পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় নাম আসায় ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখা ছাত্রদলের থানা কমিটির দুইজন যুগ্ম-আহ্বায়ককে সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করেছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওই দুই নেতাকে দল থেকে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক, সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখার অধীন কলাবাগান থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদি হাসান (বিল্লাল) ও ধানমন্ডি থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মুস্তাক আহাম্মদকে (চঞ্চল) সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম (রাকিব) ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীকে তাদের সঙ্গে কোনোরূপ সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্য নির্দেশনা দেন।
এর আগে সোমবার ‘পুলিশের ওপর হামলায় ছাত্রদল-যুবদলের ছয় নেতা-কর্মী শনাক্ত’ শিরোনামে সংবাদমাধ্যমে সংবাদ ছাপা হয়। এতে বলা হয়, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাকে (পরে বহিষ্কৃত) ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত ছাত্রদল-যুবদলের ছয় নেতা-কর্মীকে শনাক্ত করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদের মধ্যে দুইজন শুক্রবার ভোরে রাজধানীর নিউমার্কেট থানার সামনে পুলিশের ওপর হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শনাক্ত হওয়া ছয় ছাত্রদল নেতা হলেন কলাবাগান থানা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সহসাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান (বেলাল), কলাবাগান থানা ছাত্রদলের সদস্য আল ওয়াসি (এরিক), ধানমন্ডির যুবদলের কর্মী মো. শরিফুল ইসলাম (দুর্জয়), ধানমন্ডি থানা যুবদলের সাবেক সহসভাপতি আশরাফুল আলম পারভেজ ও ধানমন্ডি থানা ছাত্রদলের নেতা চঞ্চল ও কর্মী সালমান।
ঘটনার দিন থানার সামনে যে ৪০-৫০ জন জড়ো হন, তাদের নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন শরিফুল ইসলাম ও মেহেদি হাসান।