London ০৫:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
মেডিকেল ক্যাম্প–রক্তদানে ব্যতিক্রমী আয়োজন, পালিত হলো প্রেসক্লাব আলফাডাঙ্গার ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী দিনব্যাপী সেবামূলক কার্যক্রমে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ পটুয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন ভাই আজাদসহ দুই স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা কালিয়াকৈরে সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকচালক নিহত রাজশাহীতে চলছে ট্রাফিক সপ্তাহ ২০২৫ কালিয়াকৈর ৫ নং ওয়ার্ড পৌর বি এন পির নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা ও মতবিনিময় বিক্ষোভ সমাবেশে ক্ষোভের বিস্ফোরণ: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রহসনমূলক রায়ের প্রতিবাদে লন্ডনে প্রবাসীদের গণজমায়েত রাজশাহীতে চলছে উদ্যোক্তা মেলা গাজীপুর-১ আসন কালিয়াকৈরে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর শীতার্ত মানুষের কষ্ট লাঘবে নানিয়ারচর জোন (১৭ই বেংগল) এর উদ্যোগে বিনামূল্যে শীতবস্ত্র বিতরণ সিরাজগঞ্জ সততা ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে নবনির্বাচিত পরিচালক হাজী মোঃ আব্দুস সাত্তারকে সংবর্ধনা

চরের কৃষকের বাদাম চাষে ঘুরে দাড়ানোর স্বপ্ন দেখছে

মোঃতারিকুল ইসলাম, ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের খোলাবাড়ীয়া চরে বাদাম চাষে এবার কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। দীর্ঘদিন অনাবাদি পড়ে থাকা মধুমতির চর এলাকায় এখন বাদামের সবুজ সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। চরবাসী কৃষকরা বলছেন—ঠিকমতো সরকারি সহায়তা পেলে বাদাম হতে পারে এই অঞ্চলের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি।

খোলাবাড়ীয়া গ্রামের কৃষক মো. পারভেজ জানান, “এবার আমরা প্রতি ৩০ শতাংশ জমিতে বাদাম চাষে আশা করছি, এতে অন্তত ৬ মণ বাদাম উৎপাদন হবে। আমাদের এলাকায় বছরে একবারই বাদাম চাষ হয়। সাধারণত পৌষ ও মাঘ মাসে বীজ রোপণ করা হয় এবং প্রায় ছয় মাস পর ফলন সংগ্রহ করা যায়। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হবে বলেই মনে হচ্ছে।”

কৃষক পারভেজ আরও বলেন, “ফলন ভালো হলেও বাজারজাত, পরিবহন এবং সংরক্ষণের সুযোগ না থাকায় লাভের পরিমাণ কমে যায়। সরকারি সহায়তা পেলে অনেক কৃষকই বাদামের দিকে ঝুঁকবে।”

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুষার সাহা বলেন, “চরাঞ্চলে বাদাম চাষের উপযোগী পরিবেশ রয়েছে। আমরা কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ, উন্নত জাতের বীজ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছি। এই বছর ফলন আশানুরূপ হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও কৃষককে বাদাম চাষে উদ্বুদ্ধ করতে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। এবং অন্যান্য ফসলের থেকে লাভ ও বেশি।সেজন্য বিস্তীর্ণ চরে বাদাম চাষের সম্প্রসারণে কৃষি বিভাগ সব সময় কাজ করে যাচ্ছে।কৃষকের সরকারি সহযোগিতার বিষয়ে বলেন।
সরকারি প্রণোদনার পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় সীমিত। পর্যায়ক্রমে সবাই সুবিধার আওতায় আসবে।

স্থানীয় কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চরাঞ্চলে প্রায় ৫০০-৬০০বিঘা জমি বাদাম চাষের উপযোগী। একটু সহযোগিতা পেলে পুরো অঞ্চলের অর্থনীতি বদলে যেতে পারে।

চরবাসীর প্রত্যাশা—বাদাম চাষ শুধু তাদের জীবিকায় পরিবর্তন আনবে না, বরং চরাঞ্চলকে বদলে দেবে একটি কৃষিভিত্তিক উৎপাদন অঞ্চলে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১১:১৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫
১০৮
Translate »

চরের কৃষকের বাদাম চাষে ঘুরে দাড়ানোর স্বপ্ন দেখছে

আপডেট : ১১:১৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের খোলাবাড়ীয়া চরে বাদাম চাষে এবার কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। দীর্ঘদিন অনাবাদি পড়ে থাকা মধুমতির চর এলাকায় এখন বাদামের সবুজ সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। চরবাসী কৃষকরা বলছেন—ঠিকমতো সরকারি সহায়তা পেলে বাদাম হতে পারে এই অঞ্চলের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি।

খোলাবাড়ীয়া গ্রামের কৃষক মো. পারভেজ জানান, “এবার আমরা প্রতি ৩০ শতাংশ জমিতে বাদাম চাষে আশা করছি, এতে অন্তত ৬ মণ বাদাম উৎপাদন হবে। আমাদের এলাকায় বছরে একবারই বাদাম চাষ হয়। সাধারণত পৌষ ও মাঘ মাসে বীজ রোপণ করা হয় এবং প্রায় ছয় মাস পর ফলন সংগ্রহ করা যায়। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হবে বলেই মনে হচ্ছে।”

কৃষক পারভেজ আরও বলেন, “ফলন ভালো হলেও বাজারজাত, পরিবহন এবং সংরক্ষণের সুযোগ না থাকায় লাভের পরিমাণ কমে যায়। সরকারি সহায়তা পেলে অনেক কৃষকই বাদামের দিকে ঝুঁকবে।”

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুষার সাহা বলেন, “চরাঞ্চলে বাদাম চাষের উপযোগী পরিবেশ রয়েছে। আমরা কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ, উন্নত জাতের বীজ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছি। এই বছর ফলন আশানুরূপ হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও কৃষককে বাদাম চাষে উদ্বুদ্ধ করতে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। এবং অন্যান্য ফসলের থেকে লাভ ও বেশি।সেজন্য বিস্তীর্ণ চরে বাদাম চাষের সম্প্রসারণে কৃষি বিভাগ সব সময় কাজ করে যাচ্ছে।কৃষকের সরকারি সহযোগিতার বিষয়ে বলেন।
সরকারি প্রণোদনার পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় সীমিত। পর্যায়ক্রমে সবাই সুবিধার আওতায় আসবে।

স্থানীয় কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চরাঞ্চলে প্রায় ৫০০-৬০০বিঘা জমি বাদাম চাষের উপযোগী। একটু সহযোগিতা পেলে পুরো অঞ্চলের অর্থনীতি বদলে যেতে পারে।

চরবাসীর প্রত্যাশা—বাদাম চাষ শুধু তাদের জীবিকায় পরিবর্তন আনবে না, বরং চরাঞ্চলকে বদলে দেবে একটি কৃষিভিত্তিক উৎপাদন অঞ্চলে।