London ০৯:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:

চবিতে শেখ হাসিনা হলের নামফলক ভাঙতে ছাত্রীদের বাধা

অনলাইন ডেস্ক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শেখ হাসিনা হলের নামফলক ভাঙতে যাওয়া শিক্ষার্থীদেরকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হলটির ছাত্রীদের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি ঢাকা মে ই লের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি রেদোয়ান আহমেদকে মারধর ও সমকালের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি এস এম মাহফুজের ফোনও কেড়ে নেন তারা।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে শেখ হাসিনা হলের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে চবি সাংবাদিক সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, চবির শেখ হাসিনা হলের মেয়েরা পেশাগত দায়িত্বপালনরত অবস্থায় একজন সাংবাদিকের হাত থেকে ফোন ছিনিয়ে নেওয়া ও কয়েকজন সাংবাদিকের গায়ে হাত তোলার সাহস দেখালেন। এই ধরনের কাজ ছাত্রলীগ করতো। আপনাদের ভেতরে সেই ছাত্রলীগের ছায়া দেখতে পেলাম।

ক্ষোভ প্রকাশ করে চবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আজহার বলেন, অভ্যুত্থানের পরে নতুন করে কেবল ছেলেদের হলগুলোতেই অ্যালটমেন্ট দেওয়া হয়েছে। মেয়েদের হলগুলোতে শুধু আসন খালি থাকা সাপেক্ষে সামান্য কিছু নতুন শিক্ষার্থী উঠানো হয়। গতরাতে সাংবাদিকদের ওপর শেখ হাসিনা হলের মেয়েদের আক্রমণ, হেনস্তা এবং মোবাইল কেড়ে নেওয়ার ঘটনাই প্রমাণ করে যে, তারা পুরোনো বলয়ে এখনো হলে অবস্থান করছে। আমরা জড়িতদের ভিডিও ও ছবি সংগ্রহ করে পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করছি।

এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর নাজমুল হোসেন বলেন, গতরাতের শেখ হাসিনা হলের ছাত্রী ও শিক্ষার্থীদের বাগবিতণ্ডা বিষয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে বসে যথাযথ সিন্ধান্ত নেব। আর সাংবাদিক মারধর ও ফোন কেড়ে নেওয়া স্বাধীন সাংবাদিকতা পেশার জন্য হুমকিস্বরূপ। ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা লিখিত অভিযোগ দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী জড়িতদের শাস্তি দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ‘লং মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২’ কর্মসূচির ঘোষণার পর সারাদেশে শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার মুর‌্যাল-নামফলক ভাঙেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে চবি শিক্ষার্থীরা শেখ হাসিনা হলের নামফলক ও নৌকার স্থাপনা ভাঙতে গেলে হলের ছাত্রীদের বাধার সম্মুখীন হন। এ সময় এক সাংবাদিককে মারধর ও একজনের ফোন কেড়ে নেন হলটির ছাত্রীরা।

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১২:৩৭:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
Translate »

চবিতে শেখ হাসিনা হলের নামফলক ভাঙতে ছাত্রীদের বাধা

আপডেট : ১২:৩৭:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শেখ হাসিনা হলের নামফলক ভাঙতে যাওয়া শিক্ষার্থীদেরকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হলটির ছাত্রীদের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি ঢাকা মে ই লের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি রেদোয়ান আহমেদকে মারধর ও সমকালের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি এস এম মাহফুজের ফোনও কেড়ে নেন তারা।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে শেখ হাসিনা হলের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে চবি সাংবাদিক সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, চবির শেখ হাসিনা হলের মেয়েরা পেশাগত দায়িত্বপালনরত অবস্থায় একজন সাংবাদিকের হাত থেকে ফোন ছিনিয়ে নেওয়া ও কয়েকজন সাংবাদিকের গায়ে হাত তোলার সাহস দেখালেন। এই ধরনের কাজ ছাত্রলীগ করতো। আপনাদের ভেতরে সেই ছাত্রলীগের ছায়া দেখতে পেলাম।

ক্ষোভ প্রকাশ করে চবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আজহার বলেন, অভ্যুত্থানের পরে নতুন করে কেবল ছেলেদের হলগুলোতেই অ্যালটমেন্ট দেওয়া হয়েছে। মেয়েদের হলগুলোতে শুধু আসন খালি থাকা সাপেক্ষে সামান্য কিছু নতুন শিক্ষার্থী উঠানো হয়। গতরাতে সাংবাদিকদের ওপর শেখ হাসিনা হলের মেয়েদের আক্রমণ, হেনস্তা এবং মোবাইল কেড়ে নেওয়ার ঘটনাই প্রমাণ করে যে, তারা পুরোনো বলয়ে এখনো হলে অবস্থান করছে। আমরা জড়িতদের ভিডিও ও ছবি সংগ্রহ করে পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করছি।

এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর নাজমুল হোসেন বলেন, গতরাতের শেখ হাসিনা হলের ছাত্রী ও শিক্ষার্থীদের বাগবিতণ্ডা বিষয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে বসে যথাযথ সিন্ধান্ত নেব। আর সাংবাদিক মারধর ও ফোন কেড়ে নেওয়া স্বাধীন সাংবাদিকতা পেশার জন্য হুমকিস্বরূপ। ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা লিখিত অভিযোগ দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী জড়িতদের শাস্তি দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ‘লং মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২’ কর্মসূচির ঘোষণার পর সারাদেশে শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার মুর‌্যাল-নামফলক ভাঙেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে চবি শিক্ষার্থীরা শেখ হাসিনা হলের নামফলক ও নৌকার স্থাপনা ভাঙতে গেলে হলের ছাত্রীদের বাধার সম্মুখীন হন। এ সময় এক সাংবাদিককে মারধর ও একজনের ফোন কেড়ে নেন হলটির ছাত্রীরা।