চাঁদা না পেয়ে মহিলাকে কুপিয়ে জখম করলো ইউএনও অফিসের অফিস সুপার

বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের পূর্ব কুকুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী আহত নারী নিলুফা বেগম জানান, বিগত দুই মাস আগে আমার স্বামী সুলতান মৃধার কাছে ২ লক্ষ টাকা ধার চায় একই গ্রামের বাসিন্দা আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসের অফিস সুপার আবদুস সালাম আমাদের আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় আমার স্বামী টাকা ধার দিতে অস্বীকৃতি জানালে ক্ষুব্ধ হয়ে বিভিন্ন সময়ে আমাদেরকে টাকা ধার না দিলে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হবে বলে হুমকি প্রদান করে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৮ আগষ্ট ২০২৫ ইং তারিখে রোজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টার সময় সালাম সরদার, জাহাঙ্গীর সরদার, সত্তার সরদার, ইদ্রিস সরদার, ইলিয়াস, মীম বেগম ট্রাক্টর নিয়ে আসে আমার বাড়ি উপর দিয়ে ট্রাক্টর চালিয়ে ধষিয়ে দেবার জন্য আমি মৌখিকভাবে তাদের বাঁধা দিলে সালাম সরদার ট্রাক্টর চালকের আসনে থাকা ইলিয়াস সরদার কে আমার উপর দিয়ে ট্রাক্টর চালিয়ে দিতে বলে বলে আমি দৌড়ে প্রাণে বাঁচতে চাইলে সালাম সরদারের হাতে থাকা ছেনা দিয়া আমার মাথায় কোপ দেয় তাদের সাথে থাকা বাকি সন্ত্রাসীরা আমাকে রড, লাঠি দিয়া পিটাইতে থাকলে আমি বেহুশ হয়ে যাই। পরে হুশ ফিরলে দেখি পটুয়াখালী সরকারি হাসপাতালে আমি। আমার গলায় থাকা স্বর্নের চেইন ও কানের দুল নিয়ে গেছে আমাদের ঘরে হামলা চালিয়ে সবকিছু নিয়ে গেছে, লুটপাট করেছে।
আমি প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠ বিচার চাই। আহত ভুক্তভোগী নিলুফা বেগমের ছেলে সাইফুল ইসলাম জানান, আবদুস সালাম সরকারি চাকরির প্রভাব খাটিয়ে এহেন অপকর্ম নাই যে করে নাই যার মধ্যে অন্যতম নিকৃষ্ট হলো আমার পঞ্চাশোর্ধ মায়ের মাথায় কোপ দেয়া। আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসে অফিস সুপার হিসেবে চাকরির সুবাদে কিছু কুকুয়া ইউনিয়নে গড়ে তুলেছেন সন্ত্রাসী বাহিনী যারা খাল দখল, জমি দখল, বিভিন্ন পরিবারের জায়গা জমি জবরদখল, বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ সবই করছেন এ বাহিনী। আগেও সে অনেক পরিবারের উপর হামলা মামলা চালিয়ে এলাকা ছাড়া করেছে । এসব দেখার যেন কেউ নেই। আমরা তার নির্যাতনের থেকে রেহাই চাই । তার বিরুদ্ধে আমার পরিবারের লোকজন মামলা করতে পর্যন্ত ভয় পাচ্ছে ।