London ০১:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছুরিকাঘাত করে যুবক কে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে এক কিশোরকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিক হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেনি। নিহত মো. আব্দুর রহমান হৃদয় (২৪) উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীপুর এলাকার সওদাগর বাড়ির মো. সেলিমের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ফার্নিচার মিস্ত্রি ছিলেন। অন্যজন রাসেল (২৫) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
ঘটনাটি ঘটে শনিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চৌমুহনী পৌর ভূমি অফিসের সামনে। নিহতের ছোট ভাই মো. রিফাত বলেন, আমার বড় ভাই হৃদয়ের বন্ধু আশিকের থেকে কিছুদিন আগে ৫ হাজার টাকা হাওলাত নেয় চৌমুহনী পৌরসভার গোলাবাড়ি এলাকার মুরি বাড়ির শাহ আলমের ছেলে বাবু (৩৫)। এরপর টাকা ফেরত চাইলে বাবু তালবাহানা করতে থাকেন। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে বিষয়টি আশিক বাবুর বড় ভাই রনিকে জানায়। এতে বাবু ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার রাতে আশিকের বন্ধু হোসেন ও সাগরকে তুলে নিয়ে আটকে রেখে মারধর করে। রাত সোয়া ১১টার দিকে বিষয়টি জানতে পারে আমার ভাই হৃদয়। খবর পেয়ে তিনি আমাদের বাড়ির তার সমবয়সী কাকা রাসেলকে নিয়ে হোসেন ও সাগরকে উদ্ধার করতে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। যাত্রাপথে তারা চৌমুহনী পৌর ভূমি অফিসের সামনে পৌঁছালে বাবুর সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তখন কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাবু হৃদয়কে ছুরিকাঘাত করে। একই সময়ে রাসেলকেও ছুরিকাঘাত করে।
পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে চৌমুহনী লাইফ কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হৃদয়কে মৃত ঘোষণা করে।
চৌমুহনী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) খোকন চন্দ্র ঘোষ মানবজমিনকে বলেন, মরদেহ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। রাসেল নামে আরেক যুবক অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পুলিশ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে চেষ্টা চালাচ্ছে। নিহতের পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৭:১৩:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
Translate »

ছুরিকাঘাত করে যুবক কে হত্যা

আপডেট : ০৭:১৩:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে এক কিশোরকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিক হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেনি। নিহত মো. আব্দুর রহমান হৃদয় (২৪) উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীপুর এলাকার সওদাগর বাড়ির মো. সেলিমের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ফার্নিচার মিস্ত্রি ছিলেন। অন্যজন রাসেল (২৫) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
ঘটনাটি ঘটে শনিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চৌমুহনী পৌর ভূমি অফিসের সামনে। নিহতের ছোট ভাই মো. রিফাত বলেন, আমার বড় ভাই হৃদয়ের বন্ধু আশিকের থেকে কিছুদিন আগে ৫ হাজার টাকা হাওলাত নেয় চৌমুহনী পৌরসভার গোলাবাড়ি এলাকার মুরি বাড়ির শাহ আলমের ছেলে বাবু (৩৫)। এরপর টাকা ফেরত চাইলে বাবু তালবাহানা করতে থাকেন। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে বিষয়টি আশিক বাবুর বড় ভাই রনিকে জানায়। এতে বাবু ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার রাতে আশিকের বন্ধু হোসেন ও সাগরকে তুলে নিয়ে আটকে রেখে মারধর করে। রাত সোয়া ১১টার দিকে বিষয়টি জানতে পারে আমার ভাই হৃদয়। খবর পেয়ে তিনি আমাদের বাড়ির তার সমবয়সী কাকা রাসেলকে নিয়ে হোসেন ও সাগরকে উদ্ধার করতে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। যাত্রাপথে তারা চৌমুহনী পৌর ভূমি অফিসের সামনে পৌঁছালে বাবুর সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তখন কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাবু হৃদয়কে ছুরিকাঘাত করে। একই সময়ে রাসেলকেও ছুরিকাঘাত করে।
পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে চৌমুহনী লাইফ কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হৃদয়কে মৃত ঘোষণা করে।
চৌমুহনী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) খোকন চন্দ্র ঘোষ মানবজমিনকে বলেন, মরদেহ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। রাসেল নামে আরেক যুবক অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পুলিশ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে চেষ্টা চালাচ্ছে। নিহতের পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।