London ০৪:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জিমি কার্টার ছিলেন বাংলাদেশের একজন প্রকৃত বন্ধু : প্রধান উপদেষ্টা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

নোবেল বিজয়ী যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, প্রেসিডেন্ট কার্টার ছিলেন বাংলাদেশের একজন প্রকৃত বন্ধু।

তার মৃত্যুতে সমবেদনা জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে এক চিঠিতে ড. ইউনূস বলেন, জিমি কার্টার ছিলেন একজন অসাধারণ নেতা, মানবাধিকারের চ্যাম্পিয়ন এবং বিশ্বজুড়ে শান্তি ও গণতন্ত্রের জন্য অক্লান্ত প্রবক্তা।

প্রফেসর ইউনূস বলেন, কার্টারের প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়ে এবং তার পরবর্তী সময়ে, বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ক বহুমুখী প্রেক্ষাপটে সুদৃঢ় ও প্রসারিত হয়েছিল। বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়ন, সুশাসন নিশ্চিত করা এবং গণতন্ত্রের অগ্রগতিতে কার্টার সেন্টারের মাধ্যমে তার কাজ বাংলাদেশের মানুষের প্রতি তার ভালবাসা এবং আবেগের সাক্ষ্য দেয়। আমরা ১৯৮৬ সালে তার বাংলাদেশ সফরের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি এবং এটি ছিল আমাদের জনগণের জন্য এক মহান অনুপ্রেরণার উৎস।

চিঠিতে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট কার্টার শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্ব রাজনীতির একজন আইকনিক ব্যক্তিত্বই ছিলেন না, তিনি আমার একজন প্রিয় বন্ধুও ছিলেন। বছরের পর বছর ধরে নোবেল বিজয়ীদের সমাবেশে অসংখ্যবার তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার মাধ্যমে বিশেষ সম্মান আমার হয়েছে। মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতি তার অবিচল অঙ্গীকার আমাকে সবসময় উৎসাহিত করেছে। তার গভীর নম্রতা, প্রজ্ঞা এবং জনগণের ক্ষমতায়নে দৃঢ় বিশ্বাস আমাদের কথোপকথনের মূলে ছিল। তার উত্তরাধিকার আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে, আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের প্রতি এবং বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট কার্টারের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

স্থানীয় সময় রোববার (২৯ ডিসেম্বর) মারা যান যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১০০ বছর। যুক্তরাষ্ট্রের ৩৯তম প্রেসিডেন্ট ছিলেন কার্টার। তিনি ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে জর্জিয়ার প্লেইন্সে তার বাড়িতে ‘হসপিস কেয়ার’-এ ছিলেন। সেখানে তিনি তার স্ত্রী রোজালিন কার্টারের সঙ্গে থাকতেন। তবে ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর মারা যান সাবেক মার্কিন ফার্স্ট লেডি রোজালিন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০১:৪৫:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
১২
Translate »

জিমি কার্টার ছিলেন বাংলাদেশের একজন প্রকৃত বন্ধু : প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট : ০১:৪৫:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

নোবেল বিজয়ী যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, প্রেসিডেন্ট কার্টার ছিলেন বাংলাদেশের একজন প্রকৃত বন্ধু।

তার মৃত্যুতে সমবেদনা জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে এক চিঠিতে ড. ইউনূস বলেন, জিমি কার্টার ছিলেন একজন অসাধারণ নেতা, মানবাধিকারের চ্যাম্পিয়ন এবং বিশ্বজুড়ে শান্তি ও গণতন্ত্রের জন্য অক্লান্ত প্রবক্তা।

প্রফেসর ইউনূস বলেন, কার্টারের প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়ে এবং তার পরবর্তী সময়ে, বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ক বহুমুখী প্রেক্ষাপটে সুদৃঢ় ও প্রসারিত হয়েছিল। বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়ন, সুশাসন নিশ্চিত করা এবং গণতন্ত্রের অগ্রগতিতে কার্টার সেন্টারের মাধ্যমে তার কাজ বাংলাদেশের মানুষের প্রতি তার ভালবাসা এবং আবেগের সাক্ষ্য দেয়। আমরা ১৯৮৬ সালে তার বাংলাদেশ সফরের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি এবং এটি ছিল আমাদের জনগণের জন্য এক মহান অনুপ্রেরণার উৎস।

চিঠিতে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট কার্টার শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্ব রাজনীতির একজন আইকনিক ব্যক্তিত্বই ছিলেন না, তিনি আমার একজন প্রিয় বন্ধুও ছিলেন। বছরের পর বছর ধরে নোবেল বিজয়ীদের সমাবেশে অসংখ্যবার তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার মাধ্যমে বিশেষ সম্মান আমার হয়েছে। মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতি তার অবিচল অঙ্গীকার আমাকে সবসময় উৎসাহিত করেছে। তার গভীর নম্রতা, প্রজ্ঞা এবং জনগণের ক্ষমতায়নে দৃঢ় বিশ্বাস আমাদের কথোপকথনের মূলে ছিল। তার উত্তরাধিকার আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে, আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের প্রতি এবং বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট কার্টারের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

স্থানীয় সময় রোববার (২৯ ডিসেম্বর) মারা যান যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১০০ বছর। যুক্তরাষ্ট্রের ৩৯তম প্রেসিডেন্ট ছিলেন কার্টার। তিনি ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে জর্জিয়ার প্লেইন্সে তার বাড়িতে ‘হসপিস কেয়ার’-এ ছিলেন। সেখানে তিনি তার স্ত্রী রোজালিন কার্টারের সঙ্গে থাকতেন। তবে ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর মারা যান সাবেক মার্কিন ফার্স্ট লেডি রোজালিন।