London ০৬:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জন্মহারে পতন, অবসরের বয়সসীমা বাড়াচ্ছে চীন

চীন তার নাগরিকদের অবসরের বয়সসীমা পর্যায়ক্রমে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল শুক্রবার দেশটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আগামী কয়েক দশকের মধ্যে চীনে বয়োজ্যেষ্ঠ জনগোষ্ঠীর হার বৃদ্ধি পেতে যাচ্ছে। কিন্তু সে তুলনায় হ্রাস পাবে তরুণদের সংখ্যা। মূলত এমন পরিস্থিতিতে চীন চাকরিজীবীদের অবসরের বয়সসীমা বাড়ানোর এ কথা ভাবছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিনহুয়া জানিয়েছে, নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুরুষ কর্মীদের অবসরের বয়সসীমা ৬০ বছর থেকে পর্যায়ক্রমে বাড়িয়ে ৬৩ বছর করা হবে। নারীদের ক্ষেত্রে বর্তমানে সেখানে ৫০ ও ৫৫ বছরের দুই ধরনের অবসরের বয়সসীমা রয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এটি হবে যথাক্রমে ৫৫ ও ৫৮ বছর। ২০২৫ সাল থেকে পরবর্তী ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন স্তরে ধাপে ধাপে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।

২০২৩ সালে এসে পরপর দুই বছর চীনে জনসংখ্যার অবস্থা নিম্নগামী দেখা গেছে। দেশটির নীতিনির্ধারকেরা মনে করছেন, এমন অবস্থা চলতে থাকলে তা হবে দেশটির জন্য ক্ষতিকারক। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে সেখানকার অর্থনীতি, স্বাস্থ্য খাত ও সামাজিক কল্যাণ ব্যবস্থার ওপর।

গত কয়েক দশকে চীনে অবসরের বয়সসীমা বাড়ানো হয়নি। বলা হয়ে থাকে, বিশ্বের সবচেয়ে কম অবসর বয়সসীমা রয়েছে দেশটিতে। এমন পরিস্থিতিতে গড় আয়ু, নাগরিকদের স্বাস্থ্যগত সক্ষমতা, জনসংখ্যার কাঠামো, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও শ্রমশক্তি সরবরাহ মূল্যায়ন করে নতুন এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বেইজিংয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিকসের শ্রম অর্থনীতিবিদ লাই চ্যাংগান বলেন, তাঁর ধারণা, এ ধরনের ঘোষণার জন্য অনেক মানুষেরই মানসিক প্রস্তুতি রয়েছে। তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্তের পেছনে জনসংখ্যাগত পরিবর্তনই মূল কারণ।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৭:১২:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৫৩
Translate »

জন্মহারে পতন, অবসরের বয়সসীমা বাড়াচ্ছে চীন

আপডেট : ০৭:১২:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চীন তার নাগরিকদের অবসরের বয়সসীমা পর্যায়ক্রমে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল শুক্রবার দেশটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আগামী কয়েক দশকের মধ্যে চীনে বয়োজ্যেষ্ঠ জনগোষ্ঠীর হার বৃদ্ধি পেতে যাচ্ছে। কিন্তু সে তুলনায় হ্রাস পাবে তরুণদের সংখ্যা। মূলত এমন পরিস্থিতিতে চীন চাকরিজীবীদের অবসরের বয়সসীমা বাড়ানোর এ কথা ভাবছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিনহুয়া জানিয়েছে, নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুরুষ কর্মীদের অবসরের বয়সসীমা ৬০ বছর থেকে পর্যায়ক্রমে বাড়িয়ে ৬৩ বছর করা হবে। নারীদের ক্ষেত্রে বর্তমানে সেখানে ৫০ ও ৫৫ বছরের দুই ধরনের অবসরের বয়সসীমা রয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এটি হবে যথাক্রমে ৫৫ ও ৫৮ বছর। ২০২৫ সাল থেকে পরবর্তী ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন স্তরে ধাপে ধাপে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।

২০২৩ সালে এসে পরপর দুই বছর চীনে জনসংখ্যার অবস্থা নিম্নগামী দেখা গেছে। দেশটির নীতিনির্ধারকেরা মনে করছেন, এমন অবস্থা চলতে থাকলে তা হবে দেশটির জন্য ক্ষতিকারক। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে সেখানকার অর্থনীতি, স্বাস্থ্য খাত ও সামাজিক কল্যাণ ব্যবস্থার ওপর।

গত কয়েক দশকে চীনে অবসরের বয়সসীমা বাড়ানো হয়নি। বলা হয়ে থাকে, বিশ্বের সবচেয়ে কম অবসর বয়সসীমা রয়েছে দেশটিতে। এমন পরিস্থিতিতে গড় আয়ু, নাগরিকদের স্বাস্থ্যগত সক্ষমতা, জনসংখ্যার কাঠামো, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও শ্রমশক্তি সরবরাহ মূল্যায়ন করে নতুন এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বেইজিংয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিকসের শ্রম অর্থনীতিবিদ লাই চ্যাংগান বলেন, তাঁর ধারণা, এ ধরনের ঘোষণার জন্য অনেক মানুষেরই মানসিক প্রস্তুতি রয়েছে। তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্তের পেছনে জনসংখ্যাগত পরিবর্তনই মূল কারণ।