London ০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
দুর্গাপুর সাংবাদিক সমিতির চতুর্থ বর্ষপূর্তি : সমাজের প্রতি আমাদের নিবেদন কালিয়াকৈরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল দিপু হত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরা-১ আসনে ইয়ারুল ইসলামের মনোনয়ন পত্র দাখিল তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ৫০ হাজার টাকা দাবি না দেওয়ায় ওসিকে জানিয়ে দোকানে তালা দিল বিএনপি নেতা রাজশাহীতে সাবেক কাউন্সিলরসহ গ্রেপ্তার ১৭ জন কালিয়াকৈর ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গ্যাস লাইনে অগ্নিকাণ্ড অসহায় রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নানিয়ারচর সেনা জোনের বিনামূল্যে ঔষধ ও চিকিৎসা সেবা প্রদান নানিয়ারচর সেনা জোন খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিন উপলক্ষে মিষ্টি বিতরণ ও আর্থিক অনুদান প্রদান গোদাগাড়ীতে সার ব্যবসায়ীকে জরিমানা হবিগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন পেলেন সৈয়দ মোঃ ফয়সল

গাজার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় আরব নেতারা

অনলাইন ডেস্ক

গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় অংশ নিতে সাতটি আরব ও উপসাগরীয় দেশের শীর্ষ নেতারা শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সৌদি রাজধানী রিয়াদে একত্রিত হন।

সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান নেতৃত্বে আয়োজিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহামেদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান, জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহ, মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি, কুয়েতের আমির শেখ মেশাল আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহ এবং বাহরাইনের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী সালমান বিন হামাদ আল-খলিফা।

আলোচনায় মিসরের নেতৃত্বে গাজার জন্য একটি নতুন বিকল্প পুনর্গঠন পরিকল্পনার ওপর তারা আলোকপাত করা হয়, যাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের গাজা দখল ও ফিলিস্তিনি জনগণকে বাস্তুচ্যুত করার প্রস্তাবের বিপরীতে একটি মানবিক ও স্থায়ী সমাধানের দিকে নজর দেওয়া হয়েছে।

বৈঠকের পর সৌদি রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা (এসপিএ) এক বিবৃতিতে এই আলোচনা সম্পর্কে জানায়, ভ্রাতৃত্বপূর্ণ ও অনানুষ্ঠানিক বৈঠকটিতে অংশগ্রহণকারীরা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নানা বিষয়ে পরামর্শ করেন।

বিশেষ করে, গাজা সংকট মোকাবিলা ও ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে যৌথ প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এসপিএ বলেছে, এই বৈঠক মূলত একটি ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা, যা ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার বহন করে।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, নেতারা আগামী ৪ মার্চ কায়রোতে নির্ধারিত জরুরি আরব শীর্ষ সম্মেলনকে স্বাগত জানিয়েছেন। আশা করা হচ্ছে, যদি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি টিকে থাকে, তবে এই সম্মেলনের পর মিসরের নেতৃত্বে গাজার পুনর্গঠনের প্রথম ধাপ শুরু হবে।

এই উদ্যোগ শুধু রাজনৈতিক সিদ্ধান্তই নয়, বরং বহু মানুষের জীবনের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাকে নতুন করে গড়ে তোলার এই প্রচেষ্টা সত্যিই গাজাবাসীর মধ্যে এক নতুন আশার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৫:৩৮:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৬৬
Translate »

গাজার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় আরব নেতারা

আপডেট : ০৫:৩৮:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় অংশ নিতে সাতটি আরব ও উপসাগরীয় দেশের শীর্ষ নেতারা শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সৌদি রাজধানী রিয়াদে একত্রিত হন।

সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান নেতৃত্বে আয়োজিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহামেদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান, জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহ, মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি, কুয়েতের আমির শেখ মেশাল আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহ এবং বাহরাইনের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী সালমান বিন হামাদ আল-খলিফা।

আলোচনায় মিসরের নেতৃত্বে গাজার জন্য একটি নতুন বিকল্প পুনর্গঠন পরিকল্পনার ওপর তারা আলোকপাত করা হয়, যাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের গাজা দখল ও ফিলিস্তিনি জনগণকে বাস্তুচ্যুত করার প্রস্তাবের বিপরীতে একটি মানবিক ও স্থায়ী সমাধানের দিকে নজর দেওয়া হয়েছে।

বৈঠকের পর সৌদি রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা (এসপিএ) এক বিবৃতিতে এই আলোচনা সম্পর্কে জানায়, ভ্রাতৃত্বপূর্ণ ও অনানুষ্ঠানিক বৈঠকটিতে অংশগ্রহণকারীরা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নানা বিষয়ে পরামর্শ করেন।

বিশেষ করে, গাজা সংকট মোকাবিলা ও ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে যৌথ প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এসপিএ বলেছে, এই বৈঠক মূলত একটি ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা, যা ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার বহন করে।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, নেতারা আগামী ৪ মার্চ কায়রোতে নির্ধারিত জরুরি আরব শীর্ষ সম্মেলনকে স্বাগত জানিয়েছেন। আশা করা হচ্ছে, যদি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি টিকে থাকে, তবে এই সম্মেলনের পর মিসরের নেতৃত্বে গাজার পুনর্গঠনের প্রথম ধাপ শুরু হবে।

এই উদ্যোগ শুধু রাজনৈতিক সিদ্ধান্তই নয়, বরং বহু মানুষের জীবনের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাকে নতুন করে গড়ে তোলার এই প্রচেষ্টা সত্যিই গাজাবাসীর মধ্যে এক নতুন আশার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে।