রোজার দ্বিতীয় দিনে জমে উঠেছে ফুটপাতের ইফতার। রাজধানীর আগারগাঁও নতুন রাস্তা, সমাজকল্যাণ মোড়, নির্বাচন ভবনের সামনের সড়ক ও পাসপোর্ট অফিস এলাকায় বেশ জমে উঠেছে ভ্রাম্যমাণ ইফতার দোকান। প্রতিদিন দুপুরের পর থেকেই শুরু হয় দোকানিদের কর্মযজ্ঞ। দুপুর ২টা থেকে প্রক্রিয়া শুরু করে ইফতার সামগ্রী বানান দোকানিরা। তিনটার পর থেকেই বিক্রি শুরু হয়। অফিস ফেরত লোকজনই এখানকার বেশি ক্রেতা। বাসায় যাওয়ার পথে নিয়ে যান ইফতার।
আগারগাঁও আইডিবির সামনেই পসরা সাজিয়ে বসেছেন টং দোকানি মনির হোসেন। তার কাছে ১১ আইটেমের ইফতার সামগ্রী পাওয়া যায়। এর মধ্যে মুড়ির প্যাকেট ৭০ টাকা (৫০০ গ্রাম), সবজি পাকোড়া ১০টাকা, পেঁয়াজু ১০ টাকা, আলুর চপ ৫ টাকা, বেগুনি ৫ টাকা, ডিম চপ ১০ টাকা, চিকেন সাসলিক ৩০ টাকা, ছোলা ২০০ টাকা কেজি, বুন্দিয়া ২০০ টাকা কেজি, জিলাপি (মোটা) ২০০ টাকা কেজি, জিলাপি (চিকন) ৩০০ টাকা কেজি।
একটু সামনে গেলে সমাজসেবা অফিসের সামনে বিশাল পসরা নিয়ে বসেছেন মো. বাপ্পি। তার কাছে ছোলা (রান্না করা) ১৮০ টাকা কেজি, পেঁয়াজু ৫ টাকা, আলুর চপ ৫ টাকা, বেগুনি ৫ টাকা, চিকেন টিকা ১০ টাকা, জালি কাবাব ১৫ টাকা, বাঁধাকপির পাকোড়া ১০ টাকা, বুন্দিয়া ২০০ টাকা কেজি, জিলাপি (মোটা) ২০০ টাকা কেজি ও চিকন জিলাপি ৩০০ টাকা কেজি।
এভাবে পুরো এলাকায় অন্তত দুইশো দোকান বসেছে। প্রতিটি দোকানে এক থেকে দেড়শো লোকের ইফতার আয়োজন করা হয়েছে। বেশিরভাগই বিক্রি হয়ে যায়। তবে দু-একদিন বেশি থেকে যায়, সেটা ফেলে দেন দোকানিরা। অফিসপাড়ায় দোকান হওয়ায় পরদিন নতুন করে ইফতার তৈরি করেন।
শুধু ভাজাপোড়া নয়, এ এলাকায় এক থেকে দেড়শো টাকার মধ্যে ডাব পাওয়া যায়। সব ধরনের দেশীয় ও বিদেশি ফল এবং সবজি পাওয়া যায়। ভ্যানে বা ফুটপাতে ফল ও সবজি বিক্রি হয়।
তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। বাঙ্গি বিভিন্ন দামের আছে। স্ট্রবেরি ৪০০ টাকা কেজি, বরই ৮০ টাকা কেজি। থাই পেয়ারা কেজি ৭০/৮০ টাকা। ২০০ থেকে ৩০০ কেজি থেকে শুরু করে ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা পর্যন্ত দামে বিভিন্ন জাতের খেজুর পাওয়া যায়।