নিজ স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে টেনে টয়লেটে নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন প্রধান শিক্ষক। পরবর্তীতে ওই ছাত্রীর গায়ে হাত দিলে মেয়েটি চিৎকার শুরু করে এবং অন্য শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এসে দরজায় ধাক্কা দিলে শিক্ষক দরজা খুলে বেরিয়ে যান।
টয়লেটে আটকে রেখে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি চেষ্টার এমন অভিযোগ উঠেছে নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের আলমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশানন্দ শীলের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর তিনি দ্রুত স্কুল ত্যাগ করে গা ঢাকা দেন।
রবিবার (১৮ মে) যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ওই প্রধান শিক্ষকের মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১৫ মে) স্কুল চলাকালীন সময়ে প্রধান শিক্ষক আশানন্দ শীল ওই স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে টেনে টয়লেট নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। পরবর্তীতে ওই ছাত্রীর গায়ে হাত দিলে মেয়েটি চিৎকার শুরু করে এবং অন্য শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এসে দরজায় ধাক্কা দিলে শিক্ষক দরজা খুলে বেরিয়ে যান।
এ ঘটনার বিচার চায় ভুক্তভোগী পরিবার। সেই সাথে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে ওই বিদ্যালয় থেকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা।
এমন ঘটনায় হতভম্ব এলাকাবাসী। তারা বলেন,এই ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান তারা।
মো: রনি নামের একজন জানান,ওই শিক্ষক আগে যে স্কুলে ছিলেন সেখানেও এমন ঘটনা ঘটিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ওই সময়ে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ঘুষ দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দিয়েছিলেন। প্রভাবশালীরা সবকিছু ম্যানেজ করে ফেলায় এই ভুক্তভোগী ছাত্রীও কোন বিচার পায়নি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. বজলুল কাদের বলেন, আমরা ওই স্কুলে গিয়ে এই অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে জোর সুপারিশ করেছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. ফজলুর রহমান বলেন, বিষয়টি জেনেছি, ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।