London ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
নাহিদ ইসলাম এক দলকে সরিয়ে আরেক দলকে ক্ষমতায় বসাতে অভ্যুত্থান হয়নি শ্যামনগরে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে তিনজন গুরুতর আহত, কিশোরের অবস্থা আশঙ্কাজনক মনগড়া লোডশেডিংয়ে, চরম বিপাকে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা সাংবাদিক আরিফুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন কালকিনিতে মুক্তিযোদ্ধা দলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত ৮ অঞ্চলে বজ্রবৃষ্টির আভাস রোববার সারা দেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা কারিগরি শিক্ষার্থীদের ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন করবে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান উপদেষ্টা কাতার সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গী ৪ নারী খেলোয়াড় কালই বুঝতে পারবেন-কী করতে পারি

ট্রাম্পের চিঠির আনুষ্ঠানিক জবাব দিয়েছে ইরান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

যু্ক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চিঠির আনুষ্ঠানিক জবাব দিয়েছে ইরান। এতে নতুন পারমাণবিক চুক্তিতে পৌঁছানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ওমানের মাধ্যমে জবাব পাঠায় তেহরান। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচির বরাত দিয়ে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ এসব তথ্য জানিয়েছে।

তিনি বলেন, ওমানের মাধ্যমে আমেরিকার চিঠির প্রতিক্রিয়া পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে ইরানি কর্মকর্তারা চাপের মুখে সরাসরি আলোচনা না করার বিষয়ে তাদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

তিনি বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনায় বসতে আমরা রাজি।

 

জানুয়ারির শুরুতে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর থেকে ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। আরাগচি বলেন, ‘সর্বোচ্চ চাপ ও সামরিক হুমকির মধ্যে থাকা অবস্থায় সরাসরি আলোচনায় যুক্ত না হওয়ার আমাদের নীতি এখনো বহাল আছে। তবে অতীতের মতো পরোক্ষ আলোচনা চলতে পারে।’

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের জবাবের মধ্যে একটি চিঠি রয়েছে, যেখানে বর্তমান পরিস্থিতি ও ট্রাম্পের চিঠির বিষয়ে আমাদের অভিমত বিস্তারিত তুলে ধরেছি।’

‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের’ নীতির অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০১৮ সালে তাঁর প্রথম মেয়াদে ইরানের সঙ্গে হওয়া পারমাণবিক চুক্তি থেকে একতরফা সরে আসেন এবং দেশটির ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার শর্তে ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রভাবশালী দেশগুলোর সঙ্গে ওই চুক্তি করেছিল ইরান।

গত ৭ মার্চ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন, পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় বসতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে তিনি চিঠি লিখেছেন। তেহরান আলোচনায় বসতে রাজি না হলে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাধ্যমে ওই চিঠি দেওয়া হয়েছিল। চিঠিতে আলোচনায় বসার জন্য ইরান দুই মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন ট্রাম্প।

তবে ইরানের প্রতিক্রিয়া বা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির কাছে ট্রাম্পের চিঠির বিষয়বস্তু সম্পর্কে কোনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।

এর আগে ১২ মার্চ তেহরান সফরের সময় আমিরাতের একজন সিনিয়র কূটনীতিক আনোয়ার গারগাশ ট্রাম্পের চিঠি ইরানি কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৩:৩৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫
১৩
Translate »

ট্রাম্পের চিঠির আনুষ্ঠানিক জবাব দিয়েছে ইরান

আপডেট : ০৩:৩৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫

যু্ক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চিঠির আনুষ্ঠানিক জবাব দিয়েছে ইরান। এতে নতুন পারমাণবিক চুক্তিতে পৌঁছানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ওমানের মাধ্যমে জবাব পাঠায় তেহরান। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচির বরাত দিয়ে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ এসব তথ্য জানিয়েছে।

তিনি বলেন, ওমানের মাধ্যমে আমেরিকার চিঠির প্রতিক্রিয়া পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে ইরানি কর্মকর্তারা চাপের মুখে সরাসরি আলোচনা না করার বিষয়ে তাদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

তিনি বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনায় বসতে আমরা রাজি।

 

জানুয়ারির শুরুতে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর থেকে ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। আরাগচি বলেন, ‘সর্বোচ্চ চাপ ও সামরিক হুমকির মধ্যে থাকা অবস্থায় সরাসরি আলোচনায় যুক্ত না হওয়ার আমাদের নীতি এখনো বহাল আছে। তবে অতীতের মতো পরোক্ষ আলোচনা চলতে পারে।’

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের জবাবের মধ্যে একটি চিঠি রয়েছে, যেখানে বর্তমান পরিস্থিতি ও ট্রাম্পের চিঠির বিষয়ে আমাদের অভিমত বিস্তারিত তুলে ধরেছি।’

‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের’ নীতির অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০১৮ সালে তাঁর প্রথম মেয়াদে ইরানের সঙ্গে হওয়া পারমাণবিক চুক্তি থেকে একতরফা সরে আসেন এবং দেশটির ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার শর্তে ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রভাবশালী দেশগুলোর সঙ্গে ওই চুক্তি করেছিল ইরান।

গত ৭ মার্চ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন, পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় বসতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে তিনি চিঠি লিখেছেন। তেহরান আলোচনায় বসতে রাজি না হলে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাধ্যমে ওই চিঠি দেওয়া হয়েছিল। চিঠিতে আলোচনায় বসার জন্য ইরান দুই মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন ট্রাম্প।

তবে ইরানের প্রতিক্রিয়া বা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির কাছে ট্রাম্পের চিঠির বিষয়বস্তু সম্পর্কে কোনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।

এর আগে ১২ মার্চ তেহরান সফরের সময় আমিরাতের একজন সিনিয়র কূটনীতিক আনোয়ার গারগাশ ট্রাম্পের চিঠি ইরানি কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করেন।