London ১২:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
সিংড়ায় ৩১ দফার প্রচারণায় বিএনপি নেতা দাউদার মাহমুদ কার্ডিফ বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের কমিটি গঠন, আব্দুল হান্নান সভাপতি, মকিস মনসুর, সম্পাদক নির্বা‌চিত নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ঝুমা তালুকদার ঢাকায় গ্রেপ্তার থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রিফাতের চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিলেন কায়সার কামাল ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক আ ন ম খলিলুর রহমান ইব্রাহিম (ভিপি) সদস্য সচিব ব্যারিস্টার ওবায়দুর রহমান টিপু ভূমি অধিগ্রহণের টাকা নয়ছয়ের মিথ্যা সংবাদে ক্ষোভ: সাবেক প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা কাপাসিয়ায় বন খেকোদের হামলায় তিন সাংবাদিক আহত, আটক ৩ প্রিপেইড মিটার বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন দুর্গাপুরে মাদক কেনাবেচার সময় ২৮০ পিস ইয়াবাসহ পুলিশের জালে ধরা দুই মাদক কারবারি জনগণের সর্বোচ্চ ভোটে হবিগঞ্জ-৪ বিএনপিকে উপহার দিতে চাই : সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়সল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ঘৃণাস্তম্ভ সংরক্ষণ ফলক’ স্থাপন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাশে মেট্রোরেলের খুঁটিতে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঘৃণাস্তম্ভ সংরক্ষণ ফলক স্থাপন করা হয়েছেছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঘৃণাস্তম্ভ সংরক্ষণ কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়ে কমিটির পক্ষ থেকে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঘৃণাস্তম্ভ সংরক্ষণ ফলক স্থাপন করেছেন বামপন্থী ছাত্রসংগঠন ছাত্র ইউনিয়নের একদল নেতা-কর্মী।

শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যসংলগ্ন মেট্রোরেলের খুঁটিতে শেখ হাসিনার গ্রাফিতির ওপর এই ফলক স্থাপন করা হয়। ওই গ্রাফিতির ওপর ফ্যাসিবাদবিরোধী ঘৃণাস্তম্ভ সংরক্ষণ ফলক স্থাপনের সময় এটি সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন ছাত্র ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মাঈন আহমেদ।

ঘোষণাপত্রে বলা হয়, হাজারো শহীদের আত্মদান, লাখো ছাত্র-শ্রমিক ও জনতার দীর্ঘ সংগ্রামের ফল হিসেবে বাংলাদেশ গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে বিজয়ী হয়। হাজারো শহীদের রক্তে রঞ্জিত এই বিজয় খুনি হাসিনাকে ক্ষমতার মসনদ থেকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করে। মেট্রোরেলের এই বিশাল স্তম্ভে আঁকা শেখ হাসিনার বিশালকার চিত্র ফ্যাসিবাদের এক প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগেই ৩ আগস্ট জনগণ ফ্যাসিবাদের এই দম্ভচিত্রের ওপর নিজেদের ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে শুরু করে, যা পূর্ণতা পায় ৫ আগস্ট। বাংলাদেশের জনগণের ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের প্রতি ঘৃণার প্রতীক হয়ে যুগযুগান্তর দাঁড়িয়ে থাকবে এই স্তম্ভ। আগামী দিনের বাংলাদেশে যেকোনো শাসককে স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী হয়ে ওঠার পরিণতি স্মরণ করিয়ে দিতে এই স্তম্ভকে যুগযুগান্তর ধরে সংরক্ষণ করার গণঘোষণা দেওয়া হলো।

পরে মাঈন আহমেদ বলেন, ‘এই স্তম্ভ সংরক্ষণে আমরা ফ্যাসিবাদবিরোধী ঘৃণাস্তম্ভ সংরক্ষণ কমিটি সচেতন ভূমিকা পালন করব।’

সারা দেশের যেখানেই জনগণের ঘৃণার বহিঃপ্রকাশে এমন স্তম্ভ কিংবা চিত্রের সৃষ্টি হয়েছে, সেসব সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণ করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান মাঈন। পরে সমাপনী বক্তব্য দেন ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০২:০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
১০৪
Translate »

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ঘৃণাস্তম্ভ সংরক্ষণ ফলক’ স্থাপন

আপডেট : ০২:০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাশে মেট্রোরেলের খুঁটিতে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঘৃণাস্তম্ভ সংরক্ষণ ফলক স্থাপন করা হয়েছেছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঘৃণাস্তম্ভ সংরক্ষণ কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়ে কমিটির পক্ষ থেকে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঘৃণাস্তম্ভ সংরক্ষণ ফলক স্থাপন করেছেন বামপন্থী ছাত্রসংগঠন ছাত্র ইউনিয়নের একদল নেতা-কর্মী।

শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যসংলগ্ন মেট্রোরেলের খুঁটিতে শেখ হাসিনার গ্রাফিতির ওপর এই ফলক স্থাপন করা হয়। ওই গ্রাফিতির ওপর ফ্যাসিবাদবিরোধী ঘৃণাস্তম্ভ সংরক্ষণ ফলক স্থাপনের সময় এটি সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন ছাত্র ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মাঈন আহমেদ।

ঘোষণাপত্রে বলা হয়, হাজারো শহীদের আত্মদান, লাখো ছাত্র-শ্রমিক ও জনতার দীর্ঘ সংগ্রামের ফল হিসেবে বাংলাদেশ গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে বিজয়ী হয়। হাজারো শহীদের রক্তে রঞ্জিত এই বিজয় খুনি হাসিনাকে ক্ষমতার মসনদ থেকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করে। মেট্রোরেলের এই বিশাল স্তম্ভে আঁকা শেখ হাসিনার বিশালকার চিত্র ফ্যাসিবাদের এক প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগেই ৩ আগস্ট জনগণ ফ্যাসিবাদের এই দম্ভচিত্রের ওপর নিজেদের ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে শুরু করে, যা পূর্ণতা পায় ৫ আগস্ট। বাংলাদেশের জনগণের ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের প্রতি ঘৃণার প্রতীক হয়ে যুগযুগান্তর দাঁড়িয়ে থাকবে এই স্তম্ভ। আগামী দিনের বাংলাদেশে যেকোনো শাসককে স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী হয়ে ওঠার পরিণতি স্মরণ করিয়ে দিতে এই স্তম্ভকে যুগযুগান্তর ধরে সংরক্ষণ করার গণঘোষণা দেওয়া হলো।

পরে মাঈন আহমেদ বলেন, ‘এই স্তম্ভ সংরক্ষণে আমরা ফ্যাসিবাদবিরোধী ঘৃণাস্তম্ভ সংরক্ষণ কমিটি সচেতন ভূমিকা পালন করব।’

সারা দেশের যেখানেই জনগণের ঘৃণার বহিঃপ্রকাশে এমন স্তম্ভ কিংবা চিত্রের সৃষ্টি হয়েছে, সেসব সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণ করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান মাঈন। পরে সমাপনী বক্তব্য দেন ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু।