London ১২:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘ছ্যাঁকা দেওয়া কেবল শুরু, সারাজীবনই দেব’

অনলাইন ডেস্ক

বেশ কিছুদিন ধরেই শোবিজপাড়ায় উড়ে বেড়াচ্ছে চিত্রনায়িকা পরীমণির সঙ্গে তরুণ গায়ক শেখ সাদীর প্রেমের গুঞ্জন। এই দুই তারকা তাদের সম্পর্কের বিষয়টি গুজব বলে উড়িয়ে দিলেও সোশ্যাল মিডিয়া বলছে ভিন্ন চিত্র। 

প্রায় প্রতিনিয়ত পরীমণি, সাদী একে অন্যেকে ইঙ্গিত করে ফেসবুক পোস্ট দিচ্ছেন। একজন অপরজনের পোস্ট শেয়ার করছেন। সেখানেও নানা খুনসুটিতে মেতে উঠছেন।

সম্প্রতি পরী-সাদীর সেই খুনসুটির কিছু মুহূর্ত নজরে পড়েছে নেটিজেনদের। যা তাদের সম্পর্কের গুঞ্জনে নতুন করে ঘি ঢেলেছে।

গেল সোমবার প্রকাশ পেয়েছে শেখ সাদীর গাওয়া নতুন গান ‘মনে নাই দয়া’। গানটি পরীমণি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশ করেছেন। ভালোবাসার ইমোজি দিয়ে ছোট একটি ক্যাপশনও দিয়েছেন।

পরীমণির সেই ফেসবুক পোস্টে একজন মন্তব্য করেছেন, এভাবে সাদী ভাইকে ‘ছ্যাঁকা’টা না দিলেও হতো, পরী। সেই মন্তব্যের উত্তরে পরীমণি লিখেছেন, ‘কেবল তো শুরু। সারাজীবনই দেব।’

এরপর পরীমণির সেই পোস্টে সাদা রঙের ভালোবাসার ইমোজি দিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন সাদী। সেই মন্তব্যের জবাবে পরীমণি বলেন, ‘লাল লাগবে আমার।’ মানে, সাদা লাভ ইমোজির পরিবর্তে লাল রঙেরটাই ব্যবহার করতে বলেছেন তিনি।

এদিকে পরীর সঙ্গে প্রেম সম্পর্কে জানতে চাইলে সাদী বলেছেন,‘পরীমণির সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক হতেই পারে না। পারিবারিকভাবে আমাদের বোঝাপড়া ভালো। আমাদের পরিবারের সদস্যরা তার বাসায় যান; তিনিও আমাদের বাসায় আসেন। পারিবারিক সম্পর্কের বাইরে তার সঙ্গে প্রেমের কোনো সম্পর্ক নেই। মানুষ না জেনে না বুঝে আমাদের নিয়ে রিউমার ছড়াচ্ছেন।’

অন্যদিকে শেখ সাদীর জামিনদার হওয়া প্রসঙ্গে পরীমণি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘হঠাৎ করে আমি ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম বলে গতকাল আদালতে যেতে পারিনি। যখন শুনলাম, আমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। খবরটি যখন গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে, তখন আমার শুভাকাঙ্ক্ষী ও শুভানুধ্যায়ীরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এমন পরিস্থিতিতে আমার বন্ধুবান্ধবেরা আমাকে সাহস জুগিয়েছে। শেখ সাদীও আমার সহকর্মী। তার সঙ্গেও গতকাল কথা হয়। আজ আদালতে শুনানির সময় সে ছিল। জামিন পাওয়ার পর আইনজীবী জামিনদারের পাশাপাশি স্থানীয় একজন জামিনদারের প্রয়োজন হয়। শেখ সাদী তখন জামিননামায় স্বাক্ষর করে।’

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১১:২০:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
১৬
Translate »

‘ছ্যাঁকা দেওয়া কেবল শুরু, সারাজীবনই দেব’

আপডেট : ১১:২০:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বেশ কিছুদিন ধরেই শোবিজপাড়ায় উড়ে বেড়াচ্ছে চিত্রনায়িকা পরীমণির সঙ্গে তরুণ গায়ক শেখ সাদীর প্রেমের গুঞ্জন। এই দুই তারকা তাদের সম্পর্কের বিষয়টি গুজব বলে উড়িয়ে দিলেও সোশ্যাল মিডিয়া বলছে ভিন্ন চিত্র। 

প্রায় প্রতিনিয়ত পরীমণি, সাদী একে অন্যেকে ইঙ্গিত করে ফেসবুক পোস্ট দিচ্ছেন। একজন অপরজনের পোস্ট শেয়ার করছেন। সেখানেও নানা খুনসুটিতে মেতে উঠছেন।

সম্প্রতি পরী-সাদীর সেই খুনসুটির কিছু মুহূর্ত নজরে পড়েছে নেটিজেনদের। যা তাদের সম্পর্কের গুঞ্জনে নতুন করে ঘি ঢেলেছে।

গেল সোমবার প্রকাশ পেয়েছে শেখ সাদীর গাওয়া নতুন গান ‘মনে নাই দয়া’। গানটি পরীমণি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশ করেছেন। ভালোবাসার ইমোজি দিয়ে ছোট একটি ক্যাপশনও দিয়েছেন।

পরীমণির সেই ফেসবুক পোস্টে একজন মন্তব্য করেছেন, এভাবে সাদী ভাইকে ‘ছ্যাঁকা’টা না দিলেও হতো, পরী। সেই মন্তব্যের উত্তরে পরীমণি লিখেছেন, ‘কেবল তো শুরু। সারাজীবনই দেব।’

এরপর পরীমণির সেই পোস্টে সাদা রঙের ভালোবাসার ইমোজি দিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন সাদী। সেই মন্তব্যের জবাবে পরীমণি বলেন, ‘লাল লাগবে আমার।’ মানে, সাদা লাভ ইমোজির পরিবর্তে লাল রঙেরটাই ব্যবহার করতে বলেছেন তিনি।

এদিকে পরীর সঙ্গে প্রেম সম্পর্কে জানতে চাইলে সাদী বলেছেন,‘পরীমণির সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক হতেই পারে না। পারিবারিকভাবে আমাদের বোঝাপড়া ভালো। আমাদের পরিবারের সদস্যরা তার বাসায় যান; তিনিও আমাদের বাসায় আসেন। পারিবারিক সম্পর্কের বাইরে তার সঙ্গে প্রেমের কোনো সম্পর্ক নেই। মানুষ না জেনে না বুঝে আমাদের নিয়ে রিউমার ছড়াচ্ছেন।’

অন্যদিকে শেখ সাদীর জামিনদার হওয়া প্রসঙ্গে পরীমণি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘হঠাৎ করে আমি ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম বলে গতকাল আদালতে যেতে পারিনি। যখন শুনলাম, আমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। খবরটি যখন গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে, তখন আমার শুভাকাঙ্ক্ষী ও শুভানুধ্যায়ীরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এমন পরিস্থিতিতে আমার বন্ধুবান্ধবেরা আমাকে সাহস জুগিয়েছে। শেখ সাদীও আমার সহকর্মী। তার সঙ্গেও গতকাল কথা হয়। আজ আদালতে শুনানির সময় সে ছিল। জামিন পাওয়ার পর আইনজীবী জামিনদারের পাশাপাশি স্থানীয় একজন জামিনদারের প্রয়োজন হয়। শেখ সাদী তখন জামিননামায় স্বাক্ষর করে।’