গণঅধিকার পরিষদ: রাজনীতিতে নতুন ভাষা, নতুন বিশ্বাস

বাংলাদেশের রাজনীতিতে যখন আদর্শচ্যুতি, দুর্নীতি ও ক্ষমতাকেন্দ্রিক প্রতিযোগিতা নিত্যনৈমিত্তিক বাস্তবতা হয়ে উঠেছে, তখন তরুণদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা গণঅধিকার পরিষদ হয়ে উঠেছে একটি ব্যতিক্রমী শক্তি। এটি কেবল একটি রাজনৈতিক দল নয়, বরং একটি নৈতিক আন্দোলন—যার কেন্দ্রে রয়েছে জনগণের অধিকার, স্বচ্ছতা এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই।
নুরুল হক নূর: ছাত্ররাজনীতি থেকে জনআস্থার কেন্দ্রবিন্দু
ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর বাংলাদেশে বিকল্প ধারার রাজনীতির অন্যতম মুখ। তিনি যে সময়ে দায়িত্বে ছিলেন, সে সময় থেকেই শুরু তার স্পষ্টভাষী নেতৃত্বের পরিচয়। তিনি শুধু ক্যাম্পাসে নয়, জাতীয় পর্যায়েও গণমানুষের দাবির পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন।
তার নেতৃত্বে গঠিত গণঅধিকার পরিষদ আজ দেশের তরুণ, মেহনতি ও প্রান্তিক জনগণের আশার প্রতীক। এই সংগঠনের ভিত্তি গড়ে উঠেছে জনসাধারণের চাঁদা, সদস্যদের শ্রম ও নিঃস্বার্থ ভালোবাসায়—কোনো কর্পোরেট অনুদান বা দুর্নীতির টাকায় নয়। এটি এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
অপপ্রচারে বিশ্বাস ভাঙে না
সম্প্রতি কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে—নূর টাকা নিয়েছেন, বিকাশে অর্থ আদান-প্রদান হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে—যদি সত্যিই অর্থ নেওয়া হয়েও থাকে, সেই অর্থ কি জনসাধারণের অনুদান নয়? গণআন্দোলন চালাতে অর্থ দরকার হয়, আর সেই অর্থ যদি হয় স্বচ্ছ ও স্বেচ্ছায় দেওয়া, তাহলে তাতে নেতিবাচক কিছু নেই। বরং এটি গণআর্থিক সহযোগিতার একটি ইতিবাচক উদাহরণ, যা অনেক উন্নত দেশেও স্বীকৃত।
নূরুল হক নূরের জনপ্রিয়তা, তার নৈতিক অবস্থান এবং সাধারণ মানুষের সাথে নিবিড় সম্পর্ক অনেকের গাত্রদাহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা অপপ্রচারের মাধ্যমে এই উদীয়মান নেতৃত্বকে দমন করতে চায়। কিন্তু যে নেতা জনগণের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে, তাকে ফেসবুক পোস্ট কিংবা গুজব দিয়ে থামানো যাবে না।
গণঅধিকার পরিষদ: রাজনীতির নতুন রূপ
গণঅধিকার পরিষদ রাজনীতিকে দেখে জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলন হিসেবে। তারা স্পষ্টভাবে বলেছে—
🔴 তারা দুর্নীতির টাকায় রাজনীতি করে না।
🔴 চাকরি, ভিসা, প্রজেক্ট বা চাঁদাবাজির মাধ্যমে টাকা নেয় না।
🔴 অন্যের টাকার লোভে দল চালায় না।
তাদের প্রতিটি কার্যক্রম চলে দলীয় সদস্য ও সাধারণ জনগণের সহযোগিতায়। এই আদর্শিক অবস্থান অনেক পুরোনো দলকেও নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে।
ভবিষ্যতের রাজনীতি ও তরুণ নেতৃত্ব
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে তরুণ নেতৃত্ব একটি অপরিহার্য বাস্তবতা। গণঅধিকার পরিষদ সেই পরিবর্তনের পথরেখা তৈরি করছে। এই দলের নেতৃবৃন্দ যদি সুযোগ পায়, তারা প্রমাণ করবে যে সততা, ন্যায় ও সাহস দিয়েই রাজনীতি সম্ভব। রাজনীতি শুধু ক্ষমতার খেলা নয়—এটি জনসেবার একটি পবিত্র দায়িত্ব।
তাই গণঅধিকার পরিষদের বিরুদ্ধে যারা অপপ্রচারে লিপ্ত, তাদের বোঝা উচিত—নূরকে ছোট করার মানে দেশের সম্ভাবনাকে অস্বীকার করা। এবং তা জনগণ কখনোই মেনে নেবে না।
🔹 শেষ কথা
গণঅধিকার পরিষদ এখনো রাজপথে, ক্যাম্পাসে, এবং সাধারণ মানুষের পাশে আছে। তাদের কাছে রাজনীতি ক্ষমতা নয়, সেবা। সুবিধা নয়, সংগ্রাম। এই দল এখন একটি বিশ্বাস, একটি বিকল্প ভবিষ্যতের আশা।
📣 গণঅধিকার পরিষদ,জনগনের পরিষদ
📣 জনতার নেতা নূর জিন্দাবাদ
📣 দুর্নীতির রাজনীতি বাতিল হোক।