London ০২:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ১০ গুণীজন মেডিকেলে ভর্তির টাকা এখনো জোগাড় হয়নি ইমার যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেশার কুকারে রান্না করলেন সাবেক সৈনিক খোলাবাজার থেকে ১০ হাজার বিনামূল্যের পাঠ্যবই জব্দ, গ্রেপ্তার ২ শেরপুরে মাধ্যমিকের ৯ হাজার সরকারি বই জব্দ! আটক ১ মেডিকেলে চান্স পেয়েও অর্থের অভাবে ডাক্তারী লেখা পড়া নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রান্তি ও পরিবার খাগড়াছড়িতে একক আধিপত্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার, গড়েছেন হাজার কোটি টাকার সম্পদ নোয়াখালীতে শর্টসার্কিটের আগুনে পুড়ে ছাই ১১ দোকান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিন দিন উন্নত হচ্ছে : ইসি মাছউদ

ডকইয়ার্ড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস্ লিমিটেড এর ৫৫তম বিওডি সভা অনুষ্ঠিত

ডকইয়ার্ড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস্ লিমিটেড (ডিইডব্লিউ) নারায়ণগঞ্জ এর ‘বোর্ড অব ডিরেক্টর’দের ৫৫তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিইডব্লিউ এর চেয়ারম্যান নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান। এছাড়াও উক্ত সভায় বিওডি’র সভাপতি সহকারী নৌবাহিনী প্রধান (ম্যাটেরিয়াল) রিয়ার অ্যাডমিরাল খন্দকার আক্তার হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় প্রতিষ্ঠানটির পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা  (২০২৪-২০২৮) গৃহীত হয়েছে। ইয়ার্ডের আগামী ৫ বছরের উন্নয়ন পরিকল্পনায় গৃহীত পদক্ষেপগুলো হলো- অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধি, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মানবসম্পদ উন্নয়ন, অত্যাধুনিক শিপইয়ার্ডে রূপান্তর, ব্যবসা সম্প্রসারণ সংক্রান্ত পরিকল্পনা, গ্রিন শিপইয়ার্ড বিনির্মাণ, ব্যয় হ্রাসের পরিকল্পনা, টেকনোলজি  ট্রান্সফারের পরিকল্পনা এবং বাজেট পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন।ডকইয়ার্ড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস্ লিমিটেড বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন জাহাজ নির্মাণ কোম্পানি। এটি ১৯২২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং স্বাধীনতার পর ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠানটির আধুনিকায়ন করা হয়। কিন্তু নানাবিধ কারণে সরকারি প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়ন বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে ২০০২ সালে এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০০৬ সালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে ডকইয়ার্ডটি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর দক্ষ নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানটি ধীরে ধীরে অলাভজনক অবস্থা থেকে বর্তমানে দেশের একটি অন্যতম লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিকে আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে নৌবাহিনী প্রধানের দিক নির্দেশনায় ৫৫তম বিওডি সভায় ডকইয়ার্ড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস্ লিমিটেড এর পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। যা বাস্তবায়নের মধ্যমে ডকইয়ার্ড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস্ লিমিটেড একটি ডিজিটাল ও অটোমেশন সুবিধা সম্পন্ন অত্যাধুনিক ও ‘গ্রিন’ শিপইয়ার্ডে রূপান্তর হবে। এর ফলে দেশীয় প্রযুক্তি এবং জনশক্তি ব্যবহারের মধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বাংলাদেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৪:১৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪
২০
Translate »

ডকইয়ার্ড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস্ লিমিটেড এর ৫৫তম বিওডি সভা অনুষ্ঠিত

আপডেট : ০৪:১৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪

ডকইয়ার্ড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস্ লিমিটেড (ডিইডব্লিউ) নারায়ণগঞ্জ এর ‘বোর্ড অব ডিরেক্টর’দের ৫৫তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিইডব্লিউ এর চেয়ারম্যান নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান। এছাড়াও উক্ত সভায় বিওডি’র সভাপতি সহকারী নৌবাহিনী প্রধান (ম্যাটেরিয়াল) রিয়ার অ্যাডমিরাল খন্দকার আক্তার হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় প্রতিষ্ঠানটির পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা  (২০২৪-২০২৮) গৃহীত হয়েছে। ইয়ার্ডের আগামী ৫ বছরের উন্নয়ন পরিকল্পনায় গৃহীত পদক্ষেপগুলো হলো- অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধি, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মানবসম্পদ উন্নয়ন, অত্যাধুনিক শিপইয়ার্ডে রূপান্তর, ব্যবসা সম্প্রসারণ সংক্রান্ত পরিকল্পনা, গ্রিন শিপইয়ার্ড বিনির্মাণ, ব্যয় হ্রাসের পরিকল্পনা, টেকনোলজি  ট্রান্সফারের পরিকল্পনা এবং বাজেট পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন।ডকইয়ার্ড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস্ লিমিটেড বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন জাহাজ নির্মাণ কোম্পানি। এটি ১৯২২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং স্বাধীনতার পর ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠানটির আধুনিকায়ন করা হয়। কিন্তু নানাবিধ কারণে সরকারি প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়ন বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে ২০০২ সালে এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০০৬ সালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে ডকইয়ার্ডটি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর দক্ষ নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানটি ধীরে ধীরে অলাভজনক অবস্থা থেকে বর্তমানে দেশের একটি অন্যতম লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিকে আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে নৌবাহিনী প্রধানের দিক নির্দেশনায় ৫৫তম বিওডি সভায় ডকইয়ার্ড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস্ লিমিটেড এর পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। যা বাস্তবায়নের মধ্যমে ডকইয়ার্ড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস্ লিমিটেড একটি ডিজিটাল ও অটোমেশন সুবিধা সম্পন্ন অত্যাধুনিক ও ‘গ্রিন’ শিপইয়ার্ডে রূপান্তর হবে। এর ফলে দেশীয় প্রযুক্তি এবং জনশক্তি ব্যবহারের মধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বাংলাদেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।