London ০২:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
আখাউড়ায় প্রবাসীর বাড়িতে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির রহস্য উদঘাটন, ২১ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার – পুলিশের অভিযানে আটক ১ মরহুম মীর্জা আব্দুল জব্বার বাবু স্মৃতি ফুটবল প্রীতি ম্যাচে অনুষ্ঠিত কালিয়াকৈরে উপজেলা ও পৌর বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটিকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ মিছিল সিরাজগঞ্জে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর ও গর্ভবতী কার্ড প্রদানের কথা বলে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ সলঙ্গায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক দুর্ঘটনায় কিশোর নিহত-চালক আহত দুর্গাপুরে সীমান্ত এলাকা থেকে ১১০ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ বিয়ের দাবিতে হিন্দু প্রেমিকের বাড়িতে মুসলিম নারী সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত। নুরুল হক নুরকে অবরুদ্ধের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণ অধিকার পরিষদের বিক্ষোভ ও সমাবেশ দূর্বার প্রান্নাথপুর ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

টাকা না দেওয়ায় লিবিয়ায় দুই বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা

অনলাইন ডেস্ক

লিবিয়ায় দুই বাংলাদেশি যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে মানব পাচারকারী চক্র। ইতালি নেওয়ার কথা বলে তাদের লিবিয়ায় নিয়ে যায় চক্রটি। হত্যার পর ওই দুজনের মরদেহের ছবি শুক্রবার পরিবারের কাছে পাঠায় তারা।

নিহতরা হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু মাতুব্বরের ছেলে হৃদয় মাতুব্বর (২২) ও একই গ্রামের মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৩)।

ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর অভিযোগ, টাকা না দেওয়ায় ওই দুজনকে হত্যা করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইতালি যাওয়া নিয়ে কুমারখালী গ্রামের আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের সঙ্গে চুক্তি হয় ওই দুজনের পরিবারের। চুক্তি মোতাবেক প্রতিজন থেকে ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেয় তারা। হৃদয় ও রাসেলকে প্রথমে দুবাই নিয়ে যায় দালালেরা। সেখান থেকে সৌদি আরব ও পরে লিবিয়িায় নিয়ে যাওয়া হয়। আর সেখানেই তাদের হত্যা করা হয়। শুক্রবার হোয়াটসঅ্যাপে দুজনের লাশের ছবি পাঠানো হয়। এরপরই গোটা গ্রামে শোকের ছায়া নেমে পড়ে।

নিহত হৃদয়ের বাবা মিন্টু মাতুব্বর বলেন, ‘দুই মাস আগে আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ছেলেকে লিবিয়া হয়ে ইটালি পাঠায়। দুবাই থেকে সৌদি, সেখান থেকে লিবিয়ায় নেওয়া হয় ছেলেকে। সেখানে মাফিয়া চক্র আমার ছেলেকে হত্যা করেছে।’

হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘চার থেকে পাঁচদিন ধরে হৃদয়ের কোনো খোঁজ পাচ্ছিলাম না। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে দালালেরা আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। চুক্তি মোতাবেক টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল দালালেরা। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে গুলি করে হত্যা  করেছে।’

এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা নিরু খলিফা বলেন, রাসেল ও হৃদয়ের শরীরে বালি মাখা ছিল। তাদের শরীরে গুলির চিহ্নও রয়েছে। মানব পাচারকারীরা মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই নির্যাতন করে তারা।

অভিযোগের বিষয়ে আবু তারা মাতুব্বর বলেন, ‘হৃদয় ও রাসেলের সঙ্গে আমার ছেলেও ইতালির উদ্দেশে লিবিয়ায় গিয়েছিল। শুনেছি আমার ছেলেও নাকি মারা গেছে।’

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৫:১৫:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৩৫
Translate »

টাকা না দেওয়ায় লিবিয়ায় দুই বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা

আপডেট : ০৫:১৫:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

লিবিয়ায় দুই বাংলাদেশি যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে মানব পাচারকারী চক্র। ইতালি নেওয়ার কথা বলে তাদের লিবিয়ায় নিয়ে যায় চক্রটি। হত্যার পর ওই দুজনের মরদেহের ছবি শুক্রবার পরিবারের কাছে পাঠায় তারা।

নিহতরা হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু মাতুব্বরের ছেলে হৃদয় মাতুব্বর (২২) ও একই গ্রামের মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৩)।

ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর অভিযোগ, টাকা না দেওয়ায় ওই দুজনকে হত্যা করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইতালি যাওয়া নিয়ে কুমারখালী গ্রামের আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের সঙ্গে চুক্তি হয় ওই দুজনের পরিবারের। চুক্তি মোতাবেক প্রতিজন থেকে ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেয় তারা। হৃদয় ও রাসেলকে প্রথমে দুবাই নিয়ে যায় দালালেরা। সেখান থেকে সৌদি আরব ও পরে লিবিয়িায় নিয়ে যাওয়া হয়। আর সেখানেই তাদের হত্যা করা হয়। শুক্রবার হোয়াটসঅ্যাপে দুজনের লাশের ছবি পাঠানো হয়। এরপরই গোটা গ্রামে শোকের ছায়া নেমে পড়ে।

নিহত হৃদয়ের বাবা মিন্টু মাতুব্বর বলেন, ‘দুই মাস আগে আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ছেলেকে লিবিয়া হয়ে ইটালি পাঠায়। দুবাই থেকে সৌদি, সেখান থেকে লিবিয়ায় নেওয়া হয় ছেলেকে। সেখানে মাফিয়া চক্র আমার ছেলেকে হত্যা করেছে।’

হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘চার থেকে পাঁচদিন ধরে হৃদয়ের কোনো খোঁজ পাচ্ছিলাম না। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে দালালেরা আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। চুক্তি মোতাবেক টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল দালালেরা। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে গুলি করে হত্যা  করেছে।’

এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা নিরু খলিফা বলেন, রাসেল ও হৃদয়ের শরীরে বালি মাখা ছিল। তাদের শরীরে গুলির চিহ্নও রয়েছে। মানব পাচারকারীরা মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই নির্যাতন করে তারা।

অভিযোগের বিষয়ে আবু তারা মাতুব্বর বলেন, ‘হৃদয় ও রাসেলের সঙ্গে আমার ছেলেও ইতালির উদ্দেশে লিবিয়ায় গিয়েছিল। শুনেছি আমার ছেলেও নাকি মারা গেছে।’