জমিজমা বিরোধকে কেন্দ্র করে মা ও মেয়ের উপর সন্ত্রাসী হামলা

পটুয়াখালী সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন জমিজমা বিরোধ সংক্রান্ত জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার ০৬ নং ছোট নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের মেনিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা খাদিজা বেগম।
আহত খাদিজা বেগম জানান, গত জুন মাসের ২৫ তারিখ সন্ত্রাসী মাসুদ, মারুফ, শাহিন খা, রহিম খা, কামাল, ইদ্রিস মোল্লা, চুন্নু মৃধা, আলামিন মৃধা, সজিব মৃধা, হাসান মৃধা, হামিদা, শিল্পী, শাহজাহান আকন, শহিদুল আকন, মোস্তফা হাওলাদার এবং তাদের কতৃক ভাড়া করে আনা ১০ -১২ জন সন্ত্রাসীরা রাতে আমাদের পুকুর পাড়ে গাছপালা কেটে ঘর তৈরি করে। আমার স্বামী টের পেয়ে ডাক দিলে তারা আমার স্বামী কে হত্যার হুমকি দেয়। তখন আমরা ৯৯৯ এ ফোন দিলে জানালে তালতলী থানার এস আই জহুরুল ইসলাম এসে জমির কাগজপত্র নিয়ে পরদিন থানায় যেতে বলে পরে আমরা আমাদের কাগজপত্র নিয়ে থানায় গেলে প্রশাসন কাগজপত্র দেখে তাদের তৈরি ঘর ভেঙ্গে নিয়ে যেতে বলে আমাদেরকে মিলিয়ে দিয়েছিল। এর পরদিনই প্রতিপক্ষের হামিদা বেগম বাদী হয়ে আমার স্বামী সিদ্দিক খা কে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
সর্বশেষ গত ৩০ শে আগষ্ট ২০২৫ ইং রোজ শুক্রবার রাত আনুমানিক ৯ টার সময় আমি এবং আমার মেয়ে সাদিয়া পুকুর পাড়ে থালা বাসন ধোয়ার জন্য গেলে আমি ও আমার মেয়ের ওপর শাহিন, ভাড়াটে সন্ত্রাসী ইদ্রিস মোল্লাসহ ১০-১২ দেশীয় অস্ত্র দা, রামদা, বগি, ছেনা, রড দিয়ে আমাদের উপর আতর্কিত হামলা চালায়। আমার মাথার ওপর সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি কোপ দিলে আমি বেহুশ হয়ে যাই। পরে তালতলী হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গেলে আমাকে পটুয়াখালী সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। আমি বরগুনা জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন এর কাছে এর বিচার চাই।
আহত খাদিজা বেগম এর মেয়ে আমেনা বেগম জানান, শাহিন খা, আবদুর রহিম, মাসুদ, মারুফ আমার মা ও বোনের ওপর হামলা করেছে। আমি এর বিচার চাই। অভিযুক্ত মাসুদ , মারুফ, বায়জিদ এখনও আমাদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে । মাসুদ, মারুফ, বায়জিদ সহ আরো ভাড়াটে সন্ত্রাসী দ্বারা আমার বাবা ও বোনদের হুমকি দিচ্ছে এই বলে যে যদি তারা কোনো প্রকার কথা বলে তবে মেয়েদের কে পাচার করে দিবে তাদের কারনে আমি সহ আমার বোনেরা লেখাপড়া করতে পারিনি কলেজে গেলে নিয়মিত ইভটিজিং করত মাসুদ, মারুফ বায়জিদ, রহিম খা ।