London ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার পাবনার যুবদল ও কৃষকদল নেতা বহিষ্কার পাবনার ফরিদপুরে ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী মা-মেয়ে নিহত, আহত বাবা রাজশাহীতে নতুন জাতের আম কটিমন দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে শক্তিশালী রাষ্ট্র গড়বে বিএনপি,দুর্গাপুরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় নেতৃবৃন্দ কালিয়াকৈরে বনের জমিতে অবৈধ ঘরবাড়ি উচ্ছেদ অভিযান বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে লালবাগ থানা ছাত্রদলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি টি.আর বরাদ্দে দুর্নীতি: কাগজে কাজ শেষ, মাঠে রাস্তা নেই দুর্গাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১জন পাবনার সাঁথিয়ায় মানসিক রোগী পুত্রবধূর ধারালো বটির কোপে শ্বশুর নিহত পাবনায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

চতুর্থবারের মতো ডার্টফোর্ডের টেম্পল হিল কমিউনিটি হলে অনুষ্ঠিত হলো “বাঙালির প্রাণের বৈশাখী উৎসব ২০২৫”

ডেস্ক রিপোর্ট

২১ জুন শনিবার, চতুর্থবারের মতো ডার্টফোর্ডের টেম্পল হিল কমিউনিটি হলে অনুষ্ঠিত হলো “বাঙালির প্রাণের বৈশাখী উৎসব ২০২৫”। সংস্কৃতি বিষয়ক সংগঠন সপ্ত সুর–এর উদ্যোগে আয়োজিত এ উৎসবে কেন্টসহ আশেপাশের অঞ্চল থেকে সর্বস্তরের বাঙালির স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল লক্ষণীয়।

উৎসবের সূচনায় ছিল একটি বর্ণাঢ্য বৈশাখী র‍্যালি, যেখানে অংশ নেন স্থানীয় বাঙালিদের পাশাপাশি ডার্টফোর্ড বারা কাউন্সিলের কাউন্সিল লিডার জেরিমি কাইট এমবিই, কাউন্সিলর রোজানা কারেন, ক্লেমেন্ট কোয়াকিমি, ও গোবিন্দার সান্দার। র‍্যালিতে বাংলা সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে প্রাণবন্তভাবে তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠানের সূচনা পর্বে প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোরদের পরিবেশনায় ছিল সংগীত, নৃত্য ও ফ্যাশন শো। পুরো আয়োজনটি পরিচালনায় ছিলেন সপ্ত সুরের প্রতিষ্ঠাতা ও সাংবাদিক রুপি আমিন।

সপ্ত সুরের প্রতিষ্ঠাতা ও সাংবাদিক রুপি আমিন

উৎসবে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। তারা জানান, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মাঝে বাংলা সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিতে এই ধরনের উৎসব অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। উৎসবের বিস্তৃত অংশগ্রহণ দেখে ডার্টফোর্ড কাউন্সিলের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতে কোনো বড় পার্কে এই আয়োজন করার প্রস্তাব এসেছে। এটি সম্ভাব্যভাবে কাউন্সিল ও সপ্ত সুরের যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়িত হবে।

উৎসবে বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী অবন্তি সিঁথি ও বিলেতের স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনা দর্শকদের মন জয় করে নেয়। নৃত্য পরিবেশন করে তাল তরঙ্গ। দিনব্যাপী চলা এই উৎসবে ছিল বাহারি খাবার ও পণ্যের স্টল, যা ছিল দর্শনার্থীদের বাড়তি আকর্ষণ।

দুপুর ১২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলা এই উৎসবজুড়ে ছিল উপচে পড়া ভিড়—যা প্রমাণ করে, প্রবাসে থেকেও বাঙালির হৃদয়ে বাংলা সংস্কৃতি কতটা গেঁথে আছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৩:০৩:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
৪১
Translate »

চতুর্থবারের মতো ডার্টফোর্ডের টেম্পল হিল কমিউনিটি হলে অনুষ্ঠিত হলো “বাঙালির প্রাণের বৈশাখী উৎসব ২০২৫”

আপডেট : ০৩:০৩:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

২১ জুন শনিবার, চতুর্থবারের মতো ডার্টফোর্ডের টেম্পল হিল কমিউনিটি হলে অনুষ্ঠিত হলো “বাঙালির প্রাণের বৈশাখী উৎসব ২০২৫”। সংস্কৃতি বিষয়ক সংগঠন সপ্ত সুর–এর উদ্যোগে আয়োজিত এ উৎসবে কেন্টসহ আশেপাশের অঞ্চল থেকে সর্বস্তরের বাঙালির স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল লক্ষণীয়।

উৎসবের সূচনায় ছিল একটি বর্ণাঢ্য বৈশাখী র‍্যালি, যেখানে অংশ নেন স্থানীয় বাঙালিদের পাশাপাশি ডার্টফোর্ড বারা কাউন্সিলের কাউন্সিল লিডার জেরিমি কাইট এমবিই, কাউন্সিলর রোজানা কারেন, ক্লেমেন্ট কোয়াকিমি, ও গোবিন্দার সান্দার। র‍্যালিতে বাংলা সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে প্রাণবন্তভাবে তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠানের সূচনা পর্বে প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোরদের পরিবেশনায় ছিল সংগীত, নৃত্য ও ফ্যাশন শো। পুরো আয়োজনটি পরিচালনায় ছিলেন সপ্ত সুরের প্রতিষ্ঠাতা ও সাংবাদিক রুপি আমিন।

সপ্ত সুরের প্রতিষ্ঠাতা ও সাংবাদিক রুপি আমিন

উৎসবে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। তারা জানান, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মাঝে বাংলা সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিতে এই ধরনের উৎসব অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। উৎসবের বিস্তৃত অংশগ্রহণ দেখে ডার্টফোর্ড কাউন্সিলের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতে কোনো বড় পার্কে এই আয়োজন করার প্রস্তাব এসেছে। এটি সম্ভাব্যভাবে কাউন্সিল ও সপ্ত সুরের যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়িত হবে।

উৎসবে বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী অবন্তি সিঁথি ও বিলেতের স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনা দর্শকদের মন জয় করে নেয়। নৃত্য পরিবেশন করে তাল তরঙ্গ। দিনব্যাপী চলা এই উৎসবে ছিল বাহারি খাবার ও পণ্যের স্টল, যা ছিল দর্শনার্থীদের বাড়তি আকর্ষণ।

দুপুর ১২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলা এই উৎসবজুড়ে ছিল উপচে পড়া ভিড়—যা প্রমাণ করে, প্রবাসে থেকেও বাঙালির হৃদয়ে বাংলা সংস্কৃতি কতটা গেঁথে আছে।