয়ী হয়। হাজারো শহীদের রক্তে রঞ্জিত এই বিজয় খুনি হাসিনাকে ক্ষমতার মসনদ থেকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করে। মেট্রোরেলের এই বিশাল স্তম্ভে আঁকা শেখ হাসিনার বিশালকার চিত্র ফ্যাসিবাদের এক প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগেই ৩ আগস্ট জনগণ ফ্যাসিবাদের এই দম্ভচিত্রের ওপর নিজেদের ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে শুরু করে, যা পূর্ণতা পায় ৫ আগস্ট। বাংলাদেশের জনগণের ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের প্রতি ঘৃণার প্রতীক হয়ে যুগযুগান্তর দাঁড়িয়ে থাকবে এই স্তম্ভ। আগামী দিনের বাংলাদেশে যেকোনো শাসককে স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী হয়ে ওঠার পরিণতি স্মরণ করিয়ে দিতে এই স্তম্ভকে যুগযুগান্তর ধরে সংরক্ষণ করার গণঘোষণা দেওয়া হলো।

পরে মাঈন আহমেদ বলেন, ‘এই স্তম্ভ সংরক্ষণে আমরা ফ্যাসিবাদবিরোধী ঘৃণাস্তম্ভ সংরক্ষণ কমিটি সচেতন ভূমিকা পালন করব।’

সারা দেশের যেখানেই জনগণের ঘৃণার বহিঃপ্রকাশে এমন স্তম্ভ কিংবা চিত্রের সৃষ্টি হয়েছে, সেসব সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণ করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান মাঈন। পরে সমাপনী বক্তব্য দেন ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু।