"আর্সেনাল–আতলান্তার ম্যাচে কেউ জেতেনি|রয়টার্স"
আতালান্তা ০: ০ আর্সেনাল
আতলেতিকো ২: ১ লিপজিগ
আর্সেনাল এই মুহূর্তে দারুণ ছন্দে থাকা দল। ইউরোপা লিগ জেতা আতালান্তাও যেকোনো দলের জন্য আতঙ্কের নাম। চ্যাম্পিয়নস লিগে এই দুই দল মুখোমুখি হওয়ায় দারুণ লড়াই আশা করেছিল ফুটবলপ্রেমীরা।
সে আশা অবশ্য একেবারেই পূরণ হয়নি। আতালান্তার মাঠে ম্যাচটি শেষ হয়েছে গোলশূন্য ড্রয়ে। সমতায় শেষ হওয়ার চেয়ে অবশ্য দুই দলের রক্ষণাত্মক ফুটবলই বেশি হতাশ করেছে দর্শকদের।
"আতলেতিকোর গোল উদ্যাপন |ফেসবুক"
বিরতির পরপর অবশ্য দৃশ্যপট বদলে যায়। ৪৮ মিনিটে আতালান্তাকে পেনাল্টি উপহার দেয় আর্সেনাল। কিন্তু সেই উপহার লুফে নিতে ব্যর্থ হয় স্বাগতিকরা। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন মাতেও রেতেগুই। তাঁর শট ঠেকিয়ে দেন আর্সেনাল গোলরক্ষক ডেভিড রায়া। এমনকি ফিরতি হেডেও রেতেগুইকে রুখে দেন এই গোলরক্ষক।
ফলে সুযোগ পেয়েও নিরাশ হতে হয় ইতালির ক্লাবটিকে। পেনাল্টি নিয়ে তৈরি হওয়া নাটকীয়তার পর দুই দলই আক্রমণ, প্রতি–আক্রমণে গিয়ে গোল আদায়ের চেষ্টা করে। কিন্তু বক্স ঘিরে তৈরি করা বুহ্য ভাঙতে পারেনি কেউই।
৭০ মিনিটের পর অবশ্য কিছুটা আগ্রাসী হয়ে খেলার চেষ্টা করে দুইদল। এ সময় উভয়ই গোলের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল, কিন্তু গোল যেন সোনার হরিণ। ম্যাচের শেষ পর্যন্তও যা আর ধরা দেয়নি। ড্র নিয়েই ম্যাচ শেষ করে দুই দল।
অন্য দিকে শুরুতে পিছিয়ে পড়েও আরবি লিপজিগের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস এক জয় পেয়েছে আতলেতিকো মাদ্রিদ। এদিন ম্যাচের ৪ মিনিটেই বেনিয়ামি সেসসকোর গোলে এগিয়ে যায় লিপজিগ। ২৮ মিনিটে আতোয়াঁন গ্রিজমানের গোলে সমতায় ফের আতলেতিকো। এরপর ম্যাচ যখন সমতায় শেষ হওয়ার অপেক্ষায়, তখন ৯০ মিনিটে জোসে মারিয়া হিমেনেজের গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আতলেতিকো।
এর আগে আরেক ম্যাচে ফেইনুর্দকে উড়িয়ে দিয়েছে বায়ার লেভারকুসেন। তাদের জয় ৪–০ গোলে। জার্মান চ্যাম্পিয়নের দারুণ ফুটবলের সামনে সুবিধা করে উঠতে পারেনি ফেইনুর্দ। বড় ব্যবধানের হার নিয়েই ফেইনুর্দ ছাড়তে হয়েছে মাঠ।