London ০৪:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জামায়াত কার্যালয়সহ ৬ কর্মীর দোকানে তালা দিয়েছে বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সংঘর্ষের জেরে জামায়াতের দলীয় কার্যালয়, নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা দিয়েছে বিএনপির লোকজন। সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার জোরারগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

জামায়াত নেতাকর্মীদের অভিযোগ, দোকানে তালা দেওয়ার আগে তাদের মারধর করে বাজার থেকে তাড়িয়ে দেয় বিএনপি নেতাকর্মীরা।

একাধিক ভুক্তভোগী জানান, জোরারগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে বালু ভরাটের কাজ ভাগাভাগি নিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব মাসুকুল আলম সোহান ও সাবেক শিবির নেতা জামাল উদ্দিনের লোকজনের সংঘর্ষ হয়। সেই ঘটনায় উভয়পক্ষের চারজন নেতাকর্মী আহত হন। এর জের ধরে সোমবার রাতে বিএনপি নেতাকর্মীরা জোরারগঞ্জ বাজারে জামায়াত কার্যালয় ও জামায়াত সমর্থিত ব্যবসায়ীদের ছয়টি দোকানে তালা লাগিয়ে দেয়। তার আগে ব্যবসায়ীদের পিটিয়ে ও হুমকি দিয়ে বাজার ছাড়া করা হয়।

তালা দেওয়া ছয়টি দোকান হচ্ছে, আনোয়ার হোসেনের বেড় তোশকের দোকান, মো. শরীফের ওয়ার্কশপ, শাহানেওয়াজের কনফেকশনারি দোকান, মোহাম্মদ নবী ও সোহেলের আসবাব তৈরির দোকান এবং মো. ইউসুফের রড়-সিমেন্টের দোকান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জামায়াত সমর্থক ব্যবসায়ী মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, সোমবার দুপুরে বালু ভরাটের কাজ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এর জের ধরে বিএনপি নেতাকর্মীরা দল বেঁধে দোকানপাটে হামলা করে। এভাবে দোকানে তালা দেওয়া নজিরবিহীন। আমরা দলীয় নেতাদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জোরালগঞ্জ থানা জামায়াতের আমির নুরুল হুদা হামিদী বলেন, এ বিষয়ে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। সমঝোতার মধ্যে দোকানপাট খুলে দিলে ভালো। না হলে আমরা এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

এ বিষয়ে জানতে জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব মাসুকুল আলম সোহানের ফোনে বারবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি।

জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, জেলায় দলীয় কর্মসূচি থাকায় সারাদিন চট্টগ্রামে ছিলাম। যতটুকু জেনেছি ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্ব থেকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রাতে দোকানে তালা দেওয়ার বিষয়টিও আমি জানি না। যদি তেমনটি হয়ে থাকে তবে তা ঠিক হয়নি।

জানতে চাইলে জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম সিফাতুল মাজদার বলেন, এ বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০১:৫৬:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫
১৪
Translate »

জামায়াত কার্যালয়সহ ৬ কর্মীর দোকানে তালা দিয়েছে বিএনপি

আপডেট : ০১:৫৬:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সংঘর্ষের জেরে জামায়াতের দলীয় কার্যালয়, নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা দিয়েছে বিএনপির লোকজন। সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার জোরারগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

জামায়াত নেতাকর্মীদের অভিযোগ, দোকানে তালা দেওয়ার আগে তাদের মারধর করে বাজার থেকে তাড়িয়ে দেয় বিএনপি নেতাকর্মীরা।

একাধিক ভুক্তভোগী জানান, জোরারগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে বালু ভরাটের কাজ ভাগাভাগি নিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব মাসুকুল আলম সোহান ও সাবেক শিবির নেতা জামাল উদ্দিনের লোকজনের সংঘর্ষ হয়। সেই ঘটনায় উভয়পক্ষের চারজন নেতাকর্মী আহত হন। এর জের ধরে সোমবার রাতে বিএনপি নেতাকর্মীরা জোরারগঞ্জ বাজারে জামায়াত কার্যালয় ও জামায়াত সমর্থিত ব্যবসায়ীদের ছয়টি দোকানে তালা লাগিয়ে দেয়। তার আগে ব্যবসায়ীদের পিটিয়ে ও হুমকি দিয়ে বাজার ছাড়া করা হয়।

তালা দেওয়া ছয়টি দোকান হচ্ছে, আনোয়ার হোসেনের বেড় তোশকের দোকান, মো. শরীফের ওয়ার্কশপ, শাহানেওয়াজের কনফেকশনারি দোকান, মোহাম্মদ নবী ও সোহেলের আসবাব তৈরির দোকান এবং মো. ইউসুফের রড়-সিমেন্টের দোকান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জামায়াত সমর্থক ব্যবসায়ী মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, সোমবার দুপুরে বালু ভরাটের কাজ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এর জের ধরে বিএনপি নেতাকর্মীরা দল বেঁধে দোকানপাটে হামলা করে। এভাবে দোকানে তালা দেওয়া নজিরবিহীন। আমরা দলীয় নেতাদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জোরালগঞ্জ থানা জামায়াতের আমির নুরুল হুদা হামিদী বলেন, এ বিষয়ে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। সমঝোতার মধ্যে দোকানপাট খুলে দিলে ভালো। না হলে আমরা এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

এ বিষয়ে জানতে জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব মাসুকুল আলম সোহানের ফোনে বারবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি।

জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, জেলায় দলীয় কর্মসূচি থাকায় সারাদিন চট্টগ্রামে ছিলাম। যতটুকু জেনেছি ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্ব থেকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রাতে দোকানে তালা দেওয়ার বিষয়টিও আমি জানি না। যদি তেমনটি হয়ে থাকে তবে তা ঠিক হয়নি।

জানতে চাইলে জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম সিফাতুল মাজদার বলেন, এ বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।