London ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
নাহিদ ইসলাম এক দলকে সরিয়ে আরেক দলকে ক্ষমতায় বসাতে অভ্যুত্থান হয়নি শ্যামনগরে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে তিনজন গুরুতর আহত, কিশোরের অবস্থা আশঙ্কাজনক মনগড়া লোডশেডিংয়ে, চরম বিপাকে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা সাংবাদিক আরিফুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন কালকিনিতে মুক্তিযোদ্ধা দলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত ৮ অঞ্চলে বজ্রবৃষ্টির আভাস রোববার সারা দেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা কারিগরি শিক্ষার্থীদের ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন করবে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান উপদেষ্টা কাতার সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গী ৪ নারী খেলোয়াড় কালই বুঝতে পারবেন-কী করতে পারি

চীনের কাছে ৫০ বছরের মাস্টারপ্ল্যান চাইলো বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক:

বাংলাদেশের নদী ও পানি ব্যবস্থাপনার জন্য চীনের কাছ থেকে পঞ্চাশ বছরের মাস্টারপ্ল্যান চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) চীন সফরের তৃতীয় দিনে বেইজিংয়ে দেশটির পানিসম্পদ মন্ত্রী লি গুয়োইংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক এ অনুরোধ জানান তিনি। বেইজিংয়ের একটি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস চীনের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করে বলেন, চীন কিছু কঠিন পানি সমস্যার সমাধানে অসাধারণ কাজ করেছে। দেশটির মতো আমাদেরও একই সমস্যা রয়েছে। বাংলাদেশের পরিকল্পনা প্রণয়নে আপনাদের সহায়তা প্রয়োজন। এ সময় বিশেষভাবে তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনা এবং ঢাকার আশ-পাশের নদীগুলোর দূষিত পানি পরিস্কারে চীনের সহায়তা চান তিনি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি ব-দ্বীপ; আমাদের দেশে শত শত নদী রয়েছে। পানি আমাদের জীবন-জীবিকার মূল, কিন্তু কখনও কখনও এটি শত্রুতে পরিণত হয়। এখন যেহেতু জনসংখ্যা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, তাই এটি বাস্তুতন্ত্রের জন্য কী ধরণের ক্ষতি করতে পারে সে বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।

‘চীনকে পানি ব্যবস্থাপনায় দক্ষ কারিগর’ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, চীনের কাছ থেকে বাংলাদেশের অনেক কিছু শেখার আছে।

প্রধান উপদেষ্টা পানি ব্যবস্থাপনায় প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ভিশন বাংলাদেশের সঙ্গে শেয়ার করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা এখানে আপনার কাছ থেকে শিখতে এসেছি: কীভাবে আমরা পানি সম্পদকে মানুষের জন্য উপযোগী করে তুলতে পারি।

পানি ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করতে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, চীন এক্ষেত্রে বিশ্বে অন্যতম শ্রেষ্ঠ দেশ। বাংলাদেশ এ বিষয়ে অনেক কিছু শিখতে চায়। কীভাবে পানিসম্পদ জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করতে পারি তা শিখতে এসেছি। এ সময় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পানি ব্যবস্থাপনার দৃষ্টিভঙ্গি বাংলাদেশকে জানানোরও আহ্বান জানান তিনি।

নদী দখল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও উন্নয়নের চাপে মানুষ নদীর পাশের জমি দখল করছে। এছাড়া নদীগুলোর মাঝখানে পলি জমে নতুন ভূমি তৈরি হচ্ছে। যা কখনও কখনও নদীগুলোকে সংকুচিত বা মৃত করে দিচ্ছে।

তখন চীনের পানিসম্পদ মন্ত্রী লি গুয়োইং বলেছেন, পানি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে উভয় দেশ একই ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। বাংলাদেশের ৮৫ শতাংশ মানুষ বন্যাপ্রবণ অঞ্চলে বসবাস করে। যা দেশটির পানি ব্যবস্থাপনাকে আরও জটিল করে তুলেছে। এ সময় বাংলাদেশকে প্রযুক্তিগত সহায়তা ও বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ মার্চ চারদিনের সফরে চীনে যান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সফরে বর্তমানে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা। সফরে তিনি চীনের নেতা এবং বিনিয়োগকারীদের সাথে একাধিক বৈঠক করেছেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৩:৫৮:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫
১২
Translate »

চীনের কাছে ৫০ বছরের মাস্টারপ্ল্যান চাইলো বাংলাদেশ

আপডেট : ০৩:৫৮:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশের নদী ও পানি ব্যবস্থাপনার জন্য চীনের কাছ থেকে পঞ্চাশ বছরের মাস্টারপ্ল্যান চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) চীন সফরের তৃতীয় দিনে বেইজিংয়ে দেশটির পানিসম্পদ মন্ত্রী লি গুয়োইংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক এ অনুরোধ জানান তিনি। বেইজিংয়ের একটি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস চীনের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করে বলেন, চীন কিছু কঠিন পানি সমস্যার সমাধানে অসাধারণ কাজ করেছে। দেশটির মতো আমাদেরও একই সমস্যা রয়েছে। বাংলাদেশের পরিকল্পনা প্রণয়নে আপনাদের সহায়তা প্রয়োজন। এ সময় বিশেষভাবে তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনা এবং ঢাকার আশ-পাশের নদীগুলোর দূষিত পানি পরিস্কারে চীনের সহায়তা চান তিনি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি ব-দ্বীপ; আমাদের দেশে শত শত নদী রয়েছে। পানি আমাদের জীবন-জীবিকার মূল, কিন্তু কখনও কখনও এটি শত্রুতে পরিণত হয়। এখন যেহেতু জনসংখ্যা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, তাই এটি বাস্তুতন্ত্রের জন্য কী ধরণের ক্ষতি করতে পারে সে বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।

‘চীনকে পানি ব্যবস্থাপনায় দক্ষ কারিগর’ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, চীনের কাছ থেকে বাংলাদেশের অনেক কিছু শেখার আছে।

প্রধান উপদেষ্টা পানি ব্যবস্থাপনায় প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ভিশন বাংলাদেশের সঙ্গে শেয়ার করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা এখানে আপনার কাছ থেকে শিখতে এসেছি: কীভাবে আমরা পানি সম্পদকে মানুষের জন্য উপযোগী করে তুলতে পারি।

পানি ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করতে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, চীন এক্ষেত্রে বিশ্বে অন্যতম শ্রেষ্ঠ দেশ। বাংলাদেশ এ বিষয়ে অনেক কিছু শিখতে চায়। কীভাবে পানিসম্পদ জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করতে পারি তা শিখতে এসেছি। এ সময় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পানি ব্যবস্থাপনার দৃষ্টিভঙ্গি বাংলাদেশকে জানানোরও আহ্বান জানান তিনি।

নদী দখল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও উন্নয়নের চাপে মানুষ নদীর পাশের জমি দখল করছে। এছাড়া নদীগুলোর মাঝখানে পলি জমে নতুন ভূমি তৈরি হচ্ছে। যা কখনও কখনও নদীগুলোকে সংকুচিত বা মৃত করে দিচ্ছে।

তখন চীনের পানিসম্পদ মন্ত্রী লি গুয়োইং বলেছেন, পানি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে উভয় দেশ একই ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। বাংলাদেশের ৮৫ শতাংশ মানুষ বন্যাপ্রবণ অঞ্চলে বসবাস করে। যা দেশটির পানি ব্যবস্থাপনাকে আরও জটিল করে তুলেছে। এ সময় বাংলাদেশকে প্রযুক্তিগত সহায়তা ও বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ মার্চ চারদিনের সফরে চীনে যান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সফরে বর্তমানে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা। সফরে তিনি চীনের নেতা এবং বিনিয়োগকারীদের সাথে একাধিক বৈঠক করেছেন।