London ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
ওয়াকফ আইন নিয়ে উত্তপ্ত ভারত সংখ্যালঘু মুসলিমদের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান বাংলাদেশের গাজায় ইসরায়েলের হামলায় একদিনে নিহত ৬৪ ইসরায়েলি হামলায় একই পরিবারের ১০ সদস্য নিহত যুক্তরাষ্ট্রে গণহারে ভারতীয় ছাত্রদের ভিসা বাতিল, আছে বাংলাদেশিরাও আখাউড়া প্রিন্ট ও টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি গঠন: সভাপতি -,মিশু, সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ কৃষকদের পাশে উপজেলা প্রশাসন: ধান কাটা ও লিচু চাষে সহায়তায় সক্রিয় ভূমিকা বার্সেলোনায় না ফেরার কারণ ও ইয়ামালের প্রশংসায় যা বললেন মেসি কসবায় হজ ও উমরাহ প্রশিক্ষণ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত টঙ্গীতে ভাই-বোনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হলে মিয়ানমারে শান্তি আসবে না

ড. ইউনূসকে নিয়ে সারজিসের স্ট্যাটাসে আলোচনা-সমালোচনা

অনলাইন ডেস্ক:

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম সম্প্রতি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন, যেখানে তিনি ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে পাঁচ বছরের জন্য বাংলাদেশের নির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। কিন্তু তার এই ইচ্ছা নিয়ে রাজনৈতিক মহল চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা সারজিসের বক্তব্যকে বিভ্রান্তিকর ও প্রোপাগান্ডা হিসেবে দেখছেন। তাদের মতে, প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. ইউনূসকে পদত্যাগ করে রাজনীতিতে যোগদান করতে হবে। তাদের মতে, সারজিসের এই বক্তব্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. ইউনূসকে আরও বিতর্কিত করবে।

সারজিস তার স্ট্যাটাসে বলেছেন, ‌‘প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে বাংলাদেশের নির্বাচিত সরকারের পাঁচ বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখার আকাঙ্ক্ষা আমার সারাজীবন থাকবে।’

তবে, রাজনৈতিক দলগুলোর মতে, ড. ইউনূসের সম্পর্কে এরকম কোনো ইচ্ছার প্রকাশ তাদের কাছে অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে। একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক এ ব্যাপারে মন্তব্য করে জানিয়েছেন যে, এমন বক্তব্য জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হতে পারে, কারণ তারা ড. ইউনূসের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মতামত এখন পর্যন্ত শোনেনি।

রাজনৈতিক নেতারা জানান, যদি ড. ইউনূসকে প্রধানমন্ত্রী হতে হয়, তাহলে তাকে অবশ্যই একটি রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে হবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে।

তারা বলেন, ‘অতএব, কোনো অনির্বাচিত সরকারে পাঁচ বছর থাকতে পারবেন না।’

এছাড়া, এনসিপি এই বিষয় নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেয়নি। রাজনৈতিক দলগুলোর মতে, এ ধরনের বক্তব্য জাতীয় নির্বাচনকে বিলম্বিত করার জন্য তৈরি করা নতুন ইস্যু হতে পারে, যা জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতে সাহায্য করে।

এনসিপি নেতার এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা সতর্ক এবং মনে করেন যে, এই ধরনের মন্তব্য দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০২:৪৯:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
১১
Translate »

ড. ইউনূসকে নিয়ে সারজিসের স্ট্যাটাসে আলোচনা-সমালোচনা

আপডেট : ০২:৪৯:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম সম্প্রতি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন, যেখানে তিনি ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে পাঁচ বছরের জন্য বাংলাদেশের নির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। কিন্তু তার এই ইচ্ছা নিয়ে রাজনৈতিক মহল চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা সারজিসের বক্তব্যকে বিভ্রান্তিকর ও প্রোপাগান্ডা হিসেবে দেখছেন। তাদের মতে, প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. ইউনূসকে পদত্যাগ করে রাজনীতিতে যোগদান করতে হবে। তাদের মতে, সারজিসের এই বক্তব্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. ইউনূসকে আরও বিতর্কিত করবে।

সারজিস তার স্ট্যাটাসে বলেছেন, ‌‘প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে বাংলাদেশের নির্বাচিত সরকারের পাঁচ বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখার আকাঙ্ক্ষা আমার সারাজীবন থাকবে।’

তবে, রাজনৈতিক দলগুলোর মতে, ড. ইউনূসের সম্পর্কে এরকম কোনো ইচ্ছার প্রকাশ তাদের কাছে অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে। একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক এ ব্যাপারে মন্তব্য করে জানিয়েছেন যে, এমন বক্তব্য জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হতে পারে, কারণ তারা ড. ইউনূসের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মতামত এখন পর্যন্ত শোনেনি।

রাজনৈতিক নেতারা জানান, যদি ড. ইউনূসকে প্রধানমন্ত্রী হতে হয়, তাহলে তাকে অবশ্যই একটি রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে হবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে।

তারা বলেন, ‘অতএব, কোনো অনির্বাচিত সরকারে পাঁচ বছর থাকতে পারবেন না।’

এছাড়া, এনসিপি এই বিষয় নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেয়নি। রাজনৈতিক দলগুলোর মতে, এ ধরনের বক্তব্য জাতীয় নির্বাচনকে বিলম্বিত করার জন্য তৈরি করা নতুন ইস্যু হতে পারে, যা জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতে সাহায্য করে।

এনসিপি নেতার এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা সতর্ক এবং মনে করেন যে, এই ধরনের মন্তব্য দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে।