London ০৪:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চেয়ারম্যানকে বের করে দিয়ে ইউপি কার্যালয়ে তালা দিলেন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা

অনলাইন ডেস্ক

লক্ষ্মীপুরে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুল হান্নানের বিরুদ্ধে ইউপি কার্যালয়ে তালা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত কার্যালয়ের তালা খোলা হয়নি।

নুরুল আমিন লক্ষ্মীপুরে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। সকাল ১১টার দিকে কার্যালয় থেকে কোনো কারণ ছাড়াই চেয়ারম্যানকে বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার পর থেকে কার্যালয়ের তালা খোলা হয়নি।

ইউপি সদস্য হান্নান বলেন, অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে চেয়ারম্যানকে বের করে দিয়েছেন তারা। ঘটনার সময় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জাবেদ ও টিপুসহ আরো লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয়রা জানায়, ইউপি সদস্য আব্দুল হান্নানের ইন্ধনে তার সহযোগী চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব জাবেদ হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন টিপুর নেতৃত্বে ৮-১০ জন দলবদ্ধ হয়ে চেয়ারম্যানকে বের করে দিয়ে কার্যালয়ে তালা দিয়েছেন। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করার পরবর্তী সময়ে হান্নান প্যানেল চেয়ারম্যান হতে চেয়েছিল। কিন্তু তা হতে না পেরে এ কাজ করেছেন তিনি।

ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, ইউপি সদস্য হান্নানের ইন্ধনে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জাবেদ ও টিপু কার্যালয় থেকে আমাকে বের করে দেন। আর কার্যালয়ে না আসতে হুমকি দেন তারা। তারা বিএনপি, এ জন্য ঘটনাটি ঘটিয়েছে। অন্য কোনো কারণ তারা বলেনি। পরে তারা পরিষদে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

অভিযোগ অস্বীকার করে হান্নান বলেন, নানা অনিয়ম (প্রকল্প আত্মসাৎ ও হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে) দুর্নীতি করেছেন চেয়ারম্যান। প্রতিবাদ করায় আমার মাকে গালমন্দ করেন চেয়ারম্যান। এ জন্য তাকে পরিষদ থেকে বের করে দিয়েছি।

জাবেদ বলেন, আমি স্থানীয় একটি মেলায় ছিলাম। জনগণ চেয়ারম্যানকে বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়। খবর পেয়ে আমি পরে সেখানে গিয়েছি।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কায়সার হামিদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পুলিশ পাঠানো হয়। তবে কী কারণে ঘটনাটি ঘটেছে তা জানা যায়নি। ইউএনওর সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জামশেদ আলম রানা বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। খোঁজখবর নেব।

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৬:০২:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫
১১
Translate »

চেয়ারম্যানকে বের করে দিয়ে ইউপি কার্যালয়ে তালা দিলেন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা

আপডেট : ০৬:০২:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

লক্ষ্মীপুরে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুল হান্নানের বিরুদ্ধে ইউপি কার্যালয়ে তালা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত কার্যালয়ের তালা খোলা হয়নি।

নুরুল আমিন লক্ষ্মীপুরে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। সকাল ১১টার দিকে কার্যালয় থেকে কোনো কারণ ছাড়াই চেয়ারম্যানকে বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার পর থেকে কার্যালয়ের তালা খোলা হয়নি।

ইউপি সদস্য হান্নান বলেন, অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে চেয়ারম্যানকে বের করে দিয়েছেন তারা। ঘটনার সময় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জাবেদ ও টিপুসহ আরো লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয়রা জানায়, ইউপি সদস্য আব্দুল হান্নানের ইন্ধনে তার সহযোগী চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব জাবেদ হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন টিপুর নেতৃত্বে ৮-১০ জন দলবদ্ধ হয়ে চেয়ারম্যানকে বের করে দিয়ে কার্যালয়ে তালা দিয়েছেন। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করার পরবর্তী সময়ে হান্নান প্যানেল চেয়ারম্যান হতে চেয়েছিল। কিন্তু তা হতে না পেরে এ কাজ করেছেন তিনি।

ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, ইউপি সদস্য হান্নানের ইন্ধনে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জাবেদ ও টিপু কার্যালয় থেকে আমাকে বের করে দেন। আর কার্যালয়ে না আসতে হুমকি দেন তারা। তারা বিএনপি, এ জন্য ঘটনাটি ঘটিয়েছে। অন্য কোনো কারণ তারা বলেনি। পরে তারা পরিষদে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

অভিযোগ অস্বীকার করে হান্নান বলেন, নানা অনিয়ম (প্রকল্প আত্মসাৎ ও হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে) দুর্নীতি করেছেন চেয়ারম্যান। প্রতিবাদ করায় আমার মাকে গালমন্দ করেন চেয়ারম্যান। এ জন্য তাকে পরিষদ থেকে বের করে দিয়েছি।

জাবেদ বলেন, আমি স্থানীয় একটি মেলায় ছিলাম। জনগণ চেয়ারম্যানকে বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়। খবর পেয়ে আমি পরে সেখানে গিয়েছি।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কায়সার হামিদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পুলিশ পাঠানো হয়। তবে কী কারণে ঘটনাটি ঘটেছে তা জানা যায়নি। ইউএনওর সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জামশেদ আলম রানা বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। খোঁজখবর নেব।