London ০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
কয়রায় বিভিন্ন কর্মসুচির মধ্যেদিয়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। সমাজসেবায় অসামান্য অবদানের জন্য দুবাইতে এশিয়া আরব এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন প্রখ্যাত সমাজকর্মী মোশাররফ হোসেন চলন্তবাসে ডাকাতি-শ্লীলতাহানী: তিনদিন পর থানায় মামলা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে জামায়াতের গণঅবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা প্রধান উপদেষ্টা একুশ মানে মাথানত না করার দৃঢ় প্রত্যয় শিশুদের নতুন দেশ গড়ার প্রত্যয়ে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে -নাসিম ফেরদৌস চৌধুরী নদীতে ভেসে উঠল নিখোঁজ ব্যবসায়ীর হাত-পা বাঁধা মরদেহ ভাষা আন্দোলনে সংবাদপত্র ও সম্পাদকের ভূমিকা শরীর ও মনকে রমজানের জন্য প্রস্তুত করুন এই উপায়ে হারের পর যা বললেন শান্ত

গত বছর বাংলাদেশিদের ভিসা প্রায় অর্ধেক কমিয়েছে কানাডা

অনলাইন ডেস্ক

উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের শরণার্থীদের আশ্রয় আবেদনের সংখ্যায় ব্যাপক পতন ঘটেছে। দেশটির অভিবাসন কর্তৃপক্ষ শরণার্থীদের ভিসায় লাগাম টানায় এবং আইনি জটিলতার কারণে এই সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে বৈধ আশ্রয়প্রার্থী শরণার্থীদেরও ভিসা দেওয়া হচ্ছে না বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তাদের আইনজীবীরা।

কানাডার অভিবাসন ও শরণার্থী বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত জানুয়ারিতে কানাডায় প্রায় ১১ হাজার ৮৪০ জন শরণার্থীর মর্যাদা দাবি করে আবেদন করেছিলেন। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের পর এটিই সর্বনিম্ন মাসিক আবেদন।

বর্তমানে আশ্রয়প্রার্থীদের নিরুৎসাহিত করছে কানাডা। একই সঙ্গে শরণার্থীদের ভিসা ইস্যুতেও লাগাম টেনেছে দেশটি। কানাডার সরকার দেশটিতে অভিবাসী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা হ্রাস করার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ১৫ লাখ মানুষকে পর্যটক ভিসা দিয়েছে কানাডা। যা ২০২৩ সালের প্রায় ১৮ লাখের তুলনায় কম। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বিশ্লেষণে দেখা যায়, আশ্রয়প্রার্থীদের উল্লেখযোগ্য উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে, এমন কিছু দেশের ক্ষেত্রে এই পতন অত্যন্ত তীব্র হয়েছে।

গত বছর বাংলাদেশি নাগরিকদের দেওয়া কানাডার ভিজিটর ভিসার সংখ্যা আগের বছরের ৪৫ হাজার ৩২২ থেকে কমে ২৭ হাজার ৯৭৫ হয়েছে। এছাড়া হাইতির নাগরিকদের দেওয়া কানাডার ভিজিটর ভিসা ৮ হাজার ৯৮৪ থেকে কমে ৫ হাজার ৪৮৭ হয়েছে। আর আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ার নাগরিকদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ৭৯ হাজার ৩৭৮ থেকে কমে ৫১ হাজার ৮২৮ হয়েছে।

শরণার্থীদের কানাডায় আশ্রয় আবেদন গ্রহণের হার উচ্চ রয়েছে এমন কিছু দেশের নাগরিকদেরও ২০২৩ সালের তুলনায় গত বছর ভিজিটর ভিসায় লাগাম টেনেছে কানাডা। গত বছর আফগানিস্তানের মাত্র ৩৩০ নাগরিককে ভিজিটর ভিসা দিয়েছে কানাডা; যা আগের বছরের ৪৬৮ থেকে কম।

এছাড়া ইরানের নাগরিকদের আগের বছরের ৫৭ হাজার ১২৭ থেকে কমিয়ে গত বছর ৩৮ হাজার ৭৫, উগান্ডার ৬ হাজার ৯৬ থেকে কমিয়ে ২০১৯; সিরিয়ার ২ হাজার ১৭৬ থেকে কমিয়ে ১ হাজার ১৭৪ এবং কেনিয়ার ১১ হাজার ৪৬৪ থেকে কমিয়ে ৩ হাজার ১৯৯ জনকে ভিজিটর ভিসা দিয়েছে কানাডা।

কানাডার অভিবাসন ও শরণার্থী বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত জানুয়ারি পর্যন্ত কানাডায় শরণার্থীদের নিষ্পত্তিবিহীন আশ্রয় আবেদনের সংখ্যা ঐতিহাসিক উচ্চতায় পৌঁছেছে। দেশটিতে প্রায় ২ লাখ ৭৮ হাজার ৪৫৭ জন শরণার্থীর আশ্রয় আবেদন ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

কোনও আশ্রয়প্রার্থী ভিসা নেই কানাডার। তবে কেউ যদি শরণার্থীর মর্যাদা দাবি করতে চান, তাহলে তাকে অবশ্যই দর্শনার্থী, শিক্ষার্থী বা কর্মী হিসাবে দেশটিতে পৌঁছাতে অথবা অবৈধপথে প্রবেশ করতে হবে। কিন্তু পানিবেষ্টিত ও সুরক্ষিত সীমান্ত দিয়ে দেশটিতে পৌঁছানো শরণার্থীদের জন্য সহজ নয়। এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আশ্রয়প্রার্থীদের ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য একটি চুক্তিও রয়েছে কানাডার।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১১:৩৮:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
Translate »

গত বছর বাংলাদেশিদের ভিসা প্রায় অর্ধেক কমিয়েছে কানাডা

আপডেট : ১১:৩৮:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের শরণার্থীদের আশ্রয় আবেদনের সংখ্যায় ব্যাপক পতন ঘটেছে। দেশটির অভিবাসন কর্তৃপক্ষ শরণার্থীদের ভিসায় লাগাম টানায় এবং আইনি জটিলতার কারণে এই সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে বৈধ আশ্রয়প্রার্থী শরণার্থীদেরও ভিসা দেওয়া হচ্ছে না বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তাদের আইনজীবীরা।

কানাডার অভিবাসন ও শরণার্থী বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত জানুয়ারিতে কানাডায় প্রায় ১১ হাজার ৮৪০ জন শরণার্থীর মর্যাদা দাবি করে আবেদন করেছিলেন। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের পর এটিই সর্বনিম্ন মাসিক আবেদন।

বর্তমানে আশ্রয়প্রার্থীদের নিরুৎসাহিত করছে কানাডা। একই সঙ্গে শরণার্থীদের ভিসা ইস্যুতেও লাগাম টেনেছে দেশটি। কানাডার সরকার দেশটিতে অভিবাসী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা হ্রাস করার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ১৫ লাখ মানুষকে পর্যটক ভিসা দিয়েছে কানাডা। যা ২০২৩ সালের প্রায় ১৮ লাখের তুলনায় কম। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বিশ্লেষণে দেখা যায়, আশ্রয়প্রার্থীদের উল্লেখযোগ্য উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে, এমন কিছু দেশের ক্ষেত্রে এই পতন অত্যন্ত তীব্র হয়েছে।

গত বছর বাংলাদেশি নাগরিকদের দেওয়া কানাডার ভিজিটর ভিসার সংখ্যা আগের বছরের ৪৫ হাজার ৩২২ থেকে কমে ২৭ হাজার ৯৭৫ হয়েছে। এছাড়া হাইতির নাগরিকদের দেওয়া কানাডার ভিজিটর ভিসা ৮ হাজার ৯৮৪ থেকে কমে ৫ হাজার ৪৮৭ হয়েছে। আর আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ার নাগরিকদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ৭৯ হাজার ৩৭৮ থেকে কমে ৫১ হাজার ৮২৮ হয়েছে।

শরণার্থীদের কানাডায় আশ্রয় আবেদন গ্রহণের হার উচ্চ রয়েছে এমন কিছু দেশের নাগরিকদেরও ২০২৩ সালের তুলনায় গত বছর ভিজিটর ভিসায় লাগাম টেনেছে কানাডা। গত বছর আফগানিস্তানের মাত্র ৩৩০ নাগরিককে ভিজিটর ভিসা দিয়েছে কানাডা; যা আগের বছরের ৪৬৮ থেকে কম।

এছাড়া ইরানের নাগরিকদের আগের বছরের ৫৭ হাজার ১২৭ থেকে কমিয়ে গত বছর ৩৮ হাজার ৭৫, উগান্ডার ৬ হাজার ৯৬ থেকে কমিয়ে ২০১৯; সিরিয়ার ২ হাজার ১৭৬ থেকে কমিয়ে ১ হাজার ১৭৪ এবং কেনিয়ার ১১ হাজার ৪৬৪ থেকে কমিয়ে ৩ হাজার ১৯৯ জনকে ভিজিটর ভিসা দিয়েছে কানাডা।

কানাডার অভিবাসন ও শরণার্থী বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত জানুয়ারি পর্যন্ত কানাডায় শরণার্থীদের নিষ্পত্তিবিহীন আশ্রয় আবেদনের সংখ্যা ঐতিহাসিক উচ্চতায় পৌঁছেছে। দেশটিতে প্রায় ২ লাখ ৭৮ হাজার ৪৫৭ জন শরণার্থীর আশ্রয় আবেদন ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

কোনও আশ্রয়প্রার্থী ভিসা নেই কানাডার। তবে কেউ যদি শরণার্থীর মর্যাদা দাবি করতে চান, তাহলে তাকে অবশ্যই দর্শনার্থী, শিক্ষার্থী বা কর্মী হিসাবে দেশটিতে পৌঁছাতে অথবা অবৈধপথে প্রবেশ করতে হবে। কিন্তু পানিবেষ্টিত ও সুরক্ষিত সীমান্ত দিয়ে দেশটিতে পৌঁছানো শরণার্থীদের জন্য সহজ নয়। এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আশ্রয়প্রার্থীদের ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য একটি চুক্তিও রয়েছে কানাডার।